১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা!

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা! - সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে আমেরিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইরান। তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে একতরফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কারণে ইরান এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ।

তিনি সোমবার তার সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে বলেছেন, বেআইনিভাবে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করার জন্য ইরান আজ আমেরিকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে জবাবদিহি করতে মামলা দায়ের করেছে।

গত ৮ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে এ যাবতকালের কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। অথচ ২০১৫ সালে ইরানের সাথে ৬ জাতিগোষ্ঠীর যে সমঝোতা সই হয় তাতে আমেরিকাও সই করেছিল। শধু তাই নয়, পরবর্তীতে সে সমঝোতা জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদও অনুমোদন করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ইতালি

ইতালি বলছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আর কোনো এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান কিনবে না বরং ৯০টি বিমান কেনার জন্য যে অর্ডার দেয়া হয়েছে তা কাটছাঁটের বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখবে। ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এলিসাবেত্তা ত্রেন্তা সম্প্রতি বেসরকারি রেডিও চ্যানেল লা-সেভেনের সাথে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এফ-৩৫ বিমান কেনার নতুন চুক্তির সম্ভাবনা নাকচ করেন।

২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালির মধ্যে ৬০টি এফ-৩৫এ এবং ৩০টি এফ-৩৫বি জঙ্গিবিমান কেনার যে চুক্তি হয়েছে, তা নতুন করে পর্যালোচনা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে ইতালি। এছাড়া দেশটি নতুন করে এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান কেনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোনো চুক্তি না করার ঘোষণা দিয়েছে।

ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এলিসাবেত্তা ত্রেন্তা বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন করে আর এফ-৩৫ বিমান কিনব না বরং এসব বিমান কেনার জন্য যে এক হাজার ৪০০ কোটি ইউরো খরচ হবে তা জনগণের কল্যাণে ও দেশের স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতির জন্য খরচ করা ভালো ছিল।

এলিসাবেত্তা ত্রেন্তা বলেন, মার্কিন সরকারের সাথে সই হওয়া চুক্তি নিয়ে কী করা যায় আমরা তাই ভাবছি। যদিও আমার দল সব সময় এসব বিমান কেনার বিরোধী কিন্তু বিশাল এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলে যে আর্থিক জরিমানা দিতে হবে তা বিমান কেনার চেয়ে কম নয়। এছাড়া দেশের অর্থনীতির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

চীন-রাশিয়াকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকেই দুই দেশ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্কারোপ কার্যকর করা শুরু করেছে।

চীনা পণ্যের পর রাশিয়ার পণ্যের উপরও শুল্কারোপ শুরু করেছে ওয়াশিংটন। এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পণ্য আমদানির উপর শুল্ক ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মাকসিম ওরেসকিনকে উদ্ধৃত করে সেদেশের বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে শুল্ক আরোপের পণ্যের মধ্যে রয়েছে রাস্তা নির্মাণ যন্ত্র, তেল ও গ্যাস সংক্রান্ত সরঞ্জাম, লোহা এবং পাথর খননে ব্যবহুত যন্ত্রাংশ ও অপটিক ফাইবার।

মাকসিম ওরেসকিন বলেন, যেসব মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে তার বিকল্প রাশিয়ায় উৎপাদিত হয়। রুশ মন্ত্রী বলেন, মার্কিন অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে রাশিয়ার ৫৩ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের ক্ষতি হবে। আর তা পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের অধিকার রাশিয়ার রয়েছে।

বড় বড় বৈশ্বিক সরবরাহকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম সরবরাহের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়। জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। তবে চীন, রাশিয়া, জাপান, ভারত, তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে সংরক্ষণবাদি নীতি থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এই শুল্ক আরোপ করেছে। হুশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন পণ্যের ক্ষেত্রেও পাল্টা শুল্ক আরোপের।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে প্রথম ধাপে ৩৪০০ কোটি ডলার সমমূল্যের চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে। একই মূল্যের ৫৪৫টি মার্কিন পণ্যের ওপর চীনের পাল্টা ২৫ শতাংশ শুল্কও একইদিন কার্যকর হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement