২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নোবেল বিজয়ী টনি মরিসন আর নেই

১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস—দ্য ব্লুয়েস্ট আই। এর তিন বছর পর ১৯৭৩ সালে বের হয় দ্বিতীয় উপন্যাস—সুলা - ছবি : সংগৃহীত

১৯৯৩ সালে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী টনি মরিসন আর নেই। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মন্টিফিওরে মেডিকেল সেন্টারে গত সোমবার রাতে ৮৮ বছর বয়সে তিনি চিরবিদায় নিয়েছেন। তিনিই প্রথম আফ্রিকান–আমেরিকান নারী, যিনি সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন।

টনি মরিসনের পরিবার মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গভীর দুঃখের সাথে আমরা জানাচ্ছি যে অল্প সময়ের অসুস্থতার পর আমাদের প্রিয় মা ও দাদি টনি মরিসন গত রাতে আমাদের ছেড়ে চিরদিনের মতো চলে গেছেন। তার অন্তিম মুহূর্তে তার পাশে ছিলেন স্বজন ও বন্ধুরা। তার মৃত্যুতে আমাদের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল। তবে আমরা কৃতজ্ঞ, তিনি দীর্ঘ জীবন পেয়েছেন এবং শেষ দিন পর্যন্ত সুস্থ অবস্থায় বেঁচে ছিলেন।’ বিবৃতিতে টনি মরিসনকে ‘নিখুঁত লেখক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়, যিনি ‘অক্ষরসম্পন্ন বিশ্বকে সমৃদ্ধ করেছেন’।

টনি মরিসনের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে, ১৯৩১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস—দ্য ব্লুয়েস্ট আই। এর তিন বছর পর ১৯৭৩ সালে বের হয় দ্বিতীয় উপন্যাস—সুলা। লেখক খ্যাতির জন্য তাঁকে অপেক্ষাও করতে হয়নি। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় তাঁর আরও নয়টি উপন্যাস।

১৯৮৭ সালে প্রকাশিত বিলাভেড উপন্যাসের জন্য পরের বছরই তিনি পুলিৎজার পুরস্কার পান। একই উপন্যাসের জন্য পান আমেরিকান বুক অ্যাওয়ার্ড। ১৮৬০ সালের একজন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকার কঠোর জীবন ছিল এ উপন্যাসের বিষয়বস্তু। যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই দাস কেনটাকি থেকে ওহাইও পালান।

টনি মরিসন ১৯৯৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। মার্কিন সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে পান ন্যাশনাল বুক ফাউন্ডেশনের মেডেল অব ডিস্টিংগুইশড কন্ট্রিবিউশন সম্মাননা। ২০১২ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডমে ভূষিত করেন।

কর্মজীবনে টনি মরিসন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে পড়িয়েছেন। কাজ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশনা সংস্থা র‍্যানডম হাউসে সম্পাদক হিসেবে।

পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার টনি মরিসনের মৃত্যুর খবর জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার পর দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে। প্রিয় লেখকের প্রতি শ্রদ্ধার ঢলে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চঞ্চল হয়ে ওঠে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশনা সংস্থা নফ পাবলিশার্সে টনি মরিসনের দীর্ঘদিনের সম্পাদক রবার্ট গটলিয়েব বিবৃতিতে বলেন, ‘তিনি (টনি মরিসন) ছিলেন অসাধারণ এক নারী ও লেখক। আমি বলতে পারব না, এই দুই সত্তার মধ্যে কোনটি আমার বেশি মনে পড়বে।’

নফের চেয়ারম্যান সোনি মেহতা বলেন, ‘যে গুটিকয় লেখক আমেরিকান সাহিত্যে এতটা মানবিকভাবে কিংবা ভাষার প্রতি দরদ নিয়ে লিখে গেছেন, টনি তাঁদের একজন। তাঁর বর্ণনাশৈলী আর সম্মোহনী গদ্য আমাদের সংস্কৃতিতে অমোচনীয় চিহ্ন তৈরি করেছে। তাঁর উপন্যাসগুলো আমাদের মনোযোগ প্রত্যাশা করে।’


আরো সংবাদ



premium cement
পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নীলফামারীতে তিন হাজার ১৭০ চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু উজ্জ্বল হত্যার বিচার দাবিতে সরিষাবাড়ীতে মানববন্ধন পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২১

সকল