২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমি কিন্তু হাত ধুয়েই রান্না করি : মারিয়া নূর (ভিডিও)

মারিয়া নূর - নয়া দিগন্ত

প্রথমে রেডিও জকি (আরজে), তারপর বিজ্ঞাপন; ওখান থেকে সরাসরি টেলিভিশনে উপস্থাপক হিসেবে নাম লিখিয়েছেন মারিয়া নূর। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ‘ক্রিকেট এক্সট্রা’নামের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাতারাতি দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়ে যান তিনি। বলার সাবলীল ভঙ্গির সাথে ‘ক্রিটেকজ্ঞান’ জনপ্রিয়তা পেতে সাহায্য করেছিল তাকে।

বেশি জনপ্রিয় হলে দায়িত্ববোধের সাথে পরিশ্রমও বেড়ে যায়, যা পালন করতে গিয়ে ক্লান্তি ঘিরে ধরেছিল। তাই ২০১৮ সালে ক্যামেরার সামনে খুব একটা দেখা যায়নি তাকে। মারিয়া নূর বলেন, টেলিভিশন অনুষ্ঠানের সাথে মাসে ১৭-১৮টা কর্পোরেট প্রোগ্রাম উপস্থাপন করতে হতো। এতে নিজেকে দেয়ার মতো সময় বের করতে পারছিলাম না, তাই ছুটি কাটাতে গিয়ে ছিলাম কানাডায়। এই ছুটি আমাকে অনেক রিলাক্স দিয়েছে। আমার মনে হয় সবারই টানা কাজের মাঝে এমন একটা বিরতি দেয়া উচিত।

এই বিরতির সময়টাতেও টেলিভিশনে রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠানে দেখা গেছে তাকে। এ সম্পর্কে মারিয়া বলেন, ‘নাগরিক টেলিভিশনে ‘মারিয়ার রান্নাঘর’নামের যে অনুষ্ঠানটা প্রচার হয়। তার শুটিং হয়েছে লম্বা সময় ধরে। প্রথম পর্বের শুটিং হয়েছিল ২০১৬ সালে।’ টেলিভিশনে রান্না বিষয় অনুষ্ঠান দেখে অনেকে মন্তব্য করেছেন মারিয়া হাত না ধুয়েই রান্না শুরু করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মারিয়া বলেন, অনেকেই এই মন্তব্যটা করেন। আসল ঘটনা হচ্ছে, আমি কিন্তু সব সময়ই হাত ধুয়ে রান্না শুরু করি। টেলিভিশনে এতো লম্বা কিছু দেখানো সম্ভব না। তাই ওই অংশটা বাদ দেয়া হয়। আর মারিয়ার রান্নাঘরের মূল উদ্দেশ্যটা ছিল ভিন্ন রকমের রান্না দেখানো। আমরা সেই চেষ্টাই করছি।’

দর্শকদের কাছে উপস্থাপিকা হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মারিয়া ছোট বেলা থেকেই রান্না করতেন। মা নাসিমা খান পেশাগত কাজে ব্যস্ত থাকতেন, তখন স্কুল থেকে ফিরে নিজের পছন্দের খাবারটা নিজেই তৈরি করতেন মারিয়া নূর। তখন থেকেই রান্নায় হাতেখড়ি মারিয়ার। মা-ও ভালো রাঁধতে পারেন, তাই মারিয়া এই রান্না শিখেছেন বেশ নিখুঁতভাবেই।

মারিয়া বলেন, অনুষ্ঠান শেষ করে এখনো যত রাতই হোক না কেন, বাড়ি ফিরে নিজের রান্নাটা নিজেই করে থাকি।’

রান্নার ব্যাপারে যার এত আগ্রহ, তিনি খেতেও নিশ্চয়ই পছন্দ করেন? মারিয়ার উত্তর একেবারেই উল্টো। ‘আসলে খাবারদাবারের ব্যাপারে আগ্রহ আমার একেবারেই কম। অনেক দিন ধরেই ভাত খাই না। নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে প্রতিদিনই বাসায় মুরগি দিয়ে কোনো না কোনো খাবার তৈরি করি। বাইরে গেলে সুশি আর স্যুপ প্রথম পছন্দ। ভালোবাসি মায়ের হাতে তৈরি সবজির যেকোনো পদ।’

মারিয়ারা তিন বোন এক ভাই। বড় ভাইয়ের রাত জেগে টেলিভিশন দেখার অভ্যাস ছিল। এই সময় বোনদের হাতে তৈরি স্ন্যাকস খাওয়ার একটা আবদার ছিল তার। ‘বড় আপুই এ কাজটা করতেন। একবার আমার ওপর পড়ল সেই দায়িত্ব। রান্নাঘরে গিয়ে কী করব ভাবতে ভাবতেই আলু দিয়ে পাকোড়ার মতো একটা খাবার বানানোর বুদ্ধি এল মাথায়। ভাইয়ার এতই পছন্দ হয়েছিল যে এরপর থেকে নাশতা বানানোর দায়িত্ব আমার ওপরই এসে পড়ে।’ তখনই রান্নাবান্না নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু মারিয়ার। বললেন, ‘রান্নাবান্না নিয়ে খেলতে ভালোবাসি।’ এভাবেই এক উপকরণের সাথে আরেকটা মিশিয়ে সাধারণ রান্নায় মারিয়া আনেন ভিন্নতা।


আরো সংবাদ



premium cement