২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঈদের ছুটিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে বিভ্রান্তি

- ছবি : সংগৃহীত

দেশে গত তিন মাসের মধ্যে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আজকের বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার এক হাজারের বেশ নিচে। নতুন করে ৮৮৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা গতকাল ছিল ২,১৯৯ জন।

আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কি কমে গেলো?

কিন্তু আসলে নমুনা পরীক্ষার হার ঈদের ছুটির এই সময়ে ব্যাপকভাবে কমে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোটে সাড়ে তিন হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যা তার ঠিক আগের দিনও ছিল ৮ হাজার ৮০০ এর মতো।

পরীক্ষা এত কম হওয়ার কারণ কি?
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলছেন, "অন্যতম একটা কারণ হল ব্র্যাক আমাদের যে নমুনা সংগ্রহ করে দেয় তারা তিনদিন তাদের বুথগুলো বন্ধ রাখবে সেটা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানিয়েছিল। ব্র্যাক ঢাকা ও চট্টগ্রামে তাদের বুথ থেকে আমাদের নমুনা সংগ্রহ করে দেয়।

''ঢাকাতেই তো আসলে সর্বাধিক কেস। ঢাকা বিভাগেও সবচেয়ে বেশি। যেহেতু ব্র্যাক ঢাকাতে নমুনা সংগ্রহ করে দেয়, তারা যেহেতু তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে নমুনা কম সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে।"

ব্র্যাকের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পরীক্ষার ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেলো সেখানে লেখা রয়েছে "০৩ অগাস্ট, ২০২০ সোমবার এর করোনা শনাক্তকরণ টেস্টের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ আছে"।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের ওয়েবসাইটে যে ম্যাপ দেয়া রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ঢাকায় তাদের ৩০টি বুথ রয়েছে এবং আরও চারটিতে কাজ শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।

নাসিমা সুলতানা আরও বলছেন, ঈদের সময় পরীক্ষা করাতে এমনিতেও মানুষজন কম এসেছেন।

তিনি আরও বলছেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সরকার নির্ধারিত সাড়ে তিন হাজার টাকা ফি দিয়ে অনেকেই পরীক্ষা করাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন।

এমনিতেই সরকার ফি নির্ধারণের পর থেকে মানুষজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করানোর আগ্রহ কমে গেছে।

পরীক্ষা কম হওয়ার সম্ভাব্য প্রভাব
অথচ ২৪ ঘণ্টায় ১৮ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে। ঈদের সময় সাধারণত স্বাস্থ্যসেবা সীমিত পরিসরে চলে।

ঈদের সময় আন্তঃজেলা যাতায়াত বেশি হওয়ায় সংক্রমণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বয়ং।

ঈদের আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম একইভাবে চালু থাকবে। কিন্তু সেটি বাস্তবে ঘটেনি।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলছেন ঈদের সময় বরং আরও বেশি নমুনা পরীক্ষা হওয়া উচিৎ।

তিনি বলছেন, "যখন ঝুঁকিটা বেড়ে যায়, তখন আমাদের দায়িত্ব টেস্টের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়া। কয়েকদিন নমুনা পরীক্ষা কম হলে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা রোগ ছড়াবে কারণ তারা স্বাভাবিক মেলামেশা বজায় রাখবে। একই সাথে কত লোকের মধ্যে রোগ ছড়াচ্ছে, কয়েকদিন পরে কত লোক সংক্রমিত হতে পারে তার বিজ্ঞানভিত্তিক ধারণাটা আমরা করতে পারবো না।"

ডা. লেলিন চৌধুরী আরও বলছেন, "বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন হল যত বেশি পরীক্ষা করা যায় তত বেশি রোগী শনাক্ত করা যায়, তার চিকিৎসা এবং সে কাদের সংস্পর্শে এসেছিল সেটি জানা সহজ হয়। এতে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি ঠেকানোর জন্য পরিকল্পনাও করা যায়।"

তিনি বলছেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বুথ বন্ধ থাকবে এমন তথ্য সরকারের যদি আগে থেকে জানা থাকে তাহলে উচিৎ ছিল বাড়তি ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুতি নেয়া। বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
রাবিতে গ্রীষ্মের ছুটি স্থগিত, ঈদের সাথে সমন্বয় করে ছুটির নতুন তারিখ ঘোষণা ইন্দোনেশিয়ার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট প্রাবোও গাজার ২টি হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান, তদন্তের আহ্বান জাতিসঙ্ঘের তীব্র তাপদাহে পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বিএনপির ৬ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ, সিলেট বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা মাতামুহুরিতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ২ আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ ফেনীতে ইসতিসকার নামাজে মুসল্লির ঢল গাজা যুদ্ধের মধ্যেই ১০০ শতাংশ ছাড়িয়েছে ইসরাইলের সামরিক ব্যয় মন্ত্রী-এমপি’র স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা : কাদের গ্যাটকো মামলা : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শুনানি ২৫ জুন

সকল