২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বন্দুক হামলায় যুক্তরাষ্ট্রে নিহত আট হাজার

বন্দুক হামলায় যুক্তরাষ্ট্রে নিহত আট হাজার - ছবি : সংগৃহীত

বিভিন্ন বন্দুক হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে এ বছর এখন পর্যন্ত আট হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ‘গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ’ নামে দেশটির অলাভজনক একটি গ্রুপ এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির হিসাবে মতে, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ১৯৬টি বন্দুক হামলার ঘটনায় আট হাজার ৩৪৫ জন নিহত হয়েছে। পাশাপাশি ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৭৭টি বন্দুক সংশ্লিষ্ট ঘটনা রেকর্ড করেছে সংস্থাটি। 

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার সর্বশেষ ঘটনা ঘটে কলোরাডোর ডেনভার শহরে। ওই একই দিনে নিউ অরলিন্স শহরে বন্দুক হামলায় তিনজন নিহত ও সাতজন আহত হয়। নিউ অরলিন্স শহরের পুলিশের মুখপাত্র অ্যারন লুনে এক বিবৃতিতে বলেন, ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টার থেকে তিন মাইল দূরে ক্লাইবোর্ন অ্যাভিনিউয়ে গত শনিবার রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, লম্বা হুডওয়ালা শার্ট (মাথাসহ সারা শরীর ঢেকে রাখা যায় এমন শার্ট) পরিহিত দুইজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে গল্প করতে থাকা একদল মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে হামলা করে ও পালিয়ে যায়। হামলায় তিনজন নিহত হওয়াসহ মোট দশজন আক্রান্ত হয়। সংবাদ সংস্থা এএফপিও একই কথা বলেছে।

পুলিশ সুপার মাইকেল হ্যারিসন সাংবাদিকদের বলেন, দুইজন সন্ত্রাসীর একজনের হাতে রাইফেল এবং অন্যজনের হাতে ছোট বন্দুক ছিল বলে ধারণা করছেন তারা। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সন্ত্রাসীরা মানুষের ভিড়ের মধ্যেই দাঁড়িয়ে ছিল এবং পরে হামলা করে তারা পালিয়ে যায়। এটা ব্যক্তিগত হামলা হতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ভিড়ের মধ্যে নির্বিচারে গুলি চালানো, দশজনকে গুলিবিদ্ধ করা এবং তিনজনকে হত্যা করার ঘটনাকে আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। যে সন্ত্রাসীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের জেনে রাখা উচিত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই ঘটনাকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছে এবং আমরা তাদের আটক করতে আসছি।’ নিহত তিনজনের দুইজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করা হয়।

আরো পড়ুন :

সংরক্ষণবাদের বিরোধিতায় জি২০ এর কৃষিমন্ত্রীরা
রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী সংরক্ষণবাদের উত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে এর তীব্র সমালোচনা করে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতিমালা সংস্কারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জি২০ দেশগুলোর কৃষিমন্ত্রীরা। এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। তবে খাদ্য বাণিজ্য ব্যবস্থার উন্নতি সাধনে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তারা। 
বিবৃতিতে কৃষিমন্ত্রীরা জানিয়েছেন, তারা ডব্লিউটিওর নীতিমালার সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সংরক্ষণবাদী অ-শুল্ক বাণিজ্য পদক্ষেপের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ জি২০ দেশগুলোর মন্ত্রীরা বিবৃতিতে বাণিজ্যে অপ্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্য জোরালো প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। একই সাথে ডব্লিউটিওর অধীনে তাদের অধিকার ও বাধ্যবাধকতা মেনে চলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। শনিবার আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে জি২০-এর কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলন থেকে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।

সাম্প্রতিক বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধিতে বেসামাল হয়ে পড়ছে বৈশ্বিক কৃষি বাজার। এমন পরিস্থিতিতে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হলো। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন চীনা পণ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), কানাডা ও মেক্সিকো থেকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্কারোপ করেছে। এরপর চীনসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদাররা মার্কিন কৃষিপণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। চীনের পাল্টা শুল্কের প্রভাবে এক হাজার ১০০ কোটি ডলার ক্ষতির আশঙ্কা করছে মার্কিন কৃষিপণ্য উৎপাদকেরা। গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে কৃষকদের এক হাজার ২০০ কোটি ডলার পর্যন্ত সহায়তা দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে। সম্মেলনের ফাঁকে রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন কৃষিমন্ত্রী সনি পারডু বলেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনায় কৃষি উৎপাদকদের ৭০০-৮০০ কোটি ডলার সরাসরি নগদ সহায়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে মার্কিন কৃষকদের এ সহায়তা দেয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এ সহায়তা সত্ত্বেও এসব পদক্ষেপ কৃষকদের সম্পূর্ণ ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ট্রাম্প প্রশাসনের সহায়তা পদক্ষেপ উল্লেখ করে জার্মান কৃষিমন্ত্রী জুলিয়া ক্লোয়েকনার বলেন, কৃষকদের সহায়তার দরকার নেই, তাদের বাণিজ্য প্রয়োজন। আমরা একতরফা সংরক্ষণবাদী ব্যবস্থা চাই না। বৈঠকে আমাদের মধ্যে এ বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন ক্লোয়েকনার।

উল্লেখ্য জি২০ দেশগুলোয় বিশ্বের ৬০ শতাংশ কৃষিজমি রয়েছে এবং দেশগুলো খাদ্য ও কৃষিপণ্য বাণিজ্যের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। এদিকে সংরক্ষণবাদের বিপক্ষে নিজেদের প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও মন্ত্রীরা এর বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে, তা স্পষ্ট করেননি।


আরো সংবাদ



premium cement