২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আজ শুভ বড়দিন

আজ শুভ বড়দিন - ছবি : সংগৃহীত

আজ ২৫ ডিসেম্বর শুভ বড়দিন (ক্রিস্টমাস)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে দেশের সব চার্চ ও তারকা হোটেলগুলোকে ক্রিসমাস ট্রি, রঙিন বাতি, বেলুন আর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি হোটেল ও পরিবারগুলোতে নানা ধরনের কেক, পিঠা ও বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি মহাসচিব খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

জানা যায়, দুই হাজারেরও বেশি বছর আগে এই শুভ দিনে পৃথিবীকে আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখিষ্ট। যিনি মুসলমানদের কাছে আল্লাহর রাসূল হজরত ঈসা (আ:) হিসেবে পরিচিত। বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্ম হয়েছিল যিশুর। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলির জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।

রাষ্ট্রপতির বাণী : রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। বড়দিন উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বড়দিন উপলক্ষে দেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা সারা বিশ্বে যিশুখ্রিষ্টের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে ‘বড়দিন’ যথাযথ মর্যাদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে উদযাপন করে থাকেন। যিশুখ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী, মানবজাতির মুক্তির দূত এবং আলোর দিশারি। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে তিনি বহু ত্যাগের বিনিময়ে সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও খ্রিষ্ট ধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেন। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি কামনা করেন যে, শুভ ‘বড়দিন’ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ সবার জন্য বয়ে আনুক অশেষ আনন্দ ও কল্যাণ, সবার জীবন ভরে উঠুক সুখ ও সমৃদ্ধিতে।

প্রধানমন্ত্রীর বাণী : বড়দিন উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সবাই একসাথে উৎসব পালন করব। আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সবাই মিলে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। তাই এই দেশ আমাদের সকলের। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি।’

বড়দিন উপলক্ষে তিনি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট এ দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রবর্তনই ছিল যিশুখ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যিশু নিজেকে উৎসর্গ করেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলির জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।

বিএনপির শুভেচ্ছা : বড়দিন উপলক্ষে খৃষ্ট ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল এক বাণীতে বলেন, খৃষ্ট ধর্মের প্রবর্তক মহান যিশুখৃষ্টের জন্মদিন হিসেবে বড়দিন বিশ্বের সকল খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীর কাছে অত্যন্ত পবিত্র একটি দিন। বাংলাদেশেও দিনটি সমমর্যাদায় প্রতি বছর উদযাপিত হয়। তিনি বলেন, যুগে যুগে ধর্ম প্রচারকগণ মানুষকে অন্ধকার পথ থেকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। মহামানবদের প্রদর্শিত পথ অনুসরণই বয়ে আনতে পারে সার্বিক কল্যাণ। বড়দিনের সব আনুষ্ঠানিকতার সাফল্য কামনা করেন মির্জা ফখরুল।


আরো সংবাদ



premium cement