২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মেয়েরা এগিয়েছে বহু দূর : শারমিন সেলিম তুলী, স্বত্বাধিকারী, বেয়ার বিজ বিউটি সেলুন

-

শারমিন সেলিম তুলী কেবল একজন সফল নারী উদ্যোক্তাই নন, একজন সমাজসংস্কারক। শুধু নিজের নয়, প্রতিটি নারীর উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন তিনি। দীর্ঘ ১৮ বছর সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন এ তরুণ নারী উদ্যোক্তা। বিভিন্ন সংগঠন ও সামাজিক এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত আছেন এই নারী উদ্যোক্তা। স্বত্বাধিকারী বেয়ার বিজ বিউটি সেলুন, বেয়ারবিজ ফিটনেস ক্লাব ও স্রোতধারা ফ্যাশান হাউজের। চেয়ারম্যান অব ভারসেটাইন সিক্সটিন লিমিটেড এবং চেয়ারপারসন মডার্ন লাইফ হাসপাতাল। মেম্বার অব লায়নস ক্লাব অব বাংলাদেশ। সদস্য উইমেনস চেম্বার অব কমার্স এবং গুলশান লেডিস ক্লাব। লেখক হিসেবেও তিনি পরিচিত। লাইফ স্টাইল, ভ্রমণ ও ফ্যাশান নিয়ে লেখা নিয়মিত প্রকাশিত হয় দৈনিক পত্রিকা ও ফ্যাশন ম্যাগাজিনে। নারীদের সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যক্তিগত ব্লগে নিয়মিত লেখালেখি করেন তিনি। সম্প্রতি বইমেলায় তার একটি বই প্রকাশিত হয়। নারী দিবস নিয়ে তিনি বলেনÑ আমাদের দেশের মেয়েদের এ সময়ের প্রধান অর্জন হচ্ছেÑ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া ও হওয়ার চেষ্টা করা। সমাজের অনেক প্রতিবন্ধকতা ভেঙে নারীরা যোগ করেছেন নতুন পরিভাষা। এক সময় মেয়েদের চাকরি করাকে পরিবার বা সমাজ কোনো ক্ষেত্রেই খুব একটা অনুমতি দিত না। নেহায়েত প্রয়োজন না হলে মেয়েরা অর্থ উপার্জনের চেষ্টা খুব একটা করত না। সংসারে মেয়েদের অর্থ দেয়াকে অসম্মানজনক মনে করা হতো। এখন এসব মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি আর নেই। মেয়েরাই সমাজের ও পরিবারের মনোভাব বদলে দিয়েছে। মেয়েরা তাদের শিক্ষাকে, মেধাকে, সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে নিচ্ছে তাদের ক্যারিয়ার। তাই মেয়েদের কর্মক্ষেত্রেও এখন ব্যাপক। আর স্বাবলম্বী হওয়ার কারণে তাদের জীবনেও মানসিকতায় আসছে পরিবর্তন। আজকের নারী আত্মবিশ্বাসী, সাহসী ও সচেতন। তারা চ্যালেঞ্জ নিতে শিয়েছে। তাই নারীরা সামাজিকভাবে অনেকটা এগিয়েছে এসবই নারীর অর্জনের ফসল। নারীকে আজকের যুগে সব ক্ষেত্রেই মূল্যায়ন করতে হবে। সভ্যতার প্রতিটি পর্যায়েই রয়েছে নারীর অবদান। কখনো প্রত্যক্ষভাবে, কখনো পরোক্ষভাবে। নারীর মেধা, শ্রম, অভিজ্ঞতা, দায়িত্বশীলতা, মমতা জড়িয়ে আছে মানুষ জাতির বিকাশ ও উৎকর্ষ সাধনে। প্রাচীনকালেও সংসার পরিচালনা এবং সন্তান প্রতিপালন ছাড়াও নারীর অংশগ্রহণ ছিল কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যে। এ যুগেও শহরে বা গ্রামে, ঘরে-বাইরে উভয় ক্ষেত্রে নারীরা রাখছেন অসামান্য অবদান। নারীর এই ভূমিকা শুধু সময়ের নয়, বরং যখন নারী ছিলেন অন্তঃপুরবাসিনী তখন পরিবার আর সমাজ নির্মাণেও রেখেছেন অবদান। নারীরা সুষ্ঠুভাবে সংসার পরিচালনা সন্তান প্রতিপালন করেছেন। সন্তানদের শিখিয়েছেন মূল্যবোধ, দিয়েছেন সঠিক পথের দিশা, পরোক্ষভাবে সমাজ গড়ায় নারীর অবদান অস্বীকার করা যাবে না। আধুনিক নারীকে বলা যায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। ঘরে ও বাইরে অর্থাৎ একই সাথে সংসার ও কর্মক্ষেত্রে নারীরা রাখছে তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর। উন্নত বিশ্বে তো বটেই, আমাদের সমাজের মেয়েরাও এগিয়ে গেছে বহু দূর। নারীর এই এগিয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে শ্রম, মেধা, ধৈর্য, দায়িত্বশীলতা ও কঠিন প্রচেষ্টা। নিজের সামনে আসা বাধাগুলোকে প্রতিনিয়ত সরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের নারীরা। তাই তাদের এই অবদানকে আর অবজ্ঞা করার সুযোগ নেই।
সাক্ষাৎকার : নীপা আহমেদ

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজার গণকবরের ‘বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন’ তদন্তের আহ্বান জাতিসঙ্ঘের চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পেকুয়ায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৪ তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ : টিআইবি লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ইরান সমর্থিত যোদ্ধা নিহত জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ক্যাম্পে ডাক পেলেন ১৭ ক্রিকেটার, নেই সাকিব-মোস্তাফিজ উত্তর গাজায় আবারো ইসরাইলের গোলাবর্ষণ ধামরাইয়ে তাপদাহে জনজীবন কাহিল, ডায়রিয়াসহ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশী কেএনএফ সংশ্লিষ্টতা : ছাত্রলীগ নেতাসহ কারাগারে ৭ স্থিতিশীল সরকার থাকায় দেশে উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের

সকল