১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ডেমোক্র্যাট প্রার্থিতার লড়াইয়ে বাইডেনের বড় উত্থান

- সংগৃহীত

সুপার টুইসডের ভোটে চমক দেখিয়ে ডেমোক্র্যাট পার্টির মনোনয়ন লড়াইয়ে শীর্ষে চলে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ১৪টি অঙ্গরাজ্যের ককাস ও প্রাইমারির মধ্যে বেশির ভাগগুলোতে জিতে প্রতিনিধি সংখ্যায় তিনি বার্নি স্যান্ডার্সকে বেশ খানিকটা পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। অবশ্য শুরুর দিকে তিনি ভালো ফল করতে পারেননি।

সুপাই টুইসডের প্রাইমারিতে বাইডেন ম্যাসাচুসেটস, মিনেসোটা, ওকলাহোমা, আরাকানসো, আলাবামা, টেনেসি, নর্থ ক্যারোলাইনা ও ভার্জিনিয়াতে তিনি স্পষ্ট ব্যবধানে জিতেছেন। টেক্সাস ও মাইনেতে তিনি সামান্য এগিয়ে থাকলেও ভারমন্টের সিনেটর স্যান্ডার্সের সাথে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে।

ফেব্রুয়ারিতে হওয়া প্রাইমারি ও ককাসগুলোর পর শীর্ষে থাকা স্যান্ডার্স জিতেছেন ভারমন্ট, কলোরাডো ও উটাহতে। ব্যাপক সংখ্যক ডেলিগেট বা প্রতিনিধিসংবলিত ক্যালিফোর্নিয়াতেও তিনি ব্যাপক ভোটে এগিয়ে আছেন। ক্যালিফোর্নিয়ায় জিতলে তা বামঘেঁষা এ রাজনীতিককে খানিকটা সুবিধা করে দিতে পারে বলে অনুমান বিশ্লেষকদের। সুপার টুইসডের মাধ্যমে এক-তৃতীয়াংশ রাজ্যে ডেমোক্র্যাটদের মনোনয়ন লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটল। এ দিনের লড়াইয়ে নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ, সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন ও কংগ্রেস সদস্য তুলসি গ্যাবার্ড ছিলেন।

আমেরিকান সামোয়ার ককাস ছাড়া কোথাও ব্লুমবার্গ ভালো করেননি। মনোনয়ন লড়াইয়ে থাকবেন কি না, তা নিয়ে মার্কিন এ ধনকুবের নিজেই মূল্যায়ন করবেন তার প্রচার শিবিরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে মঙ্গলবারের পর নভেম্বরের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থিতার লড়াই এখন কেবল স্যান্ডার্স আর বাইডেনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়তে যাচ্ছে বলে ভাষ্য পর্যবেক্ষকদের।

কয়েক দিনের ব্যবধানে পিট বুটিগেগ ও অ্যামি ক্লবুচারের সমর্থন জোগাড়ও সাবেক এ ভাইস প্রেসিডেন্টের সহায় হয়েছে। অন্য দিকে ডেমোক্র্যাট ‘প্রগতিশীল’ ঘরানার ওয়ারেন লড়াইয়ে থাকায় ভোট কমেছে স্যান্ডার্সের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাইডেন ও স্যান্ডার্সের ব্যাগে ৩৯৬ ও ৩১৪ ডেলিগেট ঢুকেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যেসব রাজ্যে আফ্রিকান-আমেরিকান ভোটার বেশি ছিল, সেসবগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টই ভালো ফল করেছেন।

সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্পকে হারাতে দরকার, এমন উদ্দীপনা বাইডেনের প্রচারে দেখা যাচ্ছে না। দীর্ঘ দিন রাজনীতি ও মার্কিন প্রশাসনে থাকায় তার বিরুদ্ধে প্রচারের জন্য অনেক মালমসলাই রিপাবলিকানদের হাতে থাকতে পারে। অন্য দিকে স্যান্ডার্সের প্রচারে উদ্যম থাকলেও স্বঘোষিত এ ‘সোশাল ডেমোক্র্যাটের’ পক্ষে দোদুল্যমান ভোটারদের সমর্থন জেতা বেশ কষ্টসাধ্য। ৭৮ বছর বয়সী এ রাজনীতিক অবশ্য তার প্রচারে আমেরিকার অর্থনীতির খোলনলচে বদলে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। বলছেন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে অধিক সরকারি বিনিয়োগ এবং ধনীদের ওপর বেশি কর আরোপের কথাও।

নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কে হবেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী তা নির্ধারণ করতে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে প্রাইমারি নির্বাচন। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার একযোগে বৃহৎ ১৪টি রাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন।

এতে ফ্রন্টরানার হিসেবে উঠে আসা জো বাইডেনকে দেখা হয় একজন উদার ডেমোক্র্যাট হিসেবে। অন্য দিকে বার্নি স্যান্ডার্স একজন বাম ঘরানার ডেমোক্র্যাট। যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য আছে। সূত্র : রয়টার্স।


আরো সংবাদ



premium cement