মর্গের সামনে নিহতদের লাশের জন্য স্বজনদের দিনব্যাপী অপেক্ষা
- মোরশেদ মুকুল
- ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:০৮, আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:০৮
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের লাশ চেয়ে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। তাদের অপেক্ষার যেন শেষ নেই। সকাল থেকে তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গের সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। নিহতদের ময়নাতদন্ত শেষ না হওয়ায় লাশ হস্তান্তর শুরু করতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে মর্গে আসেন ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. সোহেল মাহমুদ। এরপর ময়নাতদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে সকাল থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্বজনরা মর্গের সামনে অবস্থান নেন। বিকেল ঘনিয়ে এলে তাদের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। এক সময় তারা মর্গের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তারা দ্রুত স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের দাবি জানান।
কিন্তু মর্গের স্টাফ সিকান্দার জানান, ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ ছাড়পত্র দিয়ে লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করবেন। তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিহত আবদুল খালেকের (৩৫) চাচাতো ভাই মোশারফ জানান, খালেকের দুই ছেলে-মেয়ে। বড় জন ৮ম শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়েছে। ছোট ছেলে নুরানীতে পড়ে। মোশারফ জানান, মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে অনেক দেরি করে ফেলেছে। সময়মতো ময়নাতদন্ত শুরু না করায় কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করেন তিনি।
নিহত জিনারুলের (৩২) চাচা মহিনুর রহমান জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি মাগুরার সীমাখালি ছয় গরিয়ায়। জিনারুলের দুই ছেলে-মেয়ে। এরপর বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে মহিন। আর কোনো কথাই বলতে পারেননি তিনি।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যার এ আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৪তে পৌঁছেছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, আজ বিকেল ৪টার দিকে দগ্ধ ফারুক নামে আরো একজন মারা যান।
নিহতরা হলেন- বাবুল (২৫), রায়হান (১৬), ইমরান (১৮), সালাহ উদ্দীন (৩২), আবদুল খালেক (৩৫), সুজন (১৯), জিনারুল ৩২), আলম (৩৫), ফয়সাল (২৫), আবদুর রাজ্জাক (৪৫), জাহাঙ্গীর, মাহবুব, মেহেদি, রাজ্জাক ও ফারুক।
এর আগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হিজলতলা এলাকায় বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে একটি প্লাস্টিক কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডে জাকির হোসেন (২৫) নামে একজন নিহত ও কমপক্ষে ৩০ জন দগ্ধ হন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও কারখানার আহত শ্রমিকরা জানান, প্লাস্টিকের ওয়ানটাইম গ্লাস তৈরির সময় হঠাৎ একটি গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটলে মুহূর্তেই কারখানার ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা