২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি নিয়ে রুশ-মার্কিন মতাবিরোধ

হোয়াইট হাউজ -

১৯৮৭ সালে সম্পাদিত মধ্যম-পাল্লার পরমাণু শক্তি চুক্তি (আইএনএফ) বহাল রাখার রুশ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই চুক্তি দ্বারা পরমাণু অস্ত্রকে ইউরোপের বাইরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

জেনেভায় রাশিয়া ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি নিয়ে বৈঠকের একদিন পর এ তথ্য জানান মার্কিন অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক সহকারী আন্দ্রে থম্পসন।

তিনি গত বুধবার জানান, রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ভালোভাবে পরিদর্শন করার ক্ষেত্রে সম্মতি দেয়নি মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার নতুন মিসাইল ব্যবস্থাকে চুক্তির পরিপন্থী বলে দাবি করছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার সাথে মিসাইল চুক্তি থেকে ছয় মাসের জন্য বেরিয়ে যাওয়ার কার্যক্রম শুরু করার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

১৯৮৭ সালে স্নায়ুযুদ্ধ বা কোল্ড ওয়ারের সময় চীন ও রাশিয়া এ ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পাদন করেছিল। এতে সই করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান ও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ। মার্কিন সিনেট দ্বারা অনুমোদিত ওই চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের কেউই ভূমি থেকে পরিচালিত ৫ শ’ থেকে সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার (৩০০ থেকে ৩,৪০০ মাইল) দূরত্বে আঘাত হানতে পারে এমন ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার, তৈরি ও পরীক্ষা না করা এবং স্বল্প সময়ের নোটিশে পরমাণু হামলায় সক্ষমতা কমানোর বিষয়ে একমত হয়। চুক্তির পর দুই দেশ মিলে কমপক্ষে ২ হাজার ৬ শ’ মিসাইল নষ্ট করে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে ১৫ জানুয়ারির বৈঠকে থম্পসন বলেন, আমরা রাশিয়ার কোনো নতুন ক্ষেত্র সম্পর্কে জানতে সক্ষম হইনি। বরং এসব আলোচনা থেকে রাশিয়া কোনো বিষয়ে সম্মতি দেবে এমন কোনো লক্ষণও আমরা দেখতে পাইনি।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো মিত্ররা চায়, রাশিয়া অল্প সময়ের নোটিশে ইউরোপে হামলায় সক্ষম এমন ৯এম৭২৯ পরমাণু অস্ত্রবহনকারী ক্রুজ মিসাইল ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলুক এবং আইএনএফ বাস্তবায়ন করুক।

গত বুধবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, মস্কো এ চুক্তিটি রক্ষা করতে প্রস্তুত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর প্রস্তাবটি ভালোভাবে বিবেচনা করে দেখেনি এবং ইউরোপের নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতাকেও বাধা দেয়নি। তবে থম্পসন বলেন, রাশিয়া শুধু একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রদর্শনের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেটি দিয়ে আসলে পরমাণু অস্ত্রের কার্যক্ষমতা বোঝা সম্ভব নয়।
ন্যাটো বৈঠক
থম্পসনের বিবৃতি নিয়ে ন্যাটোর এক বৈঠকের পর সংস্থাটির মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ রয়টার্সকে বলেন, রাশিয়া অবশ্যই সম্মতিতে ফিরে আসবে। তবে তিনি এ-ও বলেন, আইএনএফ চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য জোটের সদস্যদের প্রস্তুত হতে হবে। একই সময়ে তিনি সদস্য দেশগুলোর সামরিক কর্তৃপক্ষকেও পরিণতির দিকে নজর দিতে বলেছিলেন। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

ইউরোপের দেশগুলো এখন ইউরোপে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। ১৯৮০ সালেও এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল, যখন মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছিল। স্টোলটেনবার্গ আরো বলেন, এটি একটি ধারাবাহিকতার অংশ যেখানে রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র আধুনিকীকরণ, অনুশীলন ও পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে। আমি মনে করি, রাশিয়া এ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে এ ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছে। যেখানে তারা প্রতিবেশী দেশগুলোকে ভয় প্রদর্শন ও তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে পারে।

রাশিয়া অবশ্য এ ধরনের কৌশলের কথা অস্বীকার করে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আইএনএফ থেকে সরে যাওয়ার অজুহাত সৃষ্টিতে মস্কোকে ব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত

সকল