১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`
একান্ত সাক্ষাৎকারে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ

দূরপাল্লার বাসের অনুমতি না দিলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে

-

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ মনে করেন দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি না দিয়ে জেলাভিত্তিক পরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বহুগুণে বেড়ে যাবে। যদিও পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে দাবি জানানো হয়েছিল সরাসরি দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি দেয়ার জন্য। কিন্তু সরকার বিশেষজ্ঞ বা পরামর্শক কমিটির মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই আমাদের দাবিকে অগ্রাহ্য করেছে। গতকাল মঙ্গলবার নয়া দিগন্তের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এসব কথা বলেন।

নয়া দিগন্ত : সরকারতো অবশেষে লগডাউনের মধ্যেই ঈদের আগেই সীমিত পরিসরে পরিবহন চলাচলের অনুমতি দিচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত আপনাদের জন্য ইতিবাচক কি না?
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ : হ্যাঁ, অবশ্যই ইতিবাচক। তবে এই অনুমতির মধ্যেও অনেক ভুল সিদ্ধান্ত আছে বলে আমরা মনে করি।

নয়া দিগন্ত : ভুল সিদ্ধান্ত বলছেন কোন অর্থে? একটু বুঝিয়ে বলবেন?
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ : দেখুন, আমরা বলেছি পাবলিক পরিবহন যদি চলাচলের অনুমতি দিবেই সরকার, তাহলে আরো একটু ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার ছিল। যতদূর জেনেছি সরকার আগামী ৬ এপ্রিল থেকে (সম্ভবত) সীমিত পরিসরে বাস চলাচলের অনুমতি দেবে। তবে এই অনুমতি দেয়া হচ্ছে শুধু জেলা থেকে জেলা শহরে চলাচলের জন্য। আমরা সরকারের কাছে দাবি করেছিলাম ঈদের আগে অন্তত দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি দেয়া হোক।

নয়া দিগন্ত : দূরপাল্লার বাস চলাচলের পক্ষে আপনাদের যুক্তি?
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ : আমরা বলেছি জেলাভিত্তিক বাস চলাচলের অনুমতি দেয়া হলে লোকজনের সংশ্রব বেশি হবে। বাস স্টপেজগুলোতে মানুষের আগাগোনা বাড়বে। মানুষে মানুষে বেশি সংশ্রব হলে সেখানে করোনার ঝুঁকিও বাড়বে। আর দূরপাল্লার বাস চলাচল করলে লোকজনের সংশ্রব কম হবে। ঝুঁকিও কম হবে।

নয়া দিগন্ত : বিষয়টি আরো একটু বুঝিয়ে বলবেন?
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ : ঈদে যদি দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি না দিয়ে সেখানে জেলা শহর টু জেলা শহরে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয় তাহলে ঢাকা থেকে দিনাজপুর কিংবা রংপুর ঠাকুরগাঁওগামী একজন যাত্রীকে কম করে হলেও ১০ থেকে ১২টি জেলা শহরে বাস বদলাতে হবে। আর যদি দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি দেয়া হয় তাহলে একজন যাত্রী ঢাকা থেকে সরাসরি রংপুর কিংবা দিনাজপুর চলে যেতে পারবে। অন্য কোনো জেলায় বা অন্য কোনো যাত্রীর সংস্পর্শে তাকে যেতে হচ্ছে না। আর এভাবে ওই যাত্রী করোনার ঝুঁকি থেকেও মুক্ত থাকতে পারছেন। আর যদি দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি দেয়া না হয় তাহলে করোনার ঝুঁকি আরো বাড়বে।

নয়া দিগন্ত : সরকার কোনো পাল্টা যুক্তি দেখিয়েছে?
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ : সরকার বলতে এখানে যারা পরিবহন চলাচলের বিষয়ে ডিল করছেন তারা শুধু সরকারের গঠিত বিশেষজ্ঞ বা পরামর্শক কমিটির দোহাই দিয়েই পার পেয়ে যাচ্ছেন। আমরাও বুঝতে পারছি না আসলে সরকার কী করতে চাইছে।

নয়া দিগন্ত : আপনারা পরিবহন মালিকরা কি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তি বিশেষত যোগাযোগমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন ?
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ : হ্যাঁ আমরা যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করেও আমাদের এসব দাবির কথা জানিয়েছি। এ ছাড়াও আমরা সংবাদ সম্মেলন করেও বলেছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েও আমাদের দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বক্তব্য প্রচার করেছি।

নয়া দিগন্ত : এখন তাহলে আপনারা কী করবেন ?
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ : আমরা আরো অপেক্ষা করতে চাই। আমরা চাই সরকার সার্বিক পরিস্থিতি আরো বিবেচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নিক।

নয়া দিগন্ত : আপনাকে ধন্যবাদ।
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ : আপনাকে এবং নয়া দিগন্তকেও ধন্যবাদ।


আরো সংবাদ



premium cement
ডেঙ্গুতে আরো একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ, প্রতিদ্বন্দ্বী আ'লীগ নেতাকে ইসির শোকজ বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা চরফ্যাশনে স্কুল শিক্ষিকাকে কোপানো মামলার আসামি গ্রেফতার ফরিদপুরে মাইক্রোবাস-মাহেন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ ভেটো ছাড়াই ফিলিস্তিনের জাতিসঙ্ঘ সদস্যপদ ঠেকানোর চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র সখীপুরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা ভারী বৃষ্টিতে দুবাই বিমানবন্দরে চরম বিশৃঙ্খলা, দুর্বিসহ অবস্থা বেসিক ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন ভরিতে ২০৬৫ টাকা বেড়ে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড ইরানি জবাব নিয়ে ভুল হিসাব করেছিল ইসরাইল!

সকল