২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

একজন নারীর এগিয়ে যাওয়ার গল্প

শায়লা আহমেদ -

প্রযুক্তিনির্ভর জীবনব্যবস্থায় পিছিয়ে নেই নারীরাও। নিত্যনতুন পন্থায় প্রযুক্তির কল্যাণেই তারা তৈরি করে নিচ্ছেন নিজস্ব অবস্থান। এর সুবাধেই নারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন বিজনেস। তাই উত্তরোত্তর নারী উদ্যোক্তার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনই একজন তরুণ অনলাইন নারী উদ্যোক্তা হাবস কেয়ার বিডির কর্ণধার শায়লা আহমেদ। উদ্যোক্তা হওয়ার শুরুটা কিভাবে হলো এ বিষয়ে শায়লা বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পাস করার পর আর দশটা মেয়ের মতোই আমারও ইচ্ছা ছিল চাকরি করব কোনো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে অথবা ব্যাংকে। আমার বাবা-মাও চাইতেন আমি পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করি। কিন্তু আমার স্বামী আমাকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চাইতেন সব সময়। তার কথা ছিল, নিজেকে এমন জায়গায় দেখতে হবে যেন, অন্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমি করতে পারি। সেই থেকে আমার মনে একটা আগ্রহ জন্মায়। আজ আল্লাহর রহমতে আমি সেই জায়গাতে দাঁড়িয়ে আছি যেখানে আমি নিজেকে দেখতে চেয়েছি। শায়লা কেবল নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কাজ করছেন না, বরং দেশের বিভিন্ন স্থানের নারীদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করেছেন। শায়লা আহমেদ বলেন, আমি চেষ্টা করি প্রতিটি মেয়েকে নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক মূল্যমান দিতে, যাতে তারা সেই টাকাটা নিজেদের পড়াশোনা অথবা পরিবারের দরকারে ব্যবহার করতে পারে। চট্টগ্রাম, ফেনী, সিলেট, গাজীপুর, নোয়াখালী, খুলনা, সাভার, ময়মনসিংহে তার নারী ডিলার আছেন প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন। যাদের মধ্যে অনেকেই একেকজন নারী উদ্যোক্তা। তিনি চান সারা দেশে এই উদ্যোগটি ছড়িয়ে দিতে। যাতে যেসব নারী নিজেরা কিছু করতে চান তারা যেন সুযোগ পান নিজেদের স্বাবলম্বী করতে। তার মতে, বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে নারীকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সে জন্য নারীদের শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করা জরুরি। ঘরে বাইরে একসাথে সামলাতে হবে। শিক্ষাকে, মেধাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলতে হবে নিজের ক্যারিয়ার।
হাবস কেয়ার প্রসঙ্গে শায়লা বলেন, আমার ছোটবেলা থেকেই চুলের গ্রোথ ভালো ছিল না। নানা ধরনের বিড়ম্বনার স্বীকারও হয়েছি। বড় হওয়ার সাথে সাথে সচেতনতাও বাড়ল। কেমিক্যালের মিশ্রিত পণ্য ব্যবহারে অনিচ্ছা থেকেই খোঁজ পাই হেকিম ড. ইবনে আখতারের। এটা ২০১৩ সালের কথা। আয়ুর্বেদ ও বোটানিক্যাল বিশেষজ্ঞ ড. ইবনে আখতারের ফর্মুলার মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান সংগ্রহ করে পণ্য বানানো শুরু করি। প্রতিটি কাঁচামাল আমি নিজে সংগ্রহ করি। বর্তমানে বিক্রীত পণ্যের মধ্যে রয়েছে হেয়ার কেয়ার অয়েল, হেনা ট্রিটমেন্ট, প্রোটিন ট্রিটমেন্ট, ক্লেনজার অ্যান্ড সাইনার, রোজি গ্লোসি, তুলসী সফট রিমোভার, সুথিং নিম, সান ট্যান প্রটেক্টর। হাবস কেয়ারের এই প্রোডাক্টগুলো নারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে, যা আমাকে আমার উদ্যোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উদ্দীপ্ত করে।
হাবস কেয়ার বিডি মূলত অনলাইন বিজনেস। বিভিন্ন মেলায় নিজের প্রডাক্টের স্টল দেন তিনি। এতে ক্রেতার সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। দেশের বাইরেও এর চাহিদা প্রচুর। শায়লার কাছে এটি কোনো পণ্য নয়, নারীর এগিয়ে যাওয়ার গল্প। তার এই স্বপ্ন বুকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছে তার প্রতিষ্ঠান।


আরো সংবাদ



premium cement
সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি

সকল