২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চীন-রাশিয়ার সক্ষমতায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চীন-রাশিয়ার সক্ষমতায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় চীন-রাশিয়ার সক্ষমতায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র - ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়া ও চীনের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশ দু’টি ‘সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি’র চেষ্টা করতে পারে। এতে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া পরমাণু অস্ত্র থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে আসার সম্ভাবনা নেই উত্তর কোরিয়ার। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এমনটি আশঙ্কা করছে।

তাদের বৈশ্বিক হুমকি মূল্যায়নবিষয়ক একটি রিপোর্ট বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যাশা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে আসবে না। তবে বর্তমানে ইরান কোনো পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে না। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হলো রাশিয়া ও চীনের সক্ষমতা নিয়ে। দেশ দু’টির সাইবার হুমকিগুলো দিন দিন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

এই দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালক ড্যান কোটস এবং অন্যান্য গোয়েন্দা প্রধানরা ওই রিপোর্টটি সিনেটে উপস্থান করেন। রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের পরও শেষপর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রের মজুদ এবং উৎপাদন ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ায় ‘অসম্ভাব্যতা’ রয়ে গেছে।

উত্তর কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করার জন্য ২০১৮ সালের জুনে সিঙ্গাপুরে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং উনের মধ্যে। নানা উত্তেজনার মধ্য দিয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পরবর্তী সময়ে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টটিতে।

তবে এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে আসছে রাশিয়া ও চীন। এই দেশের হুমকি দিন দিন বাড়ছে, যা ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিকতর সমৃদ্ধ হয়েছে। বলা হচ্ছে, উভয় দেশেরই অত্যাধুনিক ‘সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি’ ক্ষমতা রয়েছে, যা ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যবহার করার চেষ্ট হতে পারে। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।

এতে আরো বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের ইরান বর্তমানে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে না। যদিও দেশটি আঞ্চলিক উচ্চাকাক্সক্ষা এবং উন্নত সামরিক দক্ষতা বাড়াচ্ছে, যা ভবিষ্যতে মার্কিন স্বার্থকে হুমকিতে ফেলতে পারে।

এদিকে উত্তর কোরিয়া নেতা কিম জং উনের সাথে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবার নিরস্ত্রীকরণ নিয়েই আলোচনার জন্য ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ এ বৈঠক হতে পারে বলে জানিয়েছিল হোয়াইট হাউজ।


আরো সংবাদ



premium cement