২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হৃদরোগ হাসপাতালের সিসিইউতে সম্রাট

- ছবি : সংগৃহীত

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার রাতে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) রাখা হয়েছে।

এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম জানান, সম্রাটের অবস্থার অবনতি হলে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ রোববার তাকে হৃদরোগ ইন্সটিটিউট হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করেছে। তিনি এখন ওখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।

এদিকে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ(সিআইডি)। আইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের উপ-পরিদর্শক রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় এই মামলা (মামলা নম্বর ১৪) দায়ের করেন।

সম্রাট তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের মাধ্যমে ১৯৫ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেছে বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

সিআইডির মামলা সূত্রে জানা গেছে,২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেসার্স হিস মুভিজ নামে কাকরাইলের একটি অফিসে অবস্থান করে অবৈধ কর্মাকান্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে সম্রাট। সহযোগী আরমানের মাধ্যমে এসব অর্থ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করে।

সিআইডির মামলা সূত্রে আরো জানাগেছে, ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইতে দুইবার এবং হংকংয়ে একবার ভ্রমণ করেছে।

এছাড়া তার সহযোগী এনামুল হক আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত ২৩ বার সিঙ্গাপুর ভ্রমণ করেছে।

জানাগেছে, ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় গত বছর সম্রাটকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

এছাড়া জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement