২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবিতে আরো এক শিশুর লাশ উদ্ধার

- সংগৃহীত

বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া ‘এমএল মর্নিং বার্ড’ থেকে আরো এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে উদ্ধার হওয়া লাশের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩ জন। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটির ইঞ্জিন রুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বাহিনীর সহকারী পরিচালক মো. সালেহ উদ্দিন ঘটনাস্থল থেকে জানান রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। অভিযান এখন শেষ পর্যায়ে। অভিযানের একপর্যায়ে দুপুর পৌনে ১টার দিকে আরো এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে মোট ৩৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো।

ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা শেষ পর্যায়ের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। লঞ্চটি পানির ওপর ভাসমান অবস্থায় তীরের কাছাকাছি আনা হয়েছে। এর তলদেশ ওপরে এবং উপরের অংশ নদীর তলায় মাটিতে লেগে আছে।

লঞ্চের ভেতরে এখনও কেউ আছে কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ থাকার সম্ভাবনা না থাকলেও এখনই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হচ্ছে না। একেবারে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।

এ ঘটনায় মো. রিফাত (২৪) ও সুজন বেপারী (৪৩) নামে দুই যুবককে জীবিত অবস্থায় উদ্বার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের ডিউটি অফিসার কর্মকর্তারা রাসেল শিকদার জানান, আজ দুপুর ১২টা ৪৮ মিনিটের সময় ঘটনাস্থল থেকে আরো এক শিশুর লাশ উদ্বার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত দুই দিনে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্জডুবির ঘটনায় ৪ শিশু ৮ নারী ও ২২ পুরুষসহ মোট ৩৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। এছাড়া পানির নিচে ১৩ ঘণ্টা আটকে থাকা অবস্থায় সুমন বেপারীকে এবং এরআগে মো: রিফাতকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে “মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি এলাকা থেকে ৬০-৭০ জন যাত্রী নিয়ে মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি ঢাকায় আসছিল। লঞ্জটি ফরাশগঞ্জ ঘাটে এসে পৌছালে পিছন দিক থেকে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ নামে অপর একটি লঞ্চ ধাক্কা দিলে মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি পানিতে ডুবে যায়। বাসস


আরো সংবাদ



premium cement