অভিনন্দন টেলিগ্রাম পাওয়া গেল ৫০ বছর পর
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ মার্চ ২০১৯, ১৫:৪৬
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার ইত্যাদির চাপে টেলিগ্রাম বিদায় নিয়েছে অনেক আগেই। যোগাযোগের আরো অনেক প্রযুক্তি রয়েছে বিদায়ের পথে। কিন্তু এ অবস্থায় যদি কেউ টেলিগ্রাম পায়। পেতে পারে। কিন্তু সেটি যদি হয় ৫০ বছর আগের, তাহলে?
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে এক ব্যক্তি হাতে পেয়েছেন বন্ধুর পাঠানো ৫০ বছর আগের সেই টেলিগ্রাম। বন্ধুর সেই টেলিগ্রাম পেয়ে খুশির পাশাপাশি অবাকও হয়েছেন মার্কিন নাগরিক রবার্ট ফিঙ্ক। আবার মর্মাহতও হয়েছেন। কারণ যারা তাকে সেই টেলিগ্রামটি পাঠিয়েছিলেন, তারাই চলে গেছেন দুনিয়া ছেড়ে। ফলে তাদেরকে আর ধন্যবাদ জানাতে পারেননি ফিঙ্ক।
ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে ফিঙ্ক গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন। ওই সময় তার এক বন্ধু তাকে অভিনন্দন জানিয়ে একটা টেলিগ্রাম করেন। তাতে লেখা ছিল ‘তোমার ডিগ্রি নেয়ার মুহূর্তটিতে অভিনন্দন জানানোর জন্য উপস্থিত থাকতে না পারায় আমরা দুঃখিত। তবে আমাদের ভালোবাসা ও শুভকামনা সবসময় থাকবে তোমার জন্য।’ -শুভেচ্ছান্তে ডা. ফিচম্যান ও মিসেস ফিচম্যান।
টেলিগ্রামটি পাঠানো হয়েছিল ১৯৬৯ সালের ২ মে। কিন্তু তার একদিন আগেই ফিঙ্ক তার আপার্টমেন্টটা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এ কারণে চিঠিটা তিনি আর পাননি। গত বছরের ডিসেম্বরে হঠাৎ করেই ফিঙ্ক মিশিগান থেকে একজন অপরিচিত ব্যক্তির ই-মেইল পান। ওই মেইলে ক্রিস্টিনা জাসেক নামের এক নারী লিখেছেন, কাজ করতে গিয়ে একটা ক্যাবিনেট গোছানোর সময় তিনি ফিঙ্কের নামে একটা টেলিগ্রাম পেয়েছেন। ফিঙ্ক বলেন, ইমেইলটি পেয়ে প্রথমে আমার মনে সন্দেহ জেগেছিল। মনে করেছিলাম, মিথ্যে করে কেউ এটা লিখেছে।
পরে জানা যায়, জাসেকের কোম্পানি মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে ক্যাবিনেট বদলানোর সময় একটা ক্যাবিনেটে ও টেলিগ্রামটি দেখতে পান। পরে ইন্টারনেট ঘেঁটে তাকে খুঁকে বের করে ক্রিস্টিনা জাসেক ইমেইলটি করেন।
বর্তমানে অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ফিঙ্ক জানান, ১৯৬৯ সালে নিজের অ্যাপার্টমেন্টটি ছেড়ে দেয়ায় তিনি আর ওই টেলিগ্রামটি পাননি।
ফিঙ্ক বলেন, ভাগ্যের কি পরিহাস! আমি জীবনে এই একটিমাত্র টেলিগ্রামই পেয়েছি। তাও আবার পোস্ট করার ৫০ বছর পরে!
কিন্তু এই টেলিগ্রাম আফসোস বাড়িয়ে দিয়েছে ফিঙ্কের। তিনি বলেন, ‘টেলিগ্রামটির জন্য ফিচম্যান দম্পতিতে কোনোদিন ধন্যবাদ জানাতে পারবো না। কারণ তাদের কেউ আর বেঁচে নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা