২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আ মি ও ব ল তে চা ই কে বোঝাবে তাদের

-

একই গ্রামের সারেংবাড়ির শাহ ইমরানের মেয়ে ডালিয়াকে নিয়ে আব্বা বাড়ি এলেন। ডালিয়ার চোখেমুখে কান্নার ছাপ। চিরচঞ্চলা হাস্যোজ্জ্বল এই মেয়ের কান্না আমাকে ভাবিয়ে তুলল। আব্বা ডালিয়াকে এখানে নিয়ে এসেছেন কেন? কারণ কী?
ডালিয়ার হাতে টাকাও তুলে দিয়েছেন আব্বা। কত টাকা হবে, আন্দাজ করতে পারছি না। কিন্তু টাকা কেন? টাকাগুলো পেয়ে ডালিয়ার চোখমুখ আনন্দে চকচক করছে এবং সে হাসিমুখে টাকা নিয়ে চলে গেল।
আব্বার কাছে জানতে চাইলাম, ডালিয়াকে কেন টাকা দেয়া হলো? জবাবে আব্বা যা বললেন, তার সারমর্ম এমনÑ ডালিয়ার সামনে পরীক্ষা। পরীক্ষার ফি প্রায় দুই হাজার টাকা।
মেয়েকে এত টাকা দিয়ে পরীক্ষা দেয়াতে রাজি নন ডালিয়ার বাবা। তার বক্তব্য হলো, কন্যাসন্তানকে শিক্ষিত করতে তাদের পেছনে অযথা টাকা নষ্ট করে লাভ কী? তাদের এমনিতেই বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়ে বিদায় করতে হবে। আর শিক্ষিত করে লাভ কী? পরের ঘরে তাদের পাতিলের তলা মাজতে হবে। কিন্তু বাবার এসব যুক্তিকে সায় দেয় না ডালিয়া। পরীক্ষা দিতে সে মরিয়া। উচ্চশিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন তার দুই চোখে। ফলে বাবার সাথে ডালিয়ার প্রায়ই মতবিরোধ হয়।
ডালিয়া টাকাগুলো নিয়ে চলে যাওয়ার পর আব্বা বললেন, ‘মেয়েটাকে তার বাবা পরীক্ষার জন্য টাকা দেবে না জেনে সে কেঁদে অস্থির। আমি তাকে ভরসা দিয়ে এখানে এনে টাকা দিলাম। আজ থেকে আমি এই মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালাব।’
আব্বার কথা আমার খুবই ভালো লাগল। এমন একটি সৎ কাজের জন্য তাকে স্যালুট জানাতে হয়। ডালিয়ার বাবার মতো এ সমাজে অনেক বাবাই আছেন, যারা মনে করেন কন্যাসন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়ে লাভ নেই।
তারা বিয়ের পর স্বামীর সেবায় নিয়োজিত থাকবে। স্বামীর সেবায় নিয়োজিত থাকা প্রত্যেক স্ত্রীর কর্তব্য বটে, কিন্তু তাদের শিক্ষিত করতে অনেক অভিভাবক অপারগতা প্রকাশ করেন, বিশেষ করে গ্রামবাংলায়। বিশ্বভুবনে যুগে যুগে বহু নারীই তো শিক্ষিত হয়ে এই সমাজকে আলোকিত করেছেন তাদের বহুমাত্রিক কর্মগুণে। অনেক অভিভাবক কেন এ কথা বোঝেন না। কে বোঝাবে তাদের?
জোবায়ের রাজু
আমিশাপাড়া, নোয়াখালী


আরো সংবাদ



premium cement
পিরোজপুরে বাসের ধাক্কায় নদীতে ৪ মোটরসাইকেল ফরিদপুরে নিহতদের বাড়ি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী টিকটকে ভিডিও দেখে পুরস্কার, প্রভাব ফেলছে মানসিক স্বাস্থ্যে পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সকল