১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিসরে যা ঘটছে

মিসর ও সিসি - ছবি : সংগ্রহ

মিসরে সম্প্রতি নয়জন যুবককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি প্রশাসনের ফরমায়েশি আদালত এই ফাঁসির আদেশ দেয়। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এর আগের সপ্তাহে আরো ছয়জনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। বিশ্ববাসী জানে না, তাদের অপরাধ কী? এখন মিসরে কার কী অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড হলো, কি অপরাধে ধৃত হলো বা কেন জেলে আছে, সেটি যেন কোনো বিষয় নয়। কাকে মেরে ফেলা হবে, কে জেলে থাকবে বা কার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হবে- এসব আগেই স্থির করা হয়।

বিষয়টা কোর্টে গেলে সেখানে ফুড প্রসেসিংয়ের মতো প্রয়োজনীয় ‘প্রসেসিং’ করা হয়। এ কাজকে সহজ করার জন্য সিসির জান্তা ডজন ডজন বিচারককে সরকারবিরোধী বলে চাকরিচ্যুত করেছেন আর কয়েক ডজন বিচারককে দফায় দফায় পদোন্নতি দিয়ে মূল স্থানে বসিয়েছেন। বিষয়গুলো জনমানুষের ও মিডিয়ায় চোখে এত বেশি লেগেছে যে, মিসরের জনগণ এসব বিচারকদের ‘ফাঁসির জজ’ বলে সম্বোধন করেছে। এদের অনেকের আইন সম্পর্কে ভালো ধারণাও নেই। তথাপি এসব বাছাই করা ব্যক্তিদের নিয়ে ‘সন্ত্রাসী আদালত’ গঠন করা হয়েছে। এসব আদালতকে ‘ক্যাঙ্গারু আদালত’ বলেও ডাকা হয়। মিসরে বিরোধীদের ঠাণ্ডা করার জন্য ডাণ্ডা ছাড়াও ‘ফাঁসির জজ’ একটা বড় ওষুধ।


এদের মধ্যে একজনের বেশ নামডাক। তিনি হলেন মোহাম্মদ নাজি সেহাতা। তিনি সব সময় কালো চশমা পরিধান করেন, এমনকি আদালতে বসলেও। তার অভিব্যক্তি যেন প্রকাশ না পায়, তাই তিনি এটি পরিধান করেন। জেনরেল সিসিও একই ব্র্যান্ডের কালো চশমা পরিধান করেন। চোখ মনের কথা বলে; তা যাতে সহজে প্রকাশিত না হয় তাই এ ব্যবস্থা। মিসরের মিডিয়া ক্লিপে দেখা যায়, এ পর্যন্ত ২৬৩ জনকে একটি মাত্র সেশনে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন এ বিচারক। আজরাইল কারো প্রাণ হরণের আগে নাকি ৭০ বার অবলোকন করেন, কিন্তু সেহাতার কালো চশমার ভেতরে জ্বল জ্বল করা চোখের একবারের দৃষ্টিতেই মানুষের গলায় ফাঁসির রশি ঝুলে পড়ে। এর পর নাম করা যায় হাসান ফরিদের। তার দস্তখতে মৃত্যুদণ্ড হয়েছে ১৪৭ জনের। সর্বশেষ ৯ জনের ফাঁসিও তার দস্তখতেই সম্পন্ন হলো। আর শাবান আল শামী ১৬০ জনের মৃত্যু পরোয়ানা দিয়েছেন।

তাদের অনেকেই মিসরে নেই। তাই আদালতে তাদের পক্ষে কোনো ডিফেন্স নেই, শুনানির ঝামেলাও নেই। প্রসিকিউশন যা দিলো, তাকে একটু প্রসেস করা আরকি। তার স্বাক্ষরিত পরোয়ানায় রয়েছেন নির্বাচিত নির্দোষ প্রেসিডেন্ট মুরসি এবং বিশ্ব ইসলামিক স্কলার ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ইউসুফ আল কারজাভিও। সাইদ সাবরি আরো একজন ক্যাডার জজ। তিনি একই সেশনে ৬৮৩ জনের ফাঁসির আদেশ জারি করেছেন এবং ৪৯৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। বিপ্লবের সময় যেসব পুলিশ তাদের পরিবারের লোকজনকে হত্যা করেছে, আগুনে পুড়িয়েছে, সেসব প্রমাণসহ যে মামলা আত্মীয়রা করেছেন তিনি তা শুনেননি, বরং ‘ফাইল’ করে দিয়েছেন। আমরা ‘ফাইল’ অর্থ মনে করি যতœ করে রাখা; কিন্তু আদালতি ভাষায় ফাইল মানে শেষ, ছুঁড়ে ফেলে দেয়া। সর্বকনিষ্ঠ বিচারক মোহাম্মদ শিরিন ফাহমি ৪৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। এখন তিনি সন্ত্রাস বিভাগের একজন বড় জজ।

চিফ প্রসিকিউটর হাশিম বরকতকে বহনকারী চলন্ত গাড়িটি বোমা বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় এবং তিনি মারা যান। যে ৯ জনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে, তাদের এ জন্য দায়ী করা হয়েছে। অথচ বিস্ফোরণের পর তিনি গাড়ি থেকে নেমে অন্য গাড়ি করে হাসপাতালে গেছেন। চিকিৎসা চলাকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কারা বোমা মেরেছে এবং কারা তার সাক্ষী- এসব এখনো অস্পষ্ট। তবে ঘটনার পরপরই বহু তরুণকে ধরা হয়েছে। এরা সবাই লেখাপড়া জানা এবং এলাকায় জনপ্রিয় ও সচ্চরিত্রবান। কিন্তু প্রচণ্ড ইলেকট্রিক শক দিয়ে তাদের স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। ৯ জনের বিচার চলাকালে মাহমুদ নামে একজন প্রতিবাদ করলে বিচারক বলেন, ‘তুমি তো অপরাধ স্বীকার করেছ’।


মাহমুদ বলে, ‘আপনাকে যদি ওই ইলেকট্রিক শক দিয়ে বলা হয়- আনোয়ার সাদাতকে আপনি খুন করেছেন, তবে আপনিও তা স্বীকার করবেন।’ বিশেষ প্রকোষ্ঠে বিচারকাজ চললেও মিডিয়ায় পুরো বিষয়টি প্রকাশিত হয়ে যায় যে, এভাবেই স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। অথচ এ ধরনের ‘কনফেশন’ দিয়ে সুবিচার চলে না; বিশেষ করে ফাঁসি দেয়া। দোষ স্বীকার বা কনফেশনকে অন্যান্য সাক্ষ্য দিয়ে ‘ভেরিফাইড’ বা প্রমাণিত হতে হয়। প্রমাণে সামান্যও সন্দেহ থাকতে পারে না। মামলা প্রসিকিউশনকে সন্দেহাতীত বলে প্রমাণ করতে হয়, একমাত্র তখনই সাজা দিতে পারেন আদালত।

সার্বজনীন বিচারপদ্ধতিতে এই নিয়ম অনুসরণ করা হয়ে থাকে। অথচ একটি সেশনে তাড়াহুড়া করে মিসরে এসব মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। আসলে অপরাধ, বিচার এসব মুখ্য নয়, মুখ্য হলো কিছু বাছাই করা মানুষকে আজরাইলের হাতে তুলে দেয়া। এখন দেখা যাচ্ছে- চিফ প্রসিকিউটারের হত্যার কেসটা সিসির ডিপ স্টেটের খেলা, অর্থাৎ সিসি নিজেই হোতা। তা না হলে চিফ প্রসিকিউটরের সন্তানরা আদালতে এভাবে বলত না, ‘আমরা মোটেই মনে করি না, এই ৯ তরুণ আমাদের বাবাকে হত্যা করেছে। বিষয়টি ধীরে সুস্থে তদন্ত করা হোক।’ এসব চিত্র একনায়ক সিসির চরিত্রকে উন্মোচিত করছে। এখনো বিরোধী শিবিরের লক্ষাধিক মানুষ তার জেলখানায় মৃত্যুপ্রহর গুনছে। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ও অনেকে দেশ ত্যাগ করছে। সিসির মিসর এখন এক বধ্যভূমি মাত্র।

সিসি বলে থাকেন, ‘আমাকে বেশি বেশি লোক ধরতে হবে। তা না হলে এদের যে কেউ আমাকে ধরবে। এ নীতিতেই প্রেসিডেন্টকে (মুরসিকে) ধরেছি।’ দেখুন, কত বড় ন্যক্কারজনক স্বীকারোক্তি! এরই ধারাবাহিকতায় কথিত প্রেসিডেন্ট সিসি হোসনি মোবারকের দুই পুত্র গামাল মোবারক ও আলা মোবারককে ধরেছেন। সরকারি পত্রিকা আল-আখবারের সম্পাদক ইয়াসিরকেও ‘সাইজ’ করেছেন। গামালকে ধরার কৌশল হিসেবে সিসি বলেছেন, তিনি ব্রাদারহুডের সাথে চুক্তি করেছেন। সিসি বলে থাকেন, মিসরের সব দুর্ভোগ ও কষ্টের সাথে ইখওয়ান বা ব্রাদারহুডের ‘শয়তানি হাত’ রয়েছে; কিন্তু জনগণ তা মোটেই বিশ্বাস করে না। একইভাবে তিনি তার সব প্রতিদ্বন্দ্বীকেও ‘সাইজ’ করছেন। যেমন, সাবেক জেনারেল শামি আনন। তিনি সিসির সাথে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। এটাই নাকি অপরাধ। মোবারক তার ছেলেদের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে না জড়াতে। কিন্তু তারা কথা শুনেনি। তাই সিসির হস্তক্ষেপ।

এভাবে সিসির বিরোধী যারা হবেন এবং হয়েছেন তাদের একটি বড় তালিকা রয়েছে। তালিকায় নেতাদের ছেলেমেয়েরাও রয়েছে যাতে তার ভাষায়, ‘কোনো বিষবৃক্ষের ছায়াও যেন না থাকে।’ কিছু নাম উল্লেখ করছি, মোহাম্মদ আল বারাদি, কমেডিয়ান বাসেম ইউসুফ, বাম ঘরানার খালেদ আলী, মারজৌকি, হামদিন সাবাহি, আহমদ মাহের, ইসরা আবদেল ফাত্তাহ, আহমদ শফিক, হিশাম, লেখিকা ফাতিমা নুত, সংসদ সদস্য আনোয়ার সাদাত। উল্লেখ্য, এরা কেউ ইসলামপন্থী নন; বরং বেশির ভাগ ব্রাদারহুড বা ইখওয়ানুল মুসলিমিনের বিপক্ষে। বিরোধী নেতাদের আত্মীয়স্বজনেরাও আছেন বিপদে। সেনাবাহিনীর প্রধানের পদ থেকে মাহমুদ হেগাজিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেননা, সিসির ছেলের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল সিদকি সোভিকেও একই সাথে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করার কয়েকদিন পরই ইউরোপীয় নেতারা মিসরে গেলেন এবং আরব ও আফ্রিকার নেতাদের সাথে মিলিত হন। ওই সফর ছিল সিসির সাথে একাত্মতা ঘোষণার জন্য। তার মানবতাবিরোধী কার্যক্রমে নীরব সম্মতি দেয়া হলো। একনায়ক সিসি যখন ইউরোপ ভ্রমণ করেছেন, তখন তাকে লাল কার্পেট সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। তখন গণতন্ত্র, মানবাধিকার, গণমানুষের কণ্ঠরোধ করার বিষয়ে ইউরোপের নিরপক্ষে মিডিয়া অনেক সমালোচনা করেছে। একদিন ডিনারের পর মার্কিন প্রশাসন থেকে বার্তা পাঠানো হয়, ‘আমরা আপনার সাথে আছি, আপনি যা করেন না কেন।’

৯ জন তরুণের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওযার পর মিসরকে এবং কারাবন্দীদের মুক্ত করার জন্য ইখওয়ানুল মুসলিমিন সম্মিলিত বিরোধীদল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। আসলেও সামরিক শাসনের হাত থেকে মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদল গঠন করা দরকার। সেনাপ্রধান আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি ২০১৩ সালে ক্ষমতা দখলের পর ওই বছরের ডিসেম্বরে ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে নিষিদ্ধ এবং নেতাকর্মীদের সম্পদও জব্দ করেন। নেতাকর্মীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ও পুলিশের অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। সভার জন্য পুলিশের অনুমতি আর পাওয়া যায় না। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মিসর সফরে গিয়ে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের আমলের চেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে মানবাধিকার পরিস্থিতির। কিছু রাজনৈতিক দল ইখওয়ানের ডাকে পৃথকভাবে সাড়া দিয়েছে। যেমন- সিভিল ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট। এই দলটি লিবারেল ও সেক্যুলার বামপন্থীদের নিয়ে গঠিত। এই প্রথমবার সিসির বিরুদ্ধে ফেসবুক পাতা খোলা হয়েছে ‘আলমাউকিফ আলমিসরি’ নামে। তারা সিসির কথিত সংস্কারের বিরুদ্ধে এক হয়েছেন।

দেখা যাচ্ছে, সিসি এখন পয়েন্ট অব নো রিটার্নে পৌঁছেছেন। তার সামনে এখন একটিই দরজা খোলা। তাহলো ক্ষমতায় থাকা। তা করতে হলে সিঁড়ি তাকেই বানাতে হবে। তিনি তা করেছেন। গত বছরের ২০১৮ মার্চে নির্বাচনের আগে ‘মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ভোটের আগেই ফলাফল’ কলামে লিখেছিলাম- তিনি ক্ষমতায় এসে সংবিধানে হাত দেবেন। কার্যত তাই করছেন। সংবিধান পরিবর্তন করা হলে সিসি ২০৩৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। তখন তার বয়স হবে ৮০ বছর। ২০১৬ সালের হিসাবে দেখা গেছে, মিসরীয়দের গড় আয়ু ৭১.৪৮ বছর। তাই এই হিসাব খুবই যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়। বিপ্লব পরবর্তী সংবিধানে একজন প্রেসিডেন্ট সর্বাধিক চার বছর মেয়াদে দুইবার ক্ষমতায় থাকার বিধান রয়েছে। এখন সেটা বদল করে ‘অমরত্ব’ দেয়া হচ্ছে।

সংবিধানে সেনাবাহিনীকে ‘রাষ্ট্রের অভিভাবক’ বলা হয়েছে। সংবিধানের ২০০ ধারাকে নতুন করে লেখা হয়েছে, ‘the constitution and democracy and the fundamental makeup of the country and its civil nature.’ কিন্তু গণতন্ত্র ও সিভিল সোসাইটি মিসরে উধাও এবং মিসরের ইতিহাসে এই প্রথম সেনাবাহিনীকে সংবিধানের রক্ষক করা হয়েছে! সংবিধানের ১৮৫ ধারায় ‘কাউন্সিল অব জুডিশিয়াল বডিস’ গঠন করা হয়েছে এবং তার সভাপতি করার প্রস্তাব করা হয়েছে স্বয়ং প্রেসিডেন্টকে। তিনি ইচ্ছামত কমিটির সদস্য নিয়োগ করবেন। বিচারের কী অবস্থা হবে, তা সহজেই অনুমেয়। এরকম জঘন্য পরিবর্তন কি রুখে দেয়া যাবে? সিসি নিজেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান হয়েছেন, সংসদ, মিডিয়া, বিচারব্যবস্থা, নিরাপত্তা, সব ক্ষেত্রে। তাই কারো বিরোধিতা করার উপায় নেই আপাতত। সেনা কর্তৃপক্ষ আল বারাদির কয়েকজন সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। যারা সিসির বিরোধিতা করবেন তাদের জেল খাটতে হবে। তিনি তড়িঘড়ি করে নতুন ১৭টি জেলখানা নির্মাণ করেছেন।

একনায়ক ও স্বৈরশাসকেরা একজন অপরজনের কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করে না। তাই সিসির পথচলা মুবারকের মতোই। মুবারকের পরিণতি থেকে শিক্ষা লাভ করেননি। সিসির বাসস্থান থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে ফেরাউনের মমি। তার পরিণতি থেকে বর্তমান শাসকেরা কিছু শিখছেন বলে মনে হয় না। মুবারক একটি দল সৃষ্টি করেছিলেন। সিসি দল সৃষ্টি করছেন না। বিরোধীদলকে নিপীড়ন ও হত্যা করে ‘নিষ্কণ্টক’ সিসি রাজাসন তৈরি করছেন। ইতিহাসের নিষ্ঠুর রাজারা এমনই করতেন। তারপরও তারা একদিন পরাজিত হয়েছেন। সিসি এমন অবস্থানে গেছেন, যেখান থেকে ফেরার কোনো পথ খোলা নেই।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল