২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিমানবন্দরে চেয়ারে বসে মশার কামড় খেয়ে রাত কাটাতে হলো ৮৬ প্রবাসীকে

শাহ আমানত বিমানবন্দরে চেয়ারে বসে মশার কামড় খেয়ে রাত কাটাতে হলো ৮৬ প্রবাসীকে। - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঘন কুয়াশার কারণে ১২ ঘণ্টা বিলম্বে চট্টগ্রাম ছেড়েছে আবুধাবিগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। এতে বিজনেস ক্লাসের একজন ও ইকোনমি ক্লাসের মোট ২৭৪ জন যাত্রীকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এতে মারাত্মক ভোগন্তিতে পড়তে হয়েছে ওই বিমানের যাত্রীদের।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে আবুধাবিগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ১২৭ ফ্লাইটটি রাতে যেতে পারেনি। সকালে আকাশ পরিষ্কার হলে উড্ডয়ন করা হয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিজি ১২৭ ফ্লাইটটি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গতকাল সোমবার রাত ১০টা ৫ মিনিটে উড্ডয়নের শিডিউল ছিলো। সে অনুযায়ী যথাসময়ে যাত্রীদের ইমিগ্রেশনসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু আবহাওয়াজনিত কারণে বিমানবন্দর এলাকায় ভিজিবিলিটি কমে যাওয়ায় ফ্লাইটটি যায়নি। পরে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪৮ মিনিটে বিমানটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

সূত্র জানায়, আবহাওয়াজনিত কারণ দেখিয়ে বিমানটির যাত্রীদের বিমানে উঠানোর পর রাতে আবার নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু ফ্লাইট বাতিল ঘোষণার চার ঘণ্টা পরও হোটেলে না দিয়ে ওয়েটিং রুম বসিয়ে রাখায় যাত্রীরা হট্টগোল শুরু করে।

বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, বিমান বাতিল হলে বা ছাড়তে দেরি হলে যাত্রীদের হোটেল ব্যবস্থা করার কথা সংশ্লিষ্ট বিমানসংস্থার। কিন্তু এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিমানসংস্থার গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। এ নিয়ে যাত্রীদের হট্টগোলের একপর্যায়ে রাত ২টা ২৫ মিনিটে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে যাত্রীদের হোটেলে নেয়ার ব্যবস্থা করেন।

কিন্তু মোট ২৭৪ জন যাত্রীকে বোর্ডিং পাশ দেয়া হলেও তাদের মধ্যে ১৮৮ জনকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে সূত্র অভিযোগ করেছে। বাকি ৮৬ জনকে বাস সংকটের অজুহাত দিয়ে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়নি বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী নয়া দিগন্তকে জানিয়েছে। ফলে বিমানবন্দরের চেয়ারে বসে-শুয়ে মশার কামড়ে রাত কাটাতে হয়েছে ভুক্তভোগী প্রবাসীদের।

যাত্রীদের অভিযোগ বিষয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, যাত্রীদের হোটেল ব্যবস্থাপনা করার কথা সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার। তবুও সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ হতে যাত্রীদের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement