১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

নয়া দিগন্তের সাবেক অতিরিক্ত বার্তা সম্পাদক হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী আর নেই

হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী - ছবি : সংগৃহীত

দৈনিক নয়া দিগন্তের সাবেক অতিরিক্ত বার্তা সম্পাদক ও অর্থনীতি প্রতিদিন-এর বার্তা সম্পাদক হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী আর নেই। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন।

করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ার পর তিনি ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী সাব এডিটরদের সংগঠন সাব এডিটর্স কাউন্সিলের দুবার নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের দৈনিক নয়া বাংলা, ঢাকার দৈনিক দিনকাল, দৈনিক আমার দেশ, পাক্ষিক পালাবদলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ছিলেন। মরহুম হুমায়ুন ছিলেন একজন অজাতশত্রু ধরনের সংবাদকর্মী। তিনি জনপ্রিয় শিশু সাহিত্যিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য ছিলেন।

দাফনের জন্য তাকে গ্রামের বাড়ি বাঁশখালিতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে পরিবার থেকে জানানো হয়েছে।

ফেসবুকে গত ১৭ নভেম্বর তার শেষ স্ট্যাটাসটি ছিল এ রকম-
চারদিকে কেবল শুনি, ''বাঁচাও, বাঁচাও!!''
কাকে বাঁচাব, কী বাঁচাব?
বন্য প্রাণী বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও, সাপ বাঁচাও, কুত্তা বাঁচাও... এমন আরও কত কী।
কোনোটাতেই আপত্তি নেই আমার। বাঁচার ও বাঁচানোর অধিকার সবার আছে।
কিন্তু হতাশ লাগে তখনই, যখন কেউ বলে না, ''মানুষ বাঁচাও!''
পরক্ষণেই ভাবি, কে বলবে ''মানুষ বাঁচাও!'' বন্য প্রাণী, বাঘ, সাপ, কুত্তা কেউ তো দল বেঁধে মানুষকে মারতে আসছে না, সারা পৃথিবীতে মানুষ নিজেই নিজেকে মারছে। তাঁকে বাঁচাতে ডাক দেবে কে, আর সে ডাক শুনবেই বা কে!

হুমায়ুন সাদেক চৌধুরীর জন্ম চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি গ্রামে; ১৯৬০ সালের ৪ মার্চ। ছোটবেলা থেকে বইয়ের সাথে সখ্য। সেই সূত্রে লেখালেখির জগতে। মূলত শিশুসাহিত্যই ছিল তার অঙ্গন, আরো নির্দিষ্ট করে বললে বলতে হয়, ছড়ার রাজ্যেই তার ছিল প্রধান পদচারণা।

তার প্রথম লেখা ১৯৭৬ সালে ছাপা হলেও প্রথম বই কিশোরকবিতাগ্রন্থ এক কিশোরের মন প্রকাশ হয় তার দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় পরে, ২০০৯ সালে; অ্যাডর্ন থেকে।


আরো সংবাদ



premium cement