২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আবারো ঝুলে গেল ছুটিতে দেশে আসা কর্মীদের মালয়েশিয়ায় ফেরা

মানবসম্পদমন্ত্রী দাতোক সেরী এম সারাভানান - ছবি : সংগৃহীত

করোনাকালে যে কর্মীরা ছুটিতে বৈধভাবে নিজ নিজ দেশে ছুটিতে এসেছিলেন তারা চলতি বছরের ভেতর মালয়েশিয়ায় ফেরতে
পারছেন না। টানা চার মাস লকডাউনের পর ইতিমধ্যে সরকার শর্তসাপেক্ষে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আশা করা হয়েছিল ২০২১ সালের শেষ পর্যায়ে এসে সীমান্ত খুলে দিলে ছুটিতে থাকা কর্মীরা দেশটিতে ফিরে কাজে যোগ দিতে পারবেন।

কিন্তু রোববার এক বিবৃতিতে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতোক সেরী এম সারাভানান বলেন, বিদেশী কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পুনরায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আবার বাড়ানো হবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিনি বলেন, ছুটিতে থাকা বিদেশী সাধারণ শ্রমিক ও গৃহপরিচারিকা (মেইড) তারা কখন ফেরতে পারবেন এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আলোচনা করে পরবর্তী স্বিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বিবৃতিতে আরো বলেন, ‘আমি নিবন্ধিত ও আমাদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি কর্মসংস্থান ও সংস্থাগুলো অনুরোধ করছি, পরামর্শ দিচ্ছি যে উৎস দেশ থেকে গৃহকর্মীদের প্রবেশের বিষয়ে নিয়োগকর্তাদের বিভ্রান্ত করে আমাদের পরামর্শ ছাড়া এমন কোনো বিবৃতি বা বিজ্ঞাপন দেবেন না। মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ইন্দোনেশিয়ার গৃহকর্মী বা গৃহপরিচারিকা কাজ করে থাকেন। তাই মন্ত্রণালয়গুলো ইন্দোনেশিয়ার সরকারের সাথে গৃহপরিচারিকা নিয়োগের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চূড়ান্ত করার জন্য আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।

উল্লেখ্য, সর্বপ্রথম বৈশ্বিক করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর ২০২০-এর ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয় দেশটিতে সর্বাত্মক লকডাউন। এই সময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে যে কর্মীরা ছুটিতে কিংবা জরুরি প্রয়োজনে নিজ নিজ দেশে গিয়েছিলেন তারা এখনো আটকা পড়ে আছেন। ২০২০-এর নভেম্বর থেকে শুরু ২০২১-এর জুন মাসের আগ পর্যন্ত মাই ট্রাভেল পাস (এমটিপি) নামে একটি অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করে মালয়েশিয়াতে কিছু কিছু ছুটিতে থাকাকর্মী প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু চলতি বছরের জুন মাস থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় এমটিপির মাধ্যমে আবেদন করে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

দেশে আটকা পড়া অসংখ্যকর্মী যাদের বৈধ ভিসা ও পারমিট রয়েছে, তারা কখন মালয়েশিয়ায় ফেরতে পারবেন- বিষয়টি নির্ভর করছে মালয়েশিয়ার সরকার কখন অনুমতি দেবে।


আরো সংবাদ



premium cement