২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরানের সাথে যুদ্ধের জন্য আমেরিকা প্রস্তুত

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প - ফাইল ছবি

শনিবার সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলে দু-দুটি পেট্রোলিয়াম কেন্দ্রের উপর ড্রোন হামলার ফলে আঞ্চলিক স্তরে উত্তেজনা বাড়ছে৷ সৌদি রাষ্ট্রীয় আরামকো কোম্পানির এই দুটি স্থাপনা গোটা বিশ্বে পেট্রোলিয়াম সরবরাহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে৷ হামলার ফলে দিনে ৫৭ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমে যাবার কারণে পেট্রোলিয়ামের আচমকা মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কাও দূর হচ্ছে না৷

সেই ধাক্কা সামলাতে আমেরিকা ও সৌদি আরব প্রয়োজনে জরুরি অবস্থার জন্য মজুত তেলের ভাণ্ডার কাজে লাগাতে পারে৷ তবে আন্তর্জাতিক জ্বালানি এজেন্সি আইইএ জানিয়েছে, যে বর্তমান পরিস্থিতিতে পেট্রোলিয়ামের বাজারে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা নেই৷

হামলার উৎস সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া না গেলেও সন্দেহের তীর ইরানের দিকে৷ দক্ষিণে ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হাউছি বিদ্রোহীরা এই হামলার দায় স্বীকার করলেও এমন দূরপাল্লার জটিল ড্রোন হামলার পেছনে অন্য কোনো শক্তি ছিল বলে সৌদি ও মার্কিন কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করছে৷ ইরাকের দক্ষিণ থেকে ড্রোন পাঠানো হয়েছিল, এমন সন্দেহও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ সেখানেও ইরানের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে৷ ইরাকের সরকার অবশ্য এই হামলার সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে৷

এমন প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে চলেছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার দেশ পাল্টা হামলার জন্য প্রস্তুত৷ রোববার এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘সৌদি আরবের তেলের সরবরাহের উপর হামলা হয়েছে৷ আমরা অপরাধীকে চিনি, এমনটা ভাবার কারণ রয়েছে৷'

ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, যে যাবতীয় তথ্য যাচাইয়ের পর আমেরিকা পাল্টা হামলার জন্য প্রস্তুত৷ তবে সৌদি আরবের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷

শনিবারের হামলার জন্য হাউছি বিদ্রোহীরা দায় স্বীকার করলেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তাতে বিশ্বাস না করে ইরানকে সরাসরি দায়ী করেছেন৷ এক টুইটে তিনি লেখেন, ‘সৌদি আরবে প্রায় ১০০ হামলার জন্য ইরান দায়ী৷ একই সময়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ জাভেদ জরিফ কূটনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকার ভান করছেন৷

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি পম্পেও-র অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইরানের উপর যতটা সম্ভব চাপ সৃষ্টি করার নীতি বিফল হওয়ায় আমেরিকা এখন তার বদলে যতটা সম্ভব মিথ্যাচারের নীতি বেছে নিয়েছে৷ তার দাবি, ইয়েমেনে সৌদি আরবের সামরিক অভিযানের প্রতিশোধ নিতে হাউছি বিদ্রোহীরা এই হামলা চালিয়েছে৷

এই অবস্থায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সংঘাত সত্ত্বেও পুরোপুরি যুদ্ধের আশঙ্কা করছেন না মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞরা৷ আমেরিকা অবশ্য ইরানের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ সংবাদ সংস্থা এএফপি একাধিক বিশেষজ্ঞের মতামত তুলে ধরে এখনই বড়সড় সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নীলফামারীতে তিন হাজার ১৭০ চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু উজ্জ্বল হত্যার বিচার দাবিতে সরিষাবাড়ীতে মানববন্ধন

সকল