২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

কুরআন শিক্ষা হোক আনন্দদায়ক

-

বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগই নাগরিকই মুসলমান। নব্বই ভাগ মুসলমানের সন্তানদের স্কুল কিংবা মাদরাসায় তাদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। সন্তানদের কুরআন শিখতে মক্তব বা হিফজখানায় পাঠাচ্ছেন। মুসলমান হিসেবে আমাদের কুরআন শিক্ষা করা অবশ্য করণীয়। দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে শিশুদের কুরআন শেখানো হয়। বাদ ফজর মক্তবে। নূরানি মাদরাসায়। অথবা যারা কুরআন মুখস্থ-আত্মস্থ বা কণ্ঠস্থ করতে আগ্রহী, তাদের জন্য হিফজখানা। এখানে শিশুদের কুরআন ১ পারা থেকে ৩০ পারা পর্যন্ত মুখস্থ করানো হয়। এই কুরআন মাজিদ হিফজ করানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে শিশুরা অনেক সময় শিখতে চায় না। পালিয়ে বাসায় চলে আসে। কিংবা শিক্ষকদের জোর জুলুমের শিকার হয়ে থাকে ওই সব শিশুশিক্ষার্থী। আমরা জানি সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মারধর নিষিদ্ধ করেছেন। তার পরও কিছু একগুঁয়ে অভিভাবকদের জন্যই সব বিপত্তি বাধে। তাদের শিশুর সঠিক জ্ঞান-মেধা না থাকা সত্ত্বেও শিশুদের জোর করে হিফজখানায় ভর্তি করেন। আর শিক্ষকদের বলে থাকেন, ‘রক্ত-মাংস আপনার আর হাড্ডি আমার’। এরপর শিক্ষক যখন মারেন, আবার অভিভাবকই রেগে গিয়ে হাঙ্গামা বাধান। তবে অনেক সময় পরিলক্ষিত হয়েছে হিফজখানার অনেক শিক্ষক ছোট শিশুদের ওপর নির্মম অত্যাচার করেন। কিছু দিন আগে একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন শিক্ষক তার ছাত্রকে বেদম মারছেন; যা কখনো একজন কুরআনের শিক্ষক থেকে কাম্য নয়। শুধু কুরআন মুখস্থ করলেই হবে না। কুরআনের ধারক-বাহক হতে হবে। কুরআনের আলোয় আলোকিত হতে হবে। আমরা পরে দেখেছি ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মনে একটি বদ ধারণা আছে যে, যারা কুরআন মুখস্থ করেন, তাদের রেগুলার বেত্রাঘাত না করলে মনে হয় হাফেজ হবে না। ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। ঢাকার ডেমরায় দারুননাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার আওতাধীন একটি হেফজখানা আছে। এখানে ছাত্রদের বেত্রাঘাত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এখান থেকে প্রতি বছর দশের অধিক কুরআন মাজিদ মুখস্থ করে হাফেজ হচ্ছেন। যারা ভেবে থাকেন শিশুদের মারধর করেই হাফেজ বানাতে হবে তাদের ধারণাটি ভুল। যাদের মেধা আছে তারা পুরো কুরআন মুখস্থ করবেন। যাদের কম মেধা তাদের নূরানি মাদরাসায় পড়ান। তাতে অন্তত কুরআন সহিহভাবে পড়া শিখবে শিশুরা। শিশুদের মেরে হাফেজ বানানোর কালচার থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এত অমানবিক নিষ্ঠুর হলে শিশুরা মানসিক রোগী হয়ে যাবে। এরপর এর দায়ভার কে নেবে। যারা এমন করছেন, তারা নীরবে ইসলামের কত ক্ষতি করেছেন, তা একবার ভেবে দেখারও অবকাশ পাচ্ছেন বলে মনে হয় না। আপনাদের নিন্দনীয় কর্মকাণ্ড দেখে নানা মানুষ নানা সুরে কথা বলার সুযোগ পান। অবশেষে বলব যারা কুরআনের শিক্ষক আপনারা মানবিক হন। শিশু কুরআন শিখতে অপারগ হলে অভিভাবক ডেকে বাসায় পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। আর অভিভাবকরা সচেতন হন আপনার আদরের শিশুর ব্যাপারে। তারা কোনোভাবে মানসিক-শারীরিক অশান্তিতে ভুগছে কি না খোঁজখবর রাখুন। সংশ্লিষ্ট সবাই সচেতন থাকুন। পৃথিবী হোক কুরআনের আলোয় আলোকিত।
tasnimhasan067@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর

সকল