২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অনলাইন ক্লাস : মফস্বলের শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা

-

বাংলাদেশে তিন কোটি ৭০ লাখ শিক্ষার্থীর সুরক্ষায় ১৮ মার্চ দেশের সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ক্লাস-পরীক্ষা ফের কবে চালু হবে সে বিষয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে লক্ষ করা যায় একরাশ উদ্বেগ। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সেমিস্টার পদ্ধতিতে সিলেবাস শেষ করার একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। সেখানে দীর্ঘ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকলে পরে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়েও কোর্স শেষ করা জটিল হয়ে পড়বে। এমনকি এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। অথচ সেশনজট বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এক অভিশাপের নাম; যার ফলে ক্যারিয়ার গড়ায় অনেক শিক্ষার্থীকে বেগ পেতে হয়। চাকরির বাজারে খাবি খেতে হয়।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে; যা একটি শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগ। কিন্তু এ উদ্যোগ সর্বস্তরের শিক্ষার্থীর জন্য সুফল বয়ে আনতে পারবে কি না বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট। কেননা যেসব শিক্ষার্থীর বাড়ি শহরাঞ্চলে এবং প্রয়োজনীয় ডিভাইস রয়েছে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারলেও যাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস; তারা চাইলেও অনলাইন ক্লাসের সুবিধা ভোগ করতে পারবে না। দেশে এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই গ্রামে অবস্থান করছেন। দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেটের বেহাল দশায় অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রমে বিঘœ ঘটবে সে কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। বর্তমানে ইন্টারনেট প্যাকেজ অত্যন্ত ব্যয়বহুল, যা অনেক পরিবারের শিক্ষার্থীর সামর্থ্যরে বাইরে। শুধু তা-ই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অসংখ্য শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা দারিদ্র্যের কারণে স্মার্টফোন সেবার বাইরে রয়েছেন।
ইতোমধ্যে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার কথাও ভাবছে। কিন্তু এসব শিক্ষার্থী কিভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন সে বিষয়ে রয়ে গেছে শঙ্কা। ফলে মফস্বলের মেধাবী শিক্ষার্থীরা শহরের ছাত্রছাত্রীদের থেকে পিছিয়ে পড়বেন। তাই তাদের জীবনাকাশ হতাশার কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। কেননা এদের কাঁধে থাকে পরিবারের হাল ধরার বিশাল দায়িত্ব। একাডেমিক পড়া শেষ করে কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়াই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। এমন করুণ পরিস্থিতিতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা গতিশীল রাখতে এবং স্বপ্ন পূরণের পথকে মসৃণ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেÑ এমনটিই সবার প্রত্যাশা। হ
লেখক : শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
sajibprodhanbd@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৩ দেশে কাতার আমিরের সফরে কী লাভ ও উদ্দেশ্য? মধুখালীর ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি হেফাজতের ফর্মে ফিরলেন শান্ত

সকল