১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরানের ওপর ‘গুরুতর’ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা ট্রাম্পের

- সংগৃহীত

পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচীতে বাধা দিতে ইরানের ওপর আরো ‘গুরুতর’ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তেহরান তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসা পর্যন্ত অর্থনৈতিক চাপ বজায় রাখা হবে বলে তিনি জানান।

সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন,‘আমরা অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি। (কিছু) ক্ষেত্রে খুব দ্রুত তা করা হবে।’

পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তির সীমা লঙ্ঘন সম্পর্কিত ইরানের ঘোষণা আসার পরই এমন কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সীমা বিষয়ে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সাথে ইরানের চুক্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। সে অনুযায়ী কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয়া হয়েছিল ও ইরানকে তেল রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত বছর চুক্তিটি প্রত্যাহার করে এবং নিষেধাজ্ঞাও জারি করে। যার ফলে ইরান আবারো অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হয় এবং তার মুদ্রার মান হ্রাস পায়।

"যদি ইরান একটি সমৃদ্ধ জাতি হতে চায়... তবে সেটি আমার কাছে ঠিক আছে," বলেছেন ট্রাম্প। "কিন্তু, তারা তা কখনোই হতে পারবে না যদি না তারা পাঁচ-ছয় বছর ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে থাকে।"

২০১৬ সালের নির্বাচনী স্লোগানের মত করে তিনি বলেন, "ইরানকে আবার মহান বানান।"

এসব কথার পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবার টুইট করে দেশটির ওপর 'বাড়তি কঠোর নিষেধাজ্ঞা' জারির ঘোষণা দেন, যা সোমবার থেকে কার্যকর হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কিভাবে ইরানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে?

গত বছর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ফলে ইরানের বিশেষ করে জ্বালানী, শিপিং এবং আর্থিক খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিদেশী বিনিয়োগ কমে যায় ও তেল রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়। নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্কিন কোম্পানিগুলো দেশটির সাথে বাণিজ্য থেকে বিরত থাকলেও অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো সম্পর্ক বজায় রেখেছিল।

এর ফলে বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ঘাটতি দেখা যায়, বিশেষ করে প্রভাব পরে শিশুদের ব্যবহার্য দ্রব্যে। স্থানীয় মুদ্রার দাম পড়ে যাওয়ায় দেশে উৎপাদিত খাদ্যে প্রভাব পড়ে, দাম বেড়ে যায় মাংস বা ডিমের মতো খাদ্য সামগ্রীর।

কী হতে পারে এরপর?

দুইটি দেশের মধ্যের উত্তেজনা যখন ক্রমশই বাড়ছিল ঠিক তখনই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাটি এল। আকাশসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে ইরান গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়ে দিয়েছিল।

ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলশোনারি গার্ড কর্পস বা আইআরজিসি বলছে, এই ড্রোন ভূপাতিত করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে 'পরিষ্কার' বার্তা পাঠানো হলো যে ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করা যাবে না।

তবে মার্কিন সামরিক কর্তৃপক্ষের দাবি, মানুষবিহীন ঐ উড়োজাহাজটি হরমুজ প্রণালীতে আন্তর্জাতিক সীমানাতেই ছিল।

তারপর থেকেই দুটো দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তৈরি হতে থাকে।

আইআরজিসি'র উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা আমির আলি হাজিজাদেহ বলেন, "৩৫ জনকে বহনকারী একটি সামরিক বিমান সেসময় ঐ ড্রোনের খুব কাছেই ছিল, যেটিকে আমরা সহজেই গুলি করতে পারতাম। কিন্তু তা আমরা করিনি।"

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেসময় বলেছিলেন, তিনি ইরানের সাথে যুদ্ধ চান না, কিন্তু সংঘাত বেধে গেলে, ইরানকে 'নিশ্চিহ্ন' করে দেয়া হবে। সূত্র : বিবিসি।


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল