২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কানাডায় নিজ ফ্ল্যাটে প্রাণ হারানো শিক্ষার্থীর দাফন সম্পন্ন

কানাডায় নিজ ফ্ল্যাটে প্রাণ হারানো শিক্ষার্থীর দাফন সম্পন্ন - ছবি : সংগৃহীত

কানাডার মন্ট্রিয়লে নিজ ফ্ল্যাটে প্রাণ হারানো বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ইয়াসিন মোহাম্মদ খান ফাহিমের (২৬) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মন্ট্রিয়লের ডরভাল এয়ারপোর্ট থেকে টার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইটে শুক্রবার (১২ মে) তার লাশ ঢাকায় পৌঁছায়। পরে তার লাশ গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুরে নেয়া হয়। বাদ জুমা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

এদিকে গ্রামের বাড়িতে লাশ পৌঁছার পর স্বজনদের আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

ফাহিমের মৃত্যুতে দূতাবাসের পক্ষ হতে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর অপর্ণা পল প্রতিদিন ফাহিমের পরিবারের খোঁজ নিয়েছেন এবং তার লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

স্বজনরা আরো জানান, মন্ট্রিয়লের বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশীদের সহযোগিতায় ফাহিমের লাশ দ্রুত দেশে এসেছে।

ফাহিমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও শোক জানিয়ে মন্ট্রিয়লের বাংলাদেশ কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মনিরুজ্জামান (মনির) বলেন, ফাহিমের মৃত্যুতে গোটা মন্ট্রিয়ল শোকাহত, সমবেদনা জানাবার ভাষা আমাদের নেই। তবে ফাহিমের মৃত্যু আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল সোমবার কানাডার মন্ট্রিয়লে কিউবেক ডাউনটাউনের এক বহুতল অ্যাপার্টমেন্টের নিজ ফ্ল্যটের বাথরুমে শ্বাসযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে প্রাণ হারান ফাহিম। তিন দিন পর ২৮ এপ্রিল তার বন্ধু পুলিশকে খবর দিলে মন্ট্রিয়ল পুলিশ দরজা ভেঙে বাথরুম থেকে ফাহিমের লাশ উদ্ধার করে।

মন্ট্রিয়ল সিটি পুলিশ জানায়, কয়েক দিন ধরে চেষ্টা করেও তার বাবা-মা বাংলাদেশ থেকে ছেলে ফাহিমের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন এবং তারা বিষয়টি মন্ট্রিয়লে তার বন্ধুদের জানান। পরে ফাহিমের বন্ধুরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ইয়াসিনের লাশ উদ্ধার করে।

গত ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে উচ্চশিক্ষা অর্জনে পারি জমিয়েছিলেন কানাডায়।


আরো সংবাদ



premium cement