২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শাটডাউন আলোচনা থেকে ট্রাম্পের ওয়াকআউট

-

যুক্তরাষ্ট্রে চলমান শাটডাউন নিরসনে ডেমোক্র্যাট নেতাদের সাথে এক বৈঠক থেকে ‘ওয়াকআউট’ করলেন দেশটির রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার মেক্সিকো সীমান্তবর্তী দেয়াল নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত অর্থ বরাদ্দ দিতে রাজি না হওয়ায় আলোচনায় এগোতে চাননি ট্রাম্প। বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পরে শীর্ষ দুই ডেমোক্র্যাট নেতার সাথে বৈঠককে ‘সময় নষ্ট’ হিসেবেও অভিহিত করেন।

১৯তম দিনের গড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শাটডাউন। ২২ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একাংশে অচলাবস্থা বা শাটডাউন শুরু হয়েছে। এই শাটডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় আট লাখ সরকারি কর্মী। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করতে ট্রাম্পের প্রত্যাশিত ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার অনুমোদন করতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সদস্যরা একমত হতে না পারায় এই অচলাবস্থা শুরু হয়। সর্বশেষ বুধবারের বৈঠককে ‘সময়ের নষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। এক টুইটে তিনি জানান, শীর্ষ ডেমোক্র্যাটদের ‘বাই-বাই’ বলতে হয়েছে তাকে।

তিনি বলেন, ‘চাক আর ন্যান্সির সাথে বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছি। পুরোপুরি সময় নষ্ট। আমি তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, ৩০ দিনের মধ্যে কী হবে, যদি আমি খোলামেলা বলি, তোমরা কি দেয়াল বা ইস্পাতের বেষ্টনীসহ সীমান্ত নিরাপত্তায় বরাদ্দ দিতে রাজি হবে? ন্যান্সি বলল, না। আমি বলেছি বাই বাই, কোনোকিছুই কাজ করছে না।’

বৈঠকের পর হোয়াইট হাউজের বাইরে দুই পক্ষই পরষ্পরকে দোষারোপ করছে। ট্রাম্প দুই শীর্ষ ডেমোক্র্যাটের অনড় অবস্থানকে দায়ী করলেও ন্যান্সি ও শুমার বলছেন, বুধবার ওয়েস্ট উইংয়ের বেজমেন্টে হওয়া বৈঠকটি পণ্ড হওয়ার মূল কারণ প্রেসিডেন্টের গোয়ার্তুমি। প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট স্পিকার বলেন, লাখ লাখ সরকারি কর্মীর বেতনহীন অবস্থাকে ট্রাম্প ‘স্বাভাবিক ক্ষয়ক্ষতি’ হিসেবেই দেখছেন। ন্যান্সি বলেছেন, ‘এ বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে অনুভূতিহীন মনে হচ্ছে। তার মনে হচ্ছে, তারা (বেতনহীন কর্মী) তাদের বাবাদের কাছে আরো অর্থ চাইতে পারে। কিন্তু তারা পারে না।’

ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেস দেয়াল নির্মাণে তহবিল বরাদ্দ দিতে না চাইলেও এ ইস্যুতে এখনো পর্যন্ত অনড় অবস্থানে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কেননা তিনি মনে করেন, এ দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা সম্ভব হবে। একই সাথে সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক পাচারেরও রাশ টেনে ধরা সম্ভব হবে। তবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যরা মনে করেন বিশাল সীমান্তজুড়ে এই দেয়াল নির্মাণ খুবই ব্যয়বহুল এবং একইসাথে এটি একটি অনৈতিক পদক্ষেপ।

দেয়াল নির্মাণে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পেতে প্রয়োজনে জরুরি অবস্থা জারি করে কংগ্রেস পাশ কাটানোরও হুমকি দিয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার ওভাল অফিস থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে জরুরি অবস্থা জারি হবে বলে অনেকে আশঙ্কা করলেও ট্রাম্প সেপথে হাঁটেননি।


আরো সংবাদ



premium cement