২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মস্কোর প্রভাবে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ট্রাম্প!

ট্রাম্প ও পুতিন - ছবি : সংগ্রহ

মার্কিন ভোটে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্তে ফের বোমা ফাটাল এক মার্কিন সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, ২০১৬-র প্রেসি়ডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছিল রাশিয়া। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি নেটওয়ার্ক বিশ্লেষক সংস্থা এ নিয়ে একটি পুরোদস্তুর রিপোর্ট মার্কিন সিনেটে পেশ করতে চলেছে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

এখানেই শেষ নয়, ট্রাম্প যাতে নির্বিঘ্নে তার অফিস চালাতে পারেন, মস্কো সেই চেষ্টাও চালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ তাদের। যদিও গত নভেম্বরে দেশের মধ্যবর্তী নির্বাচনে এমন হস্তক্ষেপের কোনও অভিযোগ ওঠেনি। যে ভোটে মার্কিন কংগ্রেসের সেনেট নিজেদের দখলে রাখলেও, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস হাতছাড়া হয়েছে রিপাবলিকানদের।

গত বছর আমেরিকার ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটি যে রিপোর্ট পেশ করেছিল, তাতে রুশ হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে এমনই ইঙ্গিত ছিল। তার পর চলতি বছরের জুলাইয়ে শোনা যায়, তদন্ত প্রায় শেষের মুখে। কিন্তু রিপাবলিকানদের একটা অংশ বরাবরই

এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে বাগড়া দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে বেশ কয়েক বার। তাই এমন একটা সময়ে সংবাদমাধ্যম ফের সুর চড়ানোয় ট্রাম্প শিবির স্পষ্টতই চাপে প়ড়ল বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একটা বড় অংশ।

চাপে ফেসবুক, টুইটার, গুগলও। গুগল-প্লাসের ৫ কোটি ২৫ লক্ষ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁসের অভিযোগে সম্প্রতিই মার্কিন সিনেটে ডাক প়ড়েছিল সংস্থার সিইও সুন্দর পিচাইয়ের। তথ্য ফাঁসের কথা মেনে নিয়েও তিনি জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক কোনো দলের প্রতি তাদের পক্ষপাত নেই। অক্সফোর্ডের নেটওয়ার্ক বিশ্লেষক সংস্থা কিন্তু বলছে, ২০১৬-র ভোটে প্রায় সব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকেই যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে রাশিয়া। এ সব জানা গেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোর দেয়া তথ্য থেকেই।

কী ভাবে চলত প্রচার? কৌশলটা খুব সহজ— সমর্থকদের উস্কে দাও, আর বিরোধীদের বিভ্রান্ত করো। অভিযোগ, ভোটের আগে ও পরে প্রোফাইল ধরে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা, ছবি এবং ভিডিও পাঠানো হয়েছে। বন্দুক আইন থেকে অভিবাসন, কর্মসংস্থান, সমকামিতা, সমানাধিকার— কিচ্ছুটি বাদ পড়েনি প্রচারে। ফেসবুক, টুইটারের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবকেও সমান ভাবে হাতিয়ার করা হয়েছে ২০১৭-র মাঝামাঝি পর্যন্তও। অভিযোগ, ইয়াহু, মাইক্রোসফ্টের হটমেল সার্ভিস ও গুগলের জিমেল-এরও অপব্যবহার করেছে রাশিয়া।

কিন্তু এ সব তথ্য সেনেটের আগে কেন তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেয়া হলো না, সেই প্রশ্ন উঠছে। তথ্য ফাঁস এবং ভোটে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠার পরে ফেসবুক এবং গুগল মার্কিন কংগ্রেসের কাছে কিছু তথ্য দিলেও, তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রাশিয়া যে তাদের ব্যবহার করে আমেরিকার ভোটে নাক গলিয়েছে, এটা তারা গত বছরেই স্বীকার করেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৩ দেশে কাতার আমিরের সফরে কী লাভ ও উদ্দেশ্য?

সকল