১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্যাতনে জড়িতদের শাস্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র

নির্যাতনে জড়িতদের শাস্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র - সংগৃহীত

জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাসের চেষ্টা চালালেও তাতে তেমন সাড়া দেয়নি রাশিয়া ও চীন। অন্যদিকে অন্যতম সেনা সরবরাহকারী দেশ বাংলাদেশ মনে করে, বাজেট কমালে প্রভাব পড়বে শান্তিরক্ষায়।

জাতিসঙ্ঘে মার্কিন দূত নিকি হ্যালি জানান, যেসব শান্তিরক্ষী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং তাদের রক্ষায় ব্যর্থ হয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে তার দেশ। এ লক্ষ্যে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদকে চাপ দেয়া হচ্ছে।

জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বেশকিছু যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে। এছাড়াও সাউথ সুদান এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে মারাত্মক সহিংসতার হাত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় শান্তিরক্ষীরা ব্যর্থ হয়েছেন বলেও অভিযোগ অনেকের।

নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে বিতর্ক চলাকালে নিকি হ্যালি বলেন, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষীদেরই নির্যাতন এবং শোষণে জড়িত থাকার প্রমাণও মিলেছে। শান্তিরক্ষীদের ভূমিকা বাড়াতে’ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করবে। খসড়া প্রস্তাবে, অসদাচরণে দায়ী শান্তিরক্ষীদের দেশে ফেরত পাঠানো এবং বেতন কাটার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ১৪টি মিশনে জাতিসঙ্ঘের ৯৬ হাজার শান্তিরক্ষী মোতায়েন আছেন। এই বিপুল সংখ্যক শান্তিরক্ষীদের জন্য বার্ষিক ৬৯০ কোটি ডলার খরচ করতে হয় জাতিসংঘকে। এর চার ভাগের এক ভাগ বরাদ্দ চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া ও চীন অবশ্য এই খসড়া প্রস্তাব নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। দেশদুটি বলছে, যেসব দেশ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য পাঠায়, তাদের মতামতেরও গুরুত্ব দেয়া উচিত।

রাশিয়ার দূত বাসিলি নেবেনসিয়া বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের ‘মাইক্রো-ম্যানেজমেন্টে’ জড়িয়ে পড়া ঠিক নয় এবং শান্তিরক্ষা মিশনের সুনির্দিষ্ট ও পরিষ্কার রাজনৈতিক ম্যান্ডেট থাকা উচিত। প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে সেনা সরবরাহকারী দেশগুলোকে শাস্তি দেয়ার চেয়ে দেশগুলোকে এ ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করার ব্যাপারে রাশিয়া বেশি আগ্রহী।

শান্তিরক্ষী মিশনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেনা সরবরাহকারী দেশ বাংলাদেশ মনে করে পর্যাপ্ত সম্পদ ও জনবল থাকার সাথে মাঠের ফল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে দেশটি সতর্ক করে দিয়েছে, ‘পারফরম্যান্সে কথিত ব্যর্থতার অজুহাতে বাজেট ও সেনা কমানোর ফলে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হলেও, তাতে শান্তিরক্ষার মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে’।

শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে সাশ্রয়ী করার চেষ্টা করা হচ্ছে : জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব

২৯ মে ২০১৭

শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রমকে সাশ্রয়ী করার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জাতিসঙ্ঘ। এজন্য সংস্কার, পুনর্গঠন ও খরচ কমানোসহ সব ধরনের উপায় খোঁজা হচ্ছে। একইসাথে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার পথও খোঁজা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার দেয়া এক বিবৃতিতে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এন্থনিও গুতেরেস এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্ষমতায় আসার পর জাতিসঙ্ঘে দেয়া চাঁদার পরিমাণ কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন। এর প্রভাব মোকাবেলায় জাতিসঙ্ঘের সার্বিক কর্মকাণ্ডকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশ অন্যতম বৃহৎ সৈন্য ও পুলিশ সরবরাহকারী দেশ।


আরো সংবাদ



premium cement