২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি নিয়ে রুশ-মার্কিন উত্তেজনা

নাইনএম৭২৯ ভূমিকেন্দ্রিক ক্ষেপণাস্ত্র - সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার একটি মিসাইল চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। রাশিয়া চুক্তিটির ধারা ভঙ্গ করেছে দাবি করে এ পদক্ষেপ নেয় ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন এ ঘোষণা ২ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তাদের এ পদক্ষেপের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, মস্কো কোনো প্রকার দ্বিধা না করেই ১৯৮৭ সালে করা ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস (আইএনএফ)-এর ধারা ভেঙেছে।

ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তি থেকে সরে গেলেও এর আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল প্রায় চার মাস ধরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত অক্টোবরে ঘোষণা করেন, যদি রাশিয়া তাদের নাইনএম৭২৯ ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস না করে তাহলে তারা ফেব্রুয়ারিতে ওই চুক্তি থেকে ছয় মাসের প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু করবে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, এটি স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে যে চুক্তি করা হয়েছিল, এটি তারই অংশ।

এর দুই মাস পর ডিসেম্বরে পম্পেও রাশিয়াকে ৬০ দিন সময় দিয়ে চুক্তিতে ফিরে আসার আহ্বান জানান। ওই মেয়াদ শেষে শুক্রবার তিনি এ চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন , রাশিয়া এ ৬০ দিনে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

গত সপ্তাহে রাশিয়া গণমাধ্যম ও বিদেশী সামরিক কর্মকর্তাদের সামনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম নাইনএম৭২৯ ভূমিকেন্দ্রিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করে। তারা প্রমাণ করতে চেয়েছিল, তাদের এই অস্ত্র আইএনএফ চুক্তির পরিপন্থী নয়। রাশিয়া জানায়, তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ সীমা ৪৮০ কিলোমিটার, যা অনুমোদিত সীমার মধ্যেই পড়ে। তবে ওয়াশিংটন দাবি করছে, শুধু এ ধরনের  প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় না যে, এটি চুক্তি লঙ্ঘন করেনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্ভাচেভ ১৯৮৭ সালে আইএনএফ চুক্তিতে সই করেছিলেন। ওই চুক্তিতে ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার কিলোমিটার সীমার ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়। এ চুক্তির ফলে ইউরোপ একটি বিপজ্জনক অবস্থা থেকে মুক্তি পায়। কিন্তু এখন আবার পুরনো সেই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement