২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ফ লো আ প

প্রশাসনের সহায়তা পেল জর্দানে নির্যাতিত তরুণী

-

জর্ডানে যৌন নির্যাতনে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে দেশে ফিরে সন্তান জন্ম দেয়া সেই তরুণীর পাশে দাঁড়ালেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার। সম্প্রতি পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম সিংগাইর উপজেলার ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেন। এ সময় নবজাতক ও মায়ের নতুন পোশাক এবং আর্থিক সহায়তা দেন তিনি।
পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম জানান, মেয়েটি বিদেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তার কোনো দোষ নেই। তরুণী ও তার সন্তানকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। তাদের সাথে ভালো আচরণ করতে প্রতিবেশীদেরও পরামর্শ দেন তিনি।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই তরুণীকে বিদেশে পাঠানো এবং যৌন নির্যাতনে যারা বাধ্য করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
নির্যাতিত ওই নারী জানান, পুলিশ সুপার তার খবর নেয়ায় তিনি খুবই খুশি। এখন ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে বেশি আশাবাদী বলে জানান তরুণী।
জানা গেছে, সিংগাইর উপজেলার দরিদ্র পরিবারের ওই তরুণী অভাবের সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর জর্দানে যান। স্থানীয় দালালেরা তাকে বাসাবাড়িতে কাজ দেয়ার কথা বলে পাঠালেও জর্দানে তাকে যৌন কাজে বাধ্য করা হয়। একই উপজেলার জর্দান প্রবাসী সেনিয়া আক্তার ১০ মাস তাকে আটকে রেখে যৌন কাজে বাধ্য করে। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্ব¡া হয়ে পড়লে দুই মাস জেলে থাকার পর গত ১৮ এপ্রিল দেশে ফেরেন। গত ২৩ আগস্ট হাসপাতালে ওই তরুণী একটি ফুটফুটে মেয়ে সন্তানের জন্ম দেয়। সন্তান জন্ম দেয়ার পর শুরু হয় নতুন বিপদ। সমাজপতিরা তাকে সমাজচ্যুত করেন। এ নিয়ে নয়া দিগন্তের ‘নারী’ পাতায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। পুলিশের পরামর্শেই গত ২৮ আগস্ট সিংগাইর থানায় মামলা করেন ওই তরুণী। মামলায় মানব পাচার ও শিশু নির্যাতন, জোর করে দাসত্ব করানো, আটকে রেখে যৌনকাজে বাধ্য ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় জর্দান প্রবাসী সেনিয়া আক্তার, তার মা-বাবা, বিদেশী নাগরিক গরজিদসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে সেনিয়ার মা-বাবা কারাগারে আছে।


আরো সংবাদ



premium cement