২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

-

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিক্ষোভ খুব নিবিড়ভাবে পর্যক্ষেণ করে আসছে। তেহরান এক যাত্রিবাহী বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার বিষয়টি স্বীকার করার পর সেখানে গণবিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প নতুন কোনো হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। খবর এএফপি’র।

ইরান বলেছে, তারা তেহরানের বাইরে ইউক্রেনের বিমানটি অনিচ্ছাকৃতভাবে ভূপাতিত করেছে। এতে ১৭৬ জন আরোহীর প্রাণহানি ঘটে। ইরান এর আগে ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়ে বিমান ভূপাতিত করার বিষয়ে পশ্চিমাদের অভিযোগ নাকচ করেছিল। ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে ইরান হামলা চালানোর পর এই বিমানে হামলা চালানো হয়।

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর তদন্ত থেকে জানা যায়, মানুষের ভুলের কারণে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে বোয়িং ৭৩৭ বিমানটির ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি এ ঘটনাকে ‘অমার্জনীয় ভুল’ বলে অভিহিত করেন।

কিয়েভগামী বিমানটি বুধবার তেহরানের ইমাম খোমেনী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিধ্বস্ত হয়।

শনিবার নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক ছাত্রবিক্ষোভকালে ইরান কর্তৃপক্ষ যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতকে আটক করে। ব্রিটিশ সরকার একে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে। পরে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

একইদিন ট্রাম্প ইরানিদের টুইটারের মাধ্যমে ইংরেজী ও ফার্সি ভাষায় জানান যে, তিনি তাদের পাশে আছেন এবং বিক্ষোভ পর্যবেক্ষণ করছেন।

তিনি টুইট করেন, ‘ইরানের সাহসী, দীর্ঘ দুর্ভোগের শিকার জনতার প্রতি: আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার ক্ষমতা পাওয়ার সময় থেকে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং আমার প্রশাসনও সব সময় আপনাদের পাশে দাঁড়াবে।’

‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারিদের ওপর যেন আর কোনো হত্যাযজ্ঞ সংঘঠিত না হয়, ইন্টারনেটও যেন বন্ধ হয়ে না যায়। ইরানে গত নভেম্বরের এক গণবিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব লক্ষ্য রাখছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের বিক্ষোভ নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করছি এবং আপনাদের সাহসিকতায় অনুপ্রাণিত হচ্ছি।’

গত নভেম্বরের বিক্ষোভকালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। অ্যামিনেস্টি ইন্টান্যাশনাল বলেছে, ওই বিক্ষোভকালে তিন শতাধিক লোক নিহত হন।


আরো সংবাদ



premium cement