২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

উপন্যাস হচ্ছে বিশাল ব্যাপ্তির শিকড় : বার্নার্ডাইন এভারিস্টো

ভিন দেশ
-

বার্নার্ডাইন এভারিস্টো। তার পুরো নাম বার্নার্ডাইন আন মোবোলজি এভারিস্টো। ২০১৯ সালে বুকার প্রাইজ বা ম্যান বুকার প্রাইজ পেলেন তার সর্বশেষ উপন্যাস গার্ল, উইম্যান, আদার লিখে। মজার বিষয় হচ্ছে, এবার ম্যান বুকার পুরস্কার পান তার পাশাপাশি আরো এক নারী (কানাডার) মার্গারেট অ্যাটউড। এমন মর্যাদাপূর্ণ সাহিত্য পুরস্কার যৌথভাবে দেয়া হয়েছিল ১৯৭৪ ও ১৯৯৭ সালে। আর এবার ঘটল সেটারই পুনরাবৃত্তি। বিচারকেরা বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন গত ১৪ অক্টোবর সোমবার। অ্যাটউড সবচেয়ে বেশি বয়সী (৭৯) বিজয়ী হলেও এভারিস্টো প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে পান বুকার প্রাইজ। এভারিস্টো বলেন, মার্গারেট অ্যাটউডের মতো একজন কিংবদন্তির সাথে যৌথভাবে মর্যাদাপূর্ণ এমন পুরস্কার পাওয়া যেমন গৌরবের, তেমনি অবিশ্বাস্যও। বিচারক প্যানেলের সদস্যরা বলেন, একজনকে বুকার দেয়ার কথা থাকলেও তা করতে পারলাম না আমরা। কারণ, কোনো দিক দিয়েই তাদের আলাদা করতে পারছিলাম না। বলা যেতে পারে প্রায় একই রকম দুই বিজয়ীর সাহিত্যকর্ম। গুরুত্বের দিক দিয়েও প্রায় একই প্রকারের। বলা হয়েছে গার্ল, উইম্যান, আদার যেন এক পলিফোনি উপন্যাস। পলিফোনি মানে একই সাথে একাধিক বিষয়ের আশ্চর্যজনক সমন্বয় বা উপস্থিতি। উপন্যাসটিতে ক্যারিবিয়ান, আফ্রিকাসহ নানা দেশের কৃষ্ণাঙ্গ পরিবার থেকে আগত ১২ নারীর অক্লান্ত জীবন সংগ্রামের কাহিনী স্থান পায়। আর এসবই বেশির ভাগ পাঠকের পছন্দ।
বার্নার্ডাইন এভারিস্টোর জন্ম দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের এলথাম নামক স্থানে। নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভূত এ গুণী লেখক বেড়ে ওঠেন উলুইচ শহরে। তার মা স্কুলশিক্ষক। আর বাবা ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করেন। এভারিস্টো বেশি পরিচিত ঔপন্যাসিক, কবি, নাট্যকার, সমালোচক, অ্যাকাডেমিক ইত্যাদি হিসেবে। এমনকি তার শিল্পকর্ম বিশেষভাবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, মঞ্চ ও রেডিওর প্রকল্পগুলোতেও। তার দুটো বই ‘দ্য সম্রাটের বাবে’ (দ্য এমপেররস বাবে) এবং ‘হ্যালো মম’ রূপান্তরিত হয়েছে বিবিসি রেডিও ফোর নাটকে। এটি ২০০১ ও ২০১০ সালের শিল্পকর্ম। এভারিস্টো এখন ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয় লন্ডনে ক্রিয়েটিভ রাইটিং টিচার। এটি একটি পাবলিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন রয়েল সোসাইটি অব লিটারেচারের। এর সংক্ষিপ্ত নাম আরএসএল। এটি জাগ্রত করে লেখনী বা সাহিত্যের মেধার প্রতিদান এবং এর প্রতিভা।
এভারিস্টোর পড়ালেখা গ্রিনউইচ ইয়ং পিপলস, এলথান হিল স্কুল (গ্রামার), রোজ ব্রুফোর্ড স্পিচ অ্যান্ড ড্রামা কলেজ, গোল্ড স্মিথস কলেজ এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০১২ সালে গ্রিনিচ এবং ডকল্যান্ডস আন্তর্জাতিক উৎসব দ্বারা ব্যাপক প্রভাবিত হন। তরুণ বয়সে তিনি যেখানে থাকেন সেই জায়গা নিয়েও লেখালেখি করেন।
এভারিস্টোকে বলা হয়ে থাকে লেখক এবং শিল্পীদের আইনজীবী বা প্রতিনিধি। তিনি ‘ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয় আফ্রিকান কবিতা পুরস্কার’ চালু করেন ২০১২ সালে। এটি ‘আফ্রিকা থেকে কবিতার বিকাশ বা উন্মেষ, উদযাপন, প্রচার’ শীর্ষক একটি সাহিত্য পুরস্কার। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠা করেন ‘কমপ্লিট ওয়ার্কস কবি উন্নয়ন প্রকল্প’। সহ-প্রতিষ্ঠা করেন স্প্রেড ওয়ার্ড রাইটার ডেভেলপমেন্ট, যা এখন পর্যন্ত টিকে আছে ১৯৯৫ সাল থেকে। ব্রিটেনের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ থিয়েটার সংস্থা ব্ল্যাক উইমেন থিয়েটারও তার দ্বারা সৃষ্টি। এখানে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের নাট্যচর্চা হতো। ব্লাক থিয়েটার ফোরামের উন্নয়নে প্রতিষ্ঠা করেন দেশটির প্রথম বড় ব্ল্যাক থিয়েটার কনফারেন্স, রয়েল ফেস্টিভাল হল, ফিউচার হিস্ট্রিস ইত্যাদি। রয়েল ফেস্টিভাল হলটি (লন্ডনের সাউথ ব্যাংক কেন্দ্রে) সুবিশাল আলাপ ও কনসার্ট অনুষ্ঠানের স্থান।
বার্নার্ডাইন এভারিস্টো লিখেছেন আফ্রিকান ডায়াস্পোরার দিকগুলো সংশ্লিষ্ট প্রচুর কল্পকাহিনী এবং কবিতা কথাসাহিত্যের বই। লেখনীতে মাঝে মধ্যেই মেশান বর্তমানের সাথে অতীত বা পুরনোকে। পাশাপাশি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেন অনুমানের সাথে সত্যবাদী, কবিতার সাথে কথাসাহিত্য, বিকল্প বাস্তবতার সাথে বাস্তবতা বা রিয়েলিটি ইত্যাদি। ২০০৮ সালে তার এমনই একটি উপন্যাসের নাম ‘ব্লোনড রুটস’। এর বাংলা শব্দ স্বর্ণকেশী রুটস। তার রচিত পদ্য উপন্যাস দ্য সম্রাটের বাবে রয়েছে একজন কালো মেয়ে সম্পর্কে। সম্রাটের বাবে একটি সুন্দর শ্লোক উপন্যাস, যা জিতেছে আর্টস কাউন্সিল ইংল্যান্ড পুরস্কার (২০০০)। ২০০৩ সালে পান নেস্তা বা দাতব্য পুরস্কার। এটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং কলা নিয়ে কাজ করে। এর আদর্শ দানশীলতা। আর উদ্দেশ্য হচ্ছে উদ্ভাবন, নতুন সৃষ্টি ইত্যাদি। এটি দ্য টাইমস দ্বারা (লন্ডনে অবস্থিত ব্রিটিশ জাতীয় পত্রিকা) নির্বাচিত হয় ‘দশকের সেরা ১০০ বই’ হিসেবে। এটি বিবিসি রেডিওতে ২০১৩ সালে সম্প্রচার করা হয়। এরপর প্রকাশ পায় তার ‘সোল ট্যুরিস্ট’। এটি লেখকের একটি পরীক্ষামূলক উপন্যাস। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে গাড়ি হাঁকাচ্ছেন এমন এক দম্পতি সম্পর্কে। তাতে ধরা পড়েছে ইউরোপীয় রঙের এক বাস্তব চিত্র। তার ২০১৪ সালের উপন্যাসের নাম মি. লাভওয়ারম্যান। এ দিকে তার লেখায় ব্যঙ্গাত্মক রূপও প্রকাশ পায়। লক্ষ করা যায় ক্রীতদাস ব্যবসায়েরও নানান দিক। এসব করে ১৯৯৮ সালে পান ইএমএমএ সেরা উপন্যাসের পুরস্কার। তাতে উঠে আসে লারা নামক উপন্যাসের নাম। ২০১৫ সালে এভারিস্টো লেখেন তথ্যচিত্র ‘জ্বলন্ত অনুপ্রেরণা’। এর প্রভাব আসে লেখকদের প্রজন্মের ওপরও।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তার উপন্যাসের প্রায় সবটুকুই থাকে বিশাল ব্যাপ্তির শিকড়ে। এসবের কাহিনী বা রূপ ছড়িয়ে যায় অনেক দূর পর্যন্ত। দূর অতীতের মানুষেরাও যেন আধুনিককালের মানুষের সামনে এসে হাজির হয়। যেখানে স্থান-কালের কোনো সীমাবদ্ধতা থাকে না। অর্থাৎ দূরের মানুষ আর কাছের মানুষ সবাই একই হয়ে যায়। তারা হয়ে আসে নিবিড়। আর এভাবেই এখন সবার খুব কাছের মানুষ এভারিস্টো। সাহিত্যিকদের নানা কাজের সাথে তিনি যুক্ত। যা হচ্ছে উৎসাহব্যঞ্জক, কল্যাণমূলক ইত্যাদি। আর এভাবেই তিনি নির্বাচিত হন আফ্রিকান পোয়েট্রি বুক ফান্ডের সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম একজন হিসেবে।
এভারিস্টো মনে করেন, গদ্য এগিয়ে নিয়ে যায় কাহিনী বা স্টোরিকে। আবেগের জগতের গভীরে উঁকি দেয় কবিতা/ মূল লক্ষ্য চরিত্রগুলোর মানসিক জগৎ, ব্যক্তিগত ইতিহাস ইত্যাদি খুঁজে বের করে আনা। তিনি তার উপন্যাস বা লেখার জগৎ সৃষ্টি করেছেন সংবেদনশীল বা স্পর্শকাতর মন এবং প্রাণবন্ত প্রাণশক্তি দিয়ে। কাব্যিক উপন্যাস লিখতে পারেন কবিতা থেকে। নাটক লেখেন কবিতা থেকে। কবিতায় আনেন অনেক গদ্যকে। এমনকি কবিতাকে উপন্যাসে রূপ দেয়ারও অকল্পনীয় গুণ রয়েছে তার মনন-মেধায়। অনেকে বলেন, তিনি এত সব বিস্ময়কর দক্ষতা দেখান নিজেকেই চমকে দেয়ার জন্য। তার লেখনীতে রয়েছে সংগ্রাম, আনন্দ, ভালোবাসা, কল্পনা ইত্যাদি অনুভূতির এক অভিনব মিশ্রণ। তার লেখার জগৎ আদর্শ কোনো জগৎ না হলেও কোথাও কোথাও থাকে অনিন্দ্য সৌন্দর্যের এক বিশাল সমন্বয় বা মিশেল। সাহিত্য এমন জীবন জগতে এখন পর্যন্ত যা খুব একটা দেখা যায় না তা হলো ব্রিটেনের পরিচিত চিত্রের সাথে এখানকার জীবনের কিছুটা অমিল। তবে মনে রাখতে হবে, এখানে বলা হয়েছে কোনো অসম্ভব অবাস্তব জগতের কথা। যেমন তার গার্ল, উইম্যান, আদার নামক উপন্যাসে দেখানো হয়েছে নারীবাদ, ঐতিহ্য, বর্ণবাদ ইত্যাদি ধারণার ব্যাপক সামঞ্জস্যও। কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলোর শিকড় চলে গেছে ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, স্কটল্যান্ড, ক্যারিবীয়সহ নানা জায়গায়। তবে এ উপন্যাসে বেশি জোর দেয়া হয়েছে ঐতিহ্যের ওপর। এভারিস্টো তাই তার উপন্যাসকে বলেছেন ফিউশান ফিকশন। তার অর্থ গল্প বা কাহিনী একত্র করা। এভারিস্টো সৃজনশীল লেখার শিক্ষা দিচ্ছেন ১৯৯৪ সাল থেকে। পাশাপাশি নিউ হ্যাম্পশায়ারের ডর্টমাউথ কলেজের মন্টোগামারি ফেলোশিপসহ আরো অনেক লেখা বা শিল্পকর্মের ফেলোশিপ। আরো পেয়েছেন আবাসিক পুরস্কার। তিনি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লেখক ফেলো। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছেÑ ওয়েস্টান কেপ, ভার্জিনিয়ার আর্টস ফেস্টিভাল, যুক্তরাজ্যের পূর্ব আঞ্জলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি। পূর্ব আঞ্জলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গল্প বলার কৌশলসংক্রান্ত কোর্স শিখিয়েছেন ২০১৫ সাল পর্যন্ত।
বার্নার্ডাইন এভারিস্টো সম্মানজনক লেখক হিসেবে আমন্ত্রণ (আন্তর্জাতিক) গ্রহণ করেছেন দেড় শ’র বেশি। এর মধ্যে জড়িত ভিজিট ফেলোশিপস, সৃজনশীল লেখার কোর্স, ব্রিটিশ কাউন্সিলের ট্যুর, গ্রন্থ ট্যুর, ওয়ার্কশপ শেখানো সাহিত্য উৎসবে প্রধান বক্তব্য, আলোচনা, প্যানেল ইত্যাদি। এভারিস্টো ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে ৩২তম এবং ৩৩তম ব্রিটিশ কাউন্সিল বার্লিন সাহিত্য সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। পাশাপাশি করেছেন নিয়মিত অনুষ্ঠান আয়োজন ও সভা। তিনি যুক্তরাজ্যের প্রকাশনাগুলোর জন্য বেশ কয়েকটি বইয়ের পর্যালোচনা লেখেন। এগুলো হচ্ছেÑ দ্য অবজারভার, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য টাইমস, দ্য টাইমস লিটারারি সাপ্লিমেন্ট, দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট, নিউ স্টেটসম্যান ইত্যাদি। ২০১২ সালে বিচারকের হয়ে সভাপতিত্ব করেন ব্রুনেল আন্তর্জাতিক আফ্রিকান কবিতা পুরস্কার, আফ্রিকার কেইন পুরস্কার এবং কমনওয়েলথের ছোট গল্পের পুরস্কার।
তিনি বিচারক ছিলেন কবিতা সোসাইটির জাতীয় কবিতা প্রতিযোগিতা, স্বর্ণকার পুরস্কার, কোস্টা বুক অ্যাওয়ার্ডস, টিএস এলিয়ট পুরস্কার, কমলা পুরস্কার (নতুন লেখকদের) ইত্যাদি। তিনি আছেন যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকান কবিতা বই তহবিলের বোর্ডে। পাশাপাশি তাদের সব পুরস্কারের বিচারক। এমনকি এসআই লিডল সাহিত্য পুরস্কারের অন্যতম পৃষ্ঠপোষকও তিনি। ২০১২ সালে আফ্রিকান কবিতার গ্লেনা লুশেই পুরস্কার এবং পোলারি বুক পুরস্কারের অন্যতম বিচারক। বরেণ্য এ লেখক কাজ করেছেন রয়্যাল সোসাইটি অব সাহিত্যের কাউন্সিল, লন্ডন আর্টস বোর্ড, ইংল্যান্ডের আর্টস কাউন্সিল, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাহিত্য উপদেষ্টা প্যানেল, সোসাইটি অব লেখকসহ নানা সংস্থার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাউন্সিল এবং উপদেষ্টা কমিটিতে। ১৯৮০-এর দশকে তিনিসহ আরো কয়েকজন বরেণ্য লেখক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ব্ল্যাক উইমেন্স থিয়েটার। এটিই ব্রিটেনের প্রথম নামকরা থিয়েটার সংস্থা। লন্ডনের লেখক উন্নয়ন সংস্থা ¯েপ্র্রড দ্য ওয়ার্ডের সহ-প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন ১৯৯৫ সালের দিকে। এভারিস্টোর প্রকাশক হামিশ হ্যামিল্টন বলেছেন, তার জয় মানে উপন্যাসটির ৯০ হাজার কপি দ্রুত পুনরায় মুদ্রণের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কারণ এখন বাজারে খুব বেশি বিক্রি হচ্ছে বার্নার্ডাইন এভারিস্টোর গার্ল, উইম্যান, আদার নামক অতি জনপ্রিয় উপন্যাসটি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
কালিয়াকৈরে ছিনতাইকারীর অস্ত্রের আঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে আহত কাপাসিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২ রাশিয়ার ২৬টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ‘অস্থায়ীভাবে’ ক্ষমতায় রয়েছে : জান্তা প্রধান গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত উত্তরপ্রদেশে কারাগারে মুসলিম রাজনীতিবিদের মৃত্যু : ছেলের অভিযোগ বিষপ্রয়োগের দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে, নিহত ৪৫, বাঁচল একটি শিশু ইসরাইলের রাফা অভিযান পরিকল্পনা স্থগিত এগিয়ে নিয়ে গিয়েও জেতাতে পারলেন না ত্রিস্তান

সকল