২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কানাডায় বছরে খাদ্য অপচয় ২২ লাখ টন

কানাডায় বছরে খাদ্য অপচয় ২২ লাখ টন - সংগৃহীত

কানাডায় প্রতি বছর ২২ লাখ টন খাদ্য অপচয় হয়। দিনে কানাডীয়রা যে ১২ লাখ আপেল, ২৪ লাখ আলু ও ৭ লাখ ৫০ হাজার পাউরুটি নষ্ট করে, বছর শেষে তার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ লাখ টনে।

কানাডায় হওয়া খাদ্যের এমন অপচয় ঠেকাতে এবার উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্য পণ্যের বড় দুই খুচরা বিক্রেতা ব্র্যান্ড ওয়ালমার্ট ও সোবিস। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, প্রাদেশিক সরকার ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মধ্য দিয়ে কানাডায় খাদ্য অপচয় রোধে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে তারা।

কানাডার ‘ন্যাশনাল জিরো ওয়াস্ট কাউন্সিল’ জানিয়েছে, দেশটিতে যে পরিমাণ খাদ্যের অপচয় হয় গ্রিন হাউজ নির্গমনের হিসেবে তা ২১ লাখ গাড়ি রাস্তায় নামানোর সমতুল্য। অর্থাৎ নষ্ট হওয়া খাদ্য উৎপাদনে যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হয়, ২১ লাখ গাড়ি নির্মাণে সেই পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস উৎপন্ন হয়।

অপচয় হওয়া ২১ লাখ টন খাদ্যের মধ্যে ১৩ লাখ টন খাদ্য আসলে খাওয়ার উপযোগী। এ পরিমাণ খাবার কিনতে কানাডায় পরিবার বছরে ৮৩৫ ডলার খরচ করতে হয়।

যুক্তরাজ্যে খাদ্য অপচয় রোধে নেওয়া একটি কর্মসূচির অনুপ্রেরণায় কানাডায় শুরু হয়েছে ‘খাদ্যকে ভালোবাসুন, অপচয়কে নয়’ শীর্ষক প্রচারণা। যুক্তরাজ্যে এমন প্রচারণায় খাদ্যের অপচয় ৫ বছরে প্রায় ২১ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।

কানাডার ‘ন্যাশনাল জিরো ওয়াস্ট কাউন্সিলের’ প্রধান ম্যালকম ব্রডি মন্তব্য করেছেন, ‘লাভ ফুড হেইট ওয়াস্ট শীর্ষক প্রচারণার খুবই দরকার কানাডায় খাদ্য অপচয় রোধে। এই কর্মসূচিই খাদ্যের সঙ্গে কানাডীয়দের সম্পর্ক পরিবর্তনে প্রথম প্রচেষ্টা। খাদ্যের অপচয় রোধের জন্য খুব অল্প চেষ্টা করলেই হয়। একবারে বেশি খাবার বা কিনে প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার কেনা উচিত। বেশি বেশি খাবার কিনে ফ্রিজে রাখা আর পরে তা নষ্ট হয়ে গেলে ফেলে দেয়ার মতো অভ্যেস পাল্টালেই পরিবর্তন আসবে।’

এই সচেতনতা কর্মসূচির একজন সংগঠক সোফি ল্যাংলোইস ব্লৌইন মন্তব্য করেছেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা পরিবেশ রক্ষাতে ভূমিকা রাখতে পারব। আর এতে অর্থও সাশ্রয় হবে। কারণ আমরা যে পরিমাণ খাদ্য অপচয় করি তা যদি আমরা খেতে পারতাম তাহলে আমাদের নতুন করে খাদ্য কিনতে অর্থ খরচ করতে হতো না।’

ওয়ালমার্ট কানাডার সিইও লি ট্যাপেন্ডেন জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটি খাদ্য অপচয় রোধে আরো বেশি পরিবর্তন ও তৎপরতা প্রত্যাশা করছে। ‘ন্যাশনাল জিরো ওয়াস্ট কাউন্সিল’ মনে করে ২০৩০ সাল নাগাদ তারা খাদ্যের অপচয় অর্ধেকে নামিয়ে আনতে পারবে।

খাবার অপচয় রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সৌদি আরব
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সৌদি আরবের ‘প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সৌদ ইসলামিক ইউনিভার্সিটির শিার্থীরা সৌদির খাবার ভোজন নিয়ে একটি গবেষণা করেন। সেখানে দেখা যায়, দেশটির ২৭টি শহরে খাবার নষ্ট করার প্রবণতা রয়েছে। এবার খাবারের অপচয় রোধ করার ব্যাপারে সৌদি আরবে জাতীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েছে খাদ্যবিষয়ক সংস্থা সাগো। প্রাকৃতিক সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহার এবং অপচয় রোধ করার ব্যাপারে কাজ করবে সংস্থাটি।

রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি জানিয়েছে, খাবার নষ্ট বন্ধ করার ব্যাপারে বেসরকারিভাবে প্রশিণের ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে শেখানো হবে, কিভাবে খাবারের অপচয় রোধ করা যায় এবং বাড়তি খাবার সংরণ করা যায়।
সংস্থাটি আরো জানায়, কিভাবে কোনো পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন করা যায় এবং সেগুলো আবার ব্যবহার উপযোগী করে তোলা যায়, সে ব্যাপারে প্রশিণের ব্যবস্থা করা হবে।

সংস্থাটির প্রধান জায়িদ আল সাবানাত বলেন, খাবার নষ্ট করাটা একেবারেই অসভ্য আচরণ। প্রথম দিকে সাধারণ খাবারগুলো নষ্ট করা বন্ধের প্রতি নজর দেয়া হবে। রুটি, গোশত, ভাত, ফল, শাকসবজি নষ্ট করা বন্ধের দিকে আমরা গুরুত্ব দেবো।

সৌদি গেজেট


আরো সংবাদ



premium cement