২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পেঁয়াজের বাজারে সিন্ডিকেট

-

পেঁয়াজ নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি পণ্য। পেঁয়াজ ছাড়া আমাদের দেশে রান্নাবান্না অচল! প্রায় প্রতিটি পদেই এদেশে পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি অত্যাবশ্যকীয় এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম নানা অজুহাতে বেড়েছে। পেঁয়াজের বাজারে এখন চলছে একধরনের নৈরাজ্য।
মাঝখান দিয়ে বেশ কিছু দিন পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল থাকার পর এখন আবার অস্থিতিশীল। গত ১৪ সেপ্টেম্বর কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই প্রতিবেশী দেশ ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে হুট করে পেঁয়াজের বাজারে আগুন ধরে যায়। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার আগেই সারা দেশে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। পেঁয়াজ নিয়ে আবার শুরু হয় হইচই। খুচরা বাজারে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৭০-৭৫ টাকা। যেটা কয়েক দিন আগেও ৩০ টাকা ছিল। পেঁয়াজের দাম এখন আকাশচুম্বী।
গত বছরের সেপ্টেম্বরেও পেঁয়াজের বাজারে বড় ধরনের আগুন ধরেছিল। গত বছরও ভারত হুট করে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল। সে সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৪০-২৭০ টাকায়। আর দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দরেও বিক্রি হয়েছে। পেঁয়াজ নিয়ে মানুষের হাহাকার ছিল চরমে।
এ বছরও শুরু হয়েছে পেঁয়াজের বাজারে হাহাকার। করোনা দুর্যোগকালীন পেঁয়াজের এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে শুধু নিম্নবিত্ত নয়, সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণীরও নাভিশ্বাস চরমে উঠেছে। মহামারীর এ সময়ে যেখানে মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন; সেখানে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি মোটাদাগে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে হতদরিদ্র মানুষ এখন দিশেহারা। কাজেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারের অস্থিরতা দূর করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আর পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। তা ছাড়া ভারত নির্ভরতা কাটিয়ে পেঁয়াজের বিকল্প আমদানিকারক দেশ খুঁজতে হবে।
বর্তমানে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হওয়ার পেছনে তিনটি বিষয় কাজ করছে। সেগুলো হলোÑ বেপরোয়া সিন্ডিকেটের প্রভাব, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অপরিকল্পিত ঢিলেঢালা অভিযান, ভবিষ্যতে আরো দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভোক্তা জনসাধারণের অস্বাভাবিক মজুদ।
তবে এ কথাও ঠিক, পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ থাকলেও সিন্ডিকেট কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়েছে। পেঁয়াজ নিয়ে এমন ‘পুকুর চুরির’ যেন কেউ দেখার নেই!
এ দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই সিন্ডিকেটের প্রভাব লক্ষণীয়। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা এ সিন্ডিকেট প্রভাবশালী এবং এরা রীতিমতো ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। তারা নিজেদের ইচ্ছামতো বাজারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল মুনাফা লুটেছেন। যে যেভাবে পারছে লুটেপুটে খাচ্ছে। মাঝখান দিয়ে ভোগান্তি আর অসুবিধায় জর্জরিত হয়ে আছে সাধারণ মানুষ।
তাই দেশের সার্বিক বাজার পরিস্থিতি ভোক্তাবান্ধব করতে সবার আগে প্রয়োজন বিক্রেতাদের অসৎ, লোভী ও প্রতারণামূলক মানসিকতার পরিবর্তন। তা ছাড়া সবার আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বেপরোয়া সিন্ডিকেট। যেকোনো দেশের অর্থনীতির জন্যই ‘সিন্ডিকেট’ হুমকিস্বরূপ। বেপরোয়া সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। এর জন্য রাষ্ট্র-সমাজের সচেতন ও দায়িত্বশীল মহলকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে সরকারকে। হ
লেখক : শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
বসৎধহবসড়হ৪৩২১@মসধরষ.পড়স.

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ : নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩৩ জন গ্রেফতার বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচবেন কিভাবে বিয়ের বাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় ৩ সংস্থার মশলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান সাবেক শিবির নেতা সুমনের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের শোক গণকবরে লাশ খুঁজছেন শত শত ফিলিস্তিনি মা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আলোচনায় নেতাদের ভাই-বোন ও সন্তান সংখ্যা চীনে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা, ঝুঁকিতে ১৩ কোটি মানুষ ভারতের মাঝারি পাল্লার নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ৩ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার চেন্নাইকে হারাল লক্ষৌ

সকল