২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অর্থের বিনিময়ে যে কারো শয্যাসঙ্গী হতে দ্বিধা করতেন না মেলানিয়া!

অর্থের বিনিময়ে যে কারো শয্যাসঙ্গী হতে দ্বিধা করতেন না মেলানিয়া! - সংগৃহীত

৯০ দশকে মডেলিং জগতে এক তোলপাড় করা নাম মেলানিয়া ট্রাম্প। অবশ্য তখন তার নামের সাথে ট্রাম্প ছিল না। মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প জন্মগ্রহণ করেন ২৬ এপ্রিল, ১৯৭০। ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৃতীয় পত্নী তিনি। ট্রাম্পের সাথে মেলানিয়ার বিয়ে হয় ২০০৫ সালে। মেলানিয়া ২০০৬ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব পান। ২০০১ সালে মার্কিন গ্রীন কার্ড পান। 

স্লোভানিয়ার ছোট্ট শহর স্লোভাকিয়া’র ছোট্ট বাড়ি থেকে হোয়াইট হাউসে বসবাস করছেন মেলানিয়া নাউস ট্রাম্প। তারা বাবা ভিক্টর গাড়ির বিক্রয়কর্মী এবং মা অ্যামাজিলা একটি টেক্টটাইল ফ্যাক্টরিতে নির্বাহী হিসেবে কাজ করতেন।

ছোটবেলা থেকেই বিলাসী জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখতেন মেলানিয়া। ধনকুবের ট্রাম্পের সাথে পরিচয় হওয়ার পর সেই স্বপ্ন পরিপূর্ণ রুপ লাভ করে।

মেলানিয়ার বাবা ভিক্টর তার মেয়েকে উচ্চাকাঙ্খী হতে শিখিয়েছেন যা দীর্ঘ পথ শেষে পৌছে মেলানিয়াকে পৌঁছে দিয়েছে ওয়াশিংটনে এবং এখন তিনি হোয়াইট হাউজের কর্ত্রী।

মেলানিয়ার মা অ্যামালিজা ব্যবসায়িক কাজে মিলান এবং প্যারিস ঘুরেনও তার মেয়েকে বৈশ্বিক ফ্যাশন সম্পর্কে অবহিত করেন। মা-বাবা অনুপ্রেরণায় প্রথমে ডিজাইনার এবং পরে মডেলিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেন মেলানিয়া যার সূত্রে তার পরিচয় হয় ধনকুবের ডোনাল্ডের সাথে।

স্কুলের বান্ধবীদের কাছে মেলানিয়া পড়ুয়া মেয়ে এবং পরবর্তীতে একজন সাহসী নারী যিনি বিতর্কিত পোশাক পরে বিভিন্ন ম্যাগাজিনের জন্য পোজ দিয়েছেন।

মেলানিয়ার ছেলেবেলার বন্ধু মিরজানা জেলানসিক (৪৫) জানান, ‘মেলানিয়া আর্ট এবং ডিজাইন ভালবাসত। তার বাবা একটি মার্সিডিস গাড়ি ব্যবহার করতেন এবং মেলানিয়া ও তার বোন ইনাস প্রতি শনিবার এটি পরিস্কার করত। তার বন্ধুরা খেলতে গেলেও সে সবসময় বই, ফ্যাশন ম্যাগাজিন, ক্যাটালগ নিয়েই ব্যস্ত থাকত।’

মিরজানা জেলানসিক বলেন, ‘মেলানিয়া উচ্চ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। শুধুমাত্র বক্তৃতায়ই নয় তার জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তা অনেক। সে এমন একটি সমাজে বেড়ে উঠেছে যেখানে কখনো পর্যাপ্ত স্বাধীনতা ছিল না। কিন্তু তার মায়ের সুবাদে সে জানত মুক্তবিশ্বের কথা যা অনেক বড়। সে তার জীবনে আরো বেশি কিছু চাইতো।’

১৬ বছর বয়সে লিজুব্লিজানার ফ্যাশন ফটেগ্রাফার স্টেনি জেরকোর কাছ থেকে মেলানিয়া পোজের প্রস্তাব পান। জেরকো বলেন, মেলানিয়ার লম্বা গড়ন, লম্বা চুল এবং লম্বা লম্বা পা আমাকে আকর্ষণ করেছিল। প্রথম দিকে তিনি নিজের সম্পর্কে অজ্ঞ থাকলেও পরে খুব তাড়াতাড়ি এটি শিখে যান এবং খুব স্বচ্ছন্দ্যে কাজ করতে থাকেন।

স্লোভাকিয়ার ছোট্ট শহর হাস্টনিকে বাস করা মেলানিয়ার সৎ ভাই ডেনিস সিসিলানজেক (৫১) জানান, মেলানিয়ার জন্য আমার শুভকামনা সব সময়, আমি মনে করি সে খুব যোগ্য ফার্স্ট লেডি।

অনেকে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প সম্পর্কে জানেন অতীতে তিনি একজন মডেল ছিলেন। তার সস্পর্কে এর বেশি হয়তো অনেকেই জানেন না। পরবর্তী মার্কিন ফার্স্ট লেডি সম্পর্কে কিছু তথ্য অবাক করবে।

কমিউনিস্ট দেশ যুগোস্লাভিয়ায় বেড়ে উঠেন মেলানিয়া। তিনি প্রথম কমিউনিস্ট দেশ থেকে গণতান্ত্রিক দেশের ফার্স্ট লেডি। মেলানিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ২০০ বছরের মধ্যে প্রথম বাইরের দেশের নাগরিক যিনি হোয়াইট হাউজে ফার্স্ট লেডি হয়েছেন।

মেলানিয়া বহু ভাষায় কথা বলতে পারেন। তিনি ইংলিশ, স্লোভানিজ, ফ্রান্সিস, জার্মানিজ ও সার্বিয়ান এই ৫ টি ভাষা জানেন। মেলানিয়া একজন দারুণ উদ্যোক্তা।

২০১০ সালে তিনি ফ্যাশন জুয়েলারির প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া ২০১৩ সালে তিনি স্কিন কেয়ার লাইন নামে আরো একটি ব্যবসা চালু করেন। মেলানিয়া একজন শুভেচ্ছাদূত হিসেবেও সুনাম রয়েছে তার। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেড ক্রসের গুড উইল এম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মেলানিয়া ট্রাম্প।

তার বিয়েতে অন্য ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন উপস্থিত ছিলেন। ফ্লোরিডার পাম বিচে মেলানিয়া ও ট্রাম্পের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন বিল- হিলারি দম্পত্তি। ওই সময় হিলারি ক্লিনটন নিউ ইয়র্কের সিনেটর ছিলেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার আগে মডেল হিসেবে খুব ভালো অবস্থানে ছিলেন না মেলানিয়া। করেছেন নানা ধরনের কাজ। এমনকি অর্থের জন্যে নিজের শরীর বিকিয়ে দিতেও পিছ পা হননি। 

 স্লোভানিয়ান ম্যাগাজিন 'সুজি' মেলানিয়ার নগ্ন ছবি প্রকাশ করে। ১৯৯৫ সালে নগ্ন হয়ে একটি ম্যাগাজিনে জায়গা নিয়েছিলেন মেলানিয়া ট্রাম্প। সে সময় তার বয়স ছিল ২৫ বছর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬ কি ১৭ বছর বয়সে মডেলিং জগতে পা রাখেন মেলানিয়া। সে সময় স্লোভানিয়ান ফ্যাশন ফটোগ্রাফার স্টেন জার্কোর সামনে মডেল হিসেবে দাঁড়াতেন তিনি। সেই স্টানই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সাথে পরিচিত হওয়ার আগে খুব ভালো অবস্থানে ছিলেন না মেলানিয়া। ৯৬-তে ট্রাম্পের দেখা পাওয়ার আগে রক্ষিতার ভূমিকায় কাজ করেছেন তিনি। এমনকি অর্থের বিনিময়ে তিনি যে কারও শয্যাসঙ্গী হতে দ্বিধা করতেন না। দেহ ব্যবসা থেকে তাকে বের করে আনেন ট্রাম্পই।


আরো সংবাদ



premium cement
চুয়াডাঙ্গায় হিট‌স্ট্রো‌কে যুবকের মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর নারীর মৃত্যু ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ শ্যালকদের কোপে দুলাভাই খুন : গ্রেফতার ৩ তীব্র গরমে কী খাবেন আর কী খাবেন না এবার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বললেন এমপি জয় পঞ্চপল্লীর ঘটনায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে যা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার নির্দেশ সরকার ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১

সকল