১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মালয়েশিয়ায় বৃহৎ বাংলাদেশী কোম্পানি মিজান গ্রান্ড কলিংয়ে কর্মী পাঠানো জোরদার

মালয়েশিয়ায় বৃহৎ বাংলাদেশী কোম্পানি মিজান গ্রান্ড কলিংয়ে কর্মী পাঠানো জোরদার -

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী মালিকানাধীন বৃহত্তর শিল্পপ্রতিষ্ঠান মিজান গ্রান্ড ইন্টারট্রেডাস এসডিএন বিএইচডি কলিং ভিসায় কর্মী পাঠানো জোরদার করেছে সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর পর্যন্ত কয়েকটি ফ্লাইটে কয়েক শত বাংলাদেশী কর্মীকে সরাসরি রিসিভ করেছেন ‘দাতো মিজান’ ও ‘দাতিন’ (সম্মানী ব্যক্তি)।

দীর্ঘ দেন-দরবারের পর কলিং ভিসা চালু হলেও নানা জটিলতায় ব্যাহত হচ্ছে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ৫ লাখ কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দিলেও পরিসংখ্যানে দেখা গেছে এখন পর্যন্ত ১ লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানো সম্ভব হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়া কচ্ছপ গতিতে চলতে থাকায় মালয়েশিয়ার নিয়োগ কর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে এর সমাধান চেয়েছেন। কারণ শ্রমিক সঙ্কটে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

নিয়োগ প্রক্রিয়া অচলাবস্থার মূল কারণ এজেন্সিগুলোর সিন্ডিকেট ও অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়। কুয়ালালামপুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট-১ এ বাংলাদেশী কর্মীদের রিসিভ করতে এসে মিজান গ্রান্ড ইন্টারট্রেডাস এর এমডি দাতো মিজান সাংবাদিকদের বলেন, আমার কোম্পানিতে ৫ হাজার বাংলাদেশী কর্মী প্রয়োজন। কিন্তু অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় ও সিন্ডিকেট প্রক্রিয়ার কারণে আমি এখন পর্যন্ত ৫০০ কর্মীও রিসিভ করতে পারিনি।

তিনি আরো বলেন, আমার লক্ষ্য স্বল্প খরচে বাংলাদেশী কর্মীদের আমার কোম্পানিতে নিয়োগ প্রদান করা। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে কর্মীদের খরচ ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সর্বশেষ গত বুধবার দেশটির মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, 'মালয়েশিয়ায় কর্মী হিসেবে আসতে নেপালের শ্রমিকদের খরচ মাত্র ৩ হাজার ৭০০ রিঙ্গিত। কিন্তু বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিকদের জন্য তা ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার রিঙ্গিত।

তিনি বলেন, এজেন্টদের এই উচ্চ ফি 'আধুনিক দাসত্বের' সমতুল্য। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর অতিরিক্ত খরচের হাত থেকে বিদেশী কর্মীরা রেহাই পাবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে মালয়েশিয়া মর্যাদাবান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর এমন সদিচ্ছায় সন্তুষ্টিও জানিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীরা।


আরো সংবাদ



premium cement