১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আজ রানা প্লাজা ধসের ১০ বছর

আজ রানা প্লাজা ধসের ১০ বছর - ছবি : নয়া দিগন্ত

সাভারের রানা প্লাজা ধসের ১০ বছর পূর্তি আজ (সোমবার)। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ওই ঘটনা সারাবিশ্বে অন্যতম বড় শ্রমিক দুর্ঘটনা। ওই ঘটনা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নাড়া দিয়েছিল বিশ্ব মানবতাকেও।

অভিশপ্ত ওই ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় একটি ব্যাংক ,ইলেকট্রনিক, কম্পিউটার, প্রসাধনী-সামগ্রী ও পোশাকের দোকানের পাশাপাশি তৃতীয়তলা থেকে অষ্টমতলা পর্যন্ত নিউ ওয়েব বটম্স, নিউ ওয়েব স্টাইল,প্যান্টম্স অ্যাপারেলস,প্যান্টম টেক ও ইথারটেক লিমিটেডসহ পাঁচটি গামেন্টর্স ছিল।

সোমবার সকালে রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী বেদিতে বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি, বাংলাদেশ গামেন্টর্স অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনসহ শ্রমিক সংগঠনগুলো রানা প্লাজার সামনে র‌্যালি ও শ্রদ্ধাঞ্জলীর মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি পালন করছে।

কর্মসূচিতে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির পক্ষ থেকে সাত দফা উল্লেখ করা হয় এবং রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডে ছাড় নয়, সব্বোর্চ্চ শাস্তি চাই উল্লেখ করা হয়।

১। সোহেল রানাসহ সকল দোষীদের ছাড় নয়, সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। সকল দোষীদের পরিচয় জনগনের সামনে আনতে হবে।

২। রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকের প্রতিনিধি ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিকের জন্য অবিলম্বে মজুরি বোর্ড ও ২৫ হাজার টাকা মজুরি চাই। মজুরি বৃদ্ধির আগ পর্যন্ত ৬০ ভাগ মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।

৩। ভিক্ষা নয়, ক্ষতিপুরণের আইন বদল করে একজীবনের ক্ষতিপুরণ দিতে হবে।

৪। আহত শ্রমিকদের দীর্ঘ মেয়াদী শারীরিক ও মানসিক ক্ষতর দায়, চিকিৎসাভার ও প্রয়োজনীয় পূর্ণবাসনের দায়িত্ব মালিক, সরকার ও বায়ারকে নিতে হবে।

৫। রানা প্লাজা এলাকা যথাযথ সংরক্ষন ও স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে হবে।

৬। সকল শ্রমিকদের জন্য মালিক, সরকার ও বায়ারের উদ্যোগে জরুরি তহবিল গঠন করতে হবে।

৭। ২৪ এপ্রিল শোক ও নিরাপত্তা দিবস হিসেবে সকল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা।

এদিকে রানা প্লাজার দক্ষিণ পাশে ক্ষতিগ্রস্তদের সংগঠন ‘রানা প্লাজা সারভাইভারস অ্যাসোসিয়েশন’-এর আয়োজনে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক হৃদয়ের নেতৃত্বে আমরণ অনশন শুরু করেছে।

হৃদয় বলেন, ‘আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব। আমরা হয়ত বাচব, না হয় মরব।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ট্রাজেডি বিশ্বের একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী শ্রমিক দুর্ঘটনা। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক নিহত ও দুই হাজার ৪৩৮ জনকে আহত উদ্ধার করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement