১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মালয়েশিয়ায় বন্দীদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ

- ছবি : সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অবৈধ হয়ে কিংবা বিভিন্ন কারণে গ্রেফতার হয়ে কারাভোগের পর ডিটেনশন সেন্টারে বন্দী রয়েছেন সহস্রাধিক বাংলাদেশী অভিবাসী। কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হলে অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর আগে এই ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়। দেশে ফেরত পাঠাতে যে তথ্য উপাত্ত দরকার হয় সেগুলো নিশ্চিত হলেই নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে অনেক সময় এই প্রক্রিয়া বিলম্ব হয়।

মালয়েশিয়ায় এই বন্দীদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন কুয়ালালামপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী এসব বন্দী অবৈধ হয়ে অথবা দেশটির অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের কারণে গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করেন। তবে বেশিরভাগ বন্দী ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর অবৈধ হিসেব আটক হন। আবার এক কোম্পানির নামে ভিসা নিয়ে অন্য কোম্পানিতে কাজ করলেও তাদের আটক করা হয়, যাকে বলে ‘ছালা কিরজা’।

করোনায় টানা লকডাউন, এসওপি বিধিনিষেধের কারণে বন্দীদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়েছে। কম বেশি এক হাজার ৬৭৮ জন বাংলাদেশী দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। এ সময় ফ্লাইট শিডিউল নিয়মিত ছিল না। স্বাভাবিক বিমান চলাচল এখনো স্থগিত রয়েছে। শুধু স্পেশাল ও চাটার্ড ফ্লাইটগুলো যাতায়াত করছে।

দূতাবাস থেকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস একজন বন্দীর পক্ষে দেশটির ইমিগ্রেশন ও ডিটেনশন সেন্টারে পৌঁছানো ছাড়া বন্দী প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বিলম্ব হয়। অনেক সময় দূতাবাস থেকে এসব তথ্যাদি পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। তাছাড়া সর্বশেষ যে জটিলতা সৃষ্টি হয় সেটা হলো, বিমানের টিকেট নিয়ে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একজন প্রবাসী দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে যখন আটক হন তখন খালি হাতে আটক হন। এয়ার টিকেট ক্রয় করার মতো সামর্থ্য থাকে না। এ কারণে অনেক বন্দী আছেন টিকেট সংগ্রহ করতে না পেরে মাসের পর মাস বা বছরের পর বছর ডিটেনশন সেন্টারে আটক থাকেন। তাই বাংলাদেশী কমিউনিটি ও প্রবাসীদের পরিবারের দাবি, সরকারিভাবে যেন এই বিমান টিকেটের ব্যবস্থা করা হয়। তাহলে ভোগান্তি অনেক কমবে।

যোগাযোগ করা হলে রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার প্রতিবেদককে আরো জানান, করোনায় বিভিন্ন বিধিনিষেধ যেমন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেমের (এসওপি) কারণে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ আমাদের বন্দী বাংলাদেশী ভাই-বোনদের সাথে দেখা করার অনুমতি দেয়নি। তাছাড়া আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী দূতাবাস চাইলেই বন্দীদের সাথে দেখা করতে পারে না। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমোদন লাগে, যেটা একটু সময় সাপেক্ষও বটে। তবে সম্প্রতি আমরা দূতাবাস থেকে সকল কারাগার, ডিটেনশন সেন্টার ভিজিট শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ শিগগিরই আমরা প্রত্যাবসন প্রক্রিয়া আরো বেগবান করতে পারবো।


আরো সংবাদ



premium cement