২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সংশোধন হচ্ছি না আমরা

-

এই পৃথিবী মহান আল্লাহর সৃষ্টি। এই পৃথিবীর বাইরে যা আছে তাও আল্লাহর সৃষ্টি। সব কিছুই আল্লাহ্র সৃষ্টি। আমরা সামান্য এইটুকু চিন্তাও করছি না মাত্র দু-চার তলা একটা ভবন নির্মাণ করতে গেলে আর্কিটেকচারের দ্বারস্থ হই। দামি দামি রড দিয়ে পিলার তৈরি করে ভবন দাঁড় করাই। এখানে যে মেধাটা দরকার সেটাও আল্লাহ্র দেয়া। আমরা কি চিন্তা করে দেখেছি বিশাল আকাশটা পিলার খুঁটিবিহীন কিভাবে দাঁড়িয়ে আছে? এই আকাশটা কার সৃষ্টি? আমরা অনেকে বিশেষ পোশাক পরে বিশাল ভাব নিয়ে আছি। আমরা বুঝাতে চাচ্ছি আমরা অনেক জানি। ধরা যাক আমরা কোনো বড় ধরনের একটা শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। সেখানে বিশাল একটি গ্যাসচালিত জেনারেটর দরকার। ১৫০ কোটি টাকা দিয়ে সেটা চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য থেকে আমদানি করা হলো। আমদানি করা হলেই কি সেই জেনারেটরটা আমরা সেটআপ করতে পারব? সেজন্য দরকার হবে সেই দেশের মেশিন সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের। দরকার হবে একটি ম্যানুয়াল বুক। সেই ম্যানুয়াল বুক দেখে দেখে সেই জেনারেটর সেটআপ করতে হবে এবং আজীবন সেই ম্যানুয়াল বুক দেখে দেখেই জেনারেটরটি সার্ভিসিং করতে হবে।
মহান আল্লাহ ক্ষুদ্র একটা গ্রহ সেটা সৃষ্টি করে সেখানে আমাদের পাঠালেন এবং পাঠিয়ে ধারাবাহিকভাবে ম্যানুয়াল বুক পাঠিয়েছেন। যে ম্যানুয়াল বুকের সর্বশেষটা আল কুরআন। এই কুরআনই হলো আপডেট ম্যানুয়াল বুক। কেয়ামত পর্যন্ত এই ম্যানুয়াল বুক দেখেই আমাদের চলার কথা। কিন্তু আমরা কি কুরআনের আল্লাহর দেয়া ম্যানুয়াল বুকটা দেখেছি? দেখছি না। ওয়াজ করার জন্য দু-চারটা লাইন পড়ছি। আমরা হাফেজও তৈরি করছি। ভালো কথা। কিন্তু কুরআনের নির্দেশনা কি মেনে চলছি। মোটেও না। মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ সবর ও নামাজের দ্বারা সাহায্য গ্রহণ করো, আল্লাহ্ সবরকারীদের সাথে আছেন। আর যারা আল্লাহ্র পথে নিহত হয় তাদের মৃত বলো না। এ ধরনের লোকেরা আসলে জীবিত। কিন্তু তাদের জীবন সম্পর্কে তোমাদের কোনো চেতনা থাকে না। আর নিশ্চই আমরা ভীতি, অনাহার, প্রাণ ও সম্পদের ক্ষতির মাধ্যমে এবং উপার্জন ও আমদানি হ্রাস করে তোমাদের পরীক্ষা করব। এ অবস্থায় যারা সবর করে এবং যখনই কোনো বিপদ আসে বলে : ‘আমরা আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর দিকে আমাদের ফিরে যেতে হবে, তাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে দাও।’ (সূরা বাকারা, আয়াত ১৫৩-১৫৬)
বর্তমানে বিশ্ব মহামারী চলছে। এতে আমাদের ভীতি আসছে, আনাহার আসছে, প্রাণ যাচ্ছে, সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। আমদানি হ্রাস হচ্ছে। বহু ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন আমরা হচ্ছি। কিন্তু আমরা কী করছি? যারা আল্লাহর দেয়া বিধানের বিরোধিতা করেছে, সুদের বিস্তার ঘটিয়েছে, পুঁজিবাদী অর্থনীতির মাধ্যমে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষকে অতি দরিদ্র করে রেখেছে, অল্প কিছু মানুষকে অতি ধনী করে রেখেছে; সেই তাদেরই মধ্যমণি বানিয়ে তাদের লেকচার মিডিয়াতে শুনে যাচ্ছি। তারা অর্থনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তাদের কাছে নেই কুরআন। যেখানে রয়েছে পৃথিবীকে সুন্দর করার পদ্ধতি। বৈষম্যহীন করার পদ্ধতিতে। যেটা মেনে চললে এই পৃথিবীতে আজ এত হাহাকার হতো না। তারা পৃথিবীতে অশান্তির দাবানল সৃষ্টি করে রেখেছে। এখন মহামারীর সময়ও নিজেদের মনগড়া কথা বলে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। হ


আরো সংবাদ



premium cement