২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কথা বলছেন না কেন মেলানিয়া?

কথা বলছেন না কেন মেলানিয়া? - ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের কংগ্রেসের চার ‘অ-শ্বেতাঙ্গ’মহিলাকে বলেছেন, যেখান থেকে এসেছেন, সেখানেই ফিরে যান। যদিও তাদের তিনজনেরই জন্ম ও বেড়ে ওঠা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই। শুধু একজন শৈশবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া থেকে।

ঘটনাচক্রে, মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও আমেরিকায় জন্মাননি। ট্রাম্পের বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের পর সমালোচনার ঢেউ উঠলেও ফার্স্ট লেডি কেন চুপ, উঠেছে সেই প্রশ্ন। গত বছর যখন শরণার্থী শিশুদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করে দেয়ার নীতি কার্যকর করতে যান প্রেসিডেন্ট, তখন সরব হতে দেখা গিয়েছিল মেলানিয়াকে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘শিশুদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে দেওয়ার নীতি মানতে পারছি না। এটা হৃদয়বিদারক।’’ কিন্তু এ বার এখন পর্যন্ত কিছুই শোনা যায়নি মেলানিয়ার মুখে।

ফার্স্ট লেডির জন্ম স্লোভেনিয়ায়। যা একসময়ে যুগোস্লোভিয়ার অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে স্লোভেনিয়া স্বাধীন হয়, ট্রাম্পের সে সময়ে বয়স ২১ বছর। ওই সময়েই মডেলিংয়ের জন্য স্লোভেনিয়া ছেড়ে মেলানিয়া প্রথমে যান ইটালি এবং পরে ফ্রান্স। ১৯৯৬ সালে পৌঁছন নিউ ইয়র্কে। সেখানেই ১৯৯৮ সালে তার ধনকুবের ব্যবসায়ী ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ হয়। তাকে বিয়ে করেন ২০০৫ সালে এবং পরের বছর সেই সূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ। নাগরিকত্ব-প্রশ্নে তিনি বরাবরই বলে এসেছেন, আইনি পথেই আমেরিকার নাগরিক হয়েছেন। মেলানিয়ার বাবা-মা-ও ‘চেন মাইগ্রেশন’-এর (পারিবারিক সূত্রে) সুবাদে মার্কিন নাগরিক। যদিও এখন ট্রাম্প নিজেই পরিবার-সূত্রে নাগরিকত্ব দেয়ার নীতির বড় সমালোচক।

নিউ ইয়র্কের আলেকজ়ান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কর্তেজ়, মিনেসোটার ইলান ওমর (জন্ম সোমালিয়ায়), মিশিগানের রশিদা তালিব এবং ম্যাসাচুসেটসের আইয়ানা প্রেসলিকে নাম না-করে দেশ ছাড়তে বলেছেন ট্রাম্প। এরা আমেরিকার নাগরিক। অনেকের মনেই প্রশ্ন, এ বার কি নিজের পারিবারিক ঐতিহ্যের কথাও ভুলে গিয়েছেন ট্রাম্প?


আরো সংবাদ



premium cement

সকল