২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

হৃত্বিকের জন্য পাগল স্ত্রীকে মেরে আত্মহত্যা যুবকের!

হৃত্বিক রোশন - ছবি : সংগৃহীত

স্ত্রী পাগলের মতো পছন্দ করতেন বলিউড তারকা হৃত্বিক রোশনকে। এ খবর জানার পর থেকেই মনে মনে ফুঁসতেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা দিনেশ্বর বুধীদাত। শেষপর্যন্ত চরম পথ বেছে নিলেন তিনি। শুধুমাত্র ঈর্ষা ও সন্দেহের জেরে নিজের স্ত্রীকে ছুরি মেরে হত্যা করলেন ৩৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। স্ত্রীকে খুন করার পর নিজেও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার পথে বেছে নেন তিনি।

নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুইন্সের দিনেশ্বর বুধীদাত বারটেন্ডার হিসাবে কর্মরত তার স্ত্রী ডোনে ডোজয়কে (২৭) ছুরি মেরে হত্যা করেন, তারপর নিজেও আত্মহত্যা করেন।

নিহত ওই নারীর বন্ধুরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বরাবরই স্ত্রী হৃত্বিক রোশনকে পছন্দ করেন বললে রেগে যেতেন ওই ব্যক্তি।

যে বারে কাজ করতেন ওই নারী, সেখানকারই এক সহকর্মী বলেন, ‘ও আমাকে বলেছিল যে, যখনই ও বাড়িতে সিনেমা দেখতো বা গান শুনতো (যাতে হৃতিক রোশন আছে), ওর স্বামী সেটা বন্ধ করে দিতে বলতেন, কেননা তিনি হৃত্বিকের প্রতি নিজের স্ত্রীর ভালোলাগাকে ঈর্ষা করতেন।’

তিনি আরো বলেন, ডোনে ডোজয় এতটাই হৃত্বিককে পছন্দ করতেন যে, তার অভিনীত কোনো ছবি দেখাই বাকি রাখতেন না।

জানা গেছে, প্রতিদিনকার অশান্তির জেরে স্বামীর বাড়ি থেকে চলে এসে আলাদা থাকতে চেয়েছিলেন ডোনে ডোজয়। কিন্তু স্বামী দিনেশ্বর বুধীদাত অনুরোধ করায় শেষপর্যন্ত সেখানে থাকতে রাজি হন মহিলা। আর তারপরেই স্ত্রীকে খুন করেন বুধীদাত।

পুলিশ জানিয়েছে, ওইদিন সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তি তার শালিকে মেসেজ করে জানান যে, তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন এবং তাদের অ্যাপার্টমেন্টের চাবিটি ফুলের পাত্রের নিচে পাওয়া যাবে।

শালিকে ওই বার্তা দেয়ার পরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ওই ব্যক্তি।

এর আগেও স্ত্রীর উপর অত্যাচার করার অভিযোগ ওঠে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এমনকি আদালতের কাছে স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে সুরক্ষাও চেয়েছিলেন মৃত ডোনে ডোজয়। এমনকি বন্ধুদের কাছেও নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে অনুযোগ করেছিলেন ওই নারী। স্বামী যে তাকে মাঝেমধ্যেই দুর্ব্যবহার থেকে মারধর পর্যন্ত করতেন সে কথাও বন্ধুদের বলেছিলেন ওই নারী।

অনেকেই বলছেন, অতিরিক্ত ভালোবাসার জেরেই ঈর্ষাকাতর হয়ে স্ত্রীকে খুন করেছেন দিনেশ্বর বুধীদাত।

ঘটনার পর নিহত ডোনে ডোজয়ের চাচি সিলভিন ডোজয় বলেন, ‘ও একজন সুন্দরী বুদ্ধিমান যুবতী ছিল। অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রমও করতো।’

দিনেশ্বর বুধীদাত সম্পর্কে তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘ওর স্বামী একজন কাপুরুষ ছিলেন। নাহলে কে এমন আচরণ করেন? কোনো নারীর গায়ে আপনি হাত তুলবেন? এটি কাপুরুষোচিত কাজ। উনি যা করেছেন তা অবিশ্বাস্য। তার এরকম করার কোনো অধিকার ছিল না।’


আরো সংবাদ



premium cement