২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চীনের লেজার আক্রমণে দিশেহারা যুক্তরাষ্ট্র

চীনের লেজার আক্রমণে দিশেহারা যুক্তরাষ্ট্র । ছবি - সংগৃহীত

চীন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে লেজার রশ্মি ব্যবহার করেছে বলে জানা যায়। মার্কিন সেনা কর্মকর্তাদের মতে, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০ টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। যেখানে চীন লেজার ব্যবহার করা হয়েছে। খবর সিএনএন-এর।

সেনা মুখপাত্র বলেন, লেজারের আক্রমণে মার্কিন বিমান ক্ষতিগ্রস্থ হেয়েছে। আর এগুলোর উৎস চীন বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে।

সর্বশেষ দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী এমন ঘটনার সন্মুখীন হয়েছে।  

সর্বশেষ হামলাটি আগে পূর্ব আফ্রিকার আফ্রিকার দেশ জিবুতিতে সংঘটিত ঘটনার অনুরূপ বলে মনে হয়। মার্কিন সামরিক বাহিনী যে লেজার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তা মার্কিন বাহিনী কাছাকাছি অবস্থিত চীনা সামরিক ঘাটি থেকে এর উৎস বলে মনে করা হয়। সেসময় বিমানের পাইলট আহত হয়েছিলেন বলে জানা যায়।

চীনের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব সংবাদকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গ্লোবাল টাইমস ট্যাবলয়েড মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন ও অমূলক’ বলে অভিহিত করেছে।

আরো দেখুন : যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, অনড় ট্রাম্প

মার্কিন প্রতিরক্ষা কার্যালয় পেন্টাগনকে নতুন 'স্পেস ফোর্স' তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 'স্পেস ফোর্স' গঠনে উদ্যোগী হতে এবং এজন্য কাজ শুরুর করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি৷ সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের 'ন্যাশনাল স্পেস কাউন্সিল-র এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মহাকাশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব আরো জোরালো হওয়া উচিত। কেননা, মহাকাশে মার্কিন উপস্থিতি যথেষ্ট নয়৷ এই উদ্যোগ কেবল বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেই নয় সার্বিকভাবে ইতিবাচক হবে। 

এদিকে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই 'স্পেশাল ফোর্স' মহাকাশ যুদ্ধের জন্যই প্রস্তুত করা হবে৷  মার্কিন স্পেস কমান্ড কার্যালয় থেকে এই মহাকাশ অভিযান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানা গেছে। 

অন্যদিকে অভিবাসী ইস্যুতে জিরো টলারেন্স নীতির তীব্র সমালোচনার পরও অনড় অবস্থানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিরোধী দল বা জাতিসঙ্ঘের পরোয়া না করে উল্টো সমালোচনা করছেন ইউরোপের। সম্প্রতি হোয়াইট হাউজে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শরণার্থী শিবির নয়।

একদিকে যখন শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তখন অভিবাসীদের বের করে দিতে কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার শিশুকে তাদের মা-বাবার কাছ থেকে আলাদা করার অভিযোগ তোলেন ডেমোক্রেট নেতারা। একইসাথে এর নিন্দা জানান অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্সও।

পরিবারের কাছ থেকে সন্তানদের আলাদা করায় ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। সংস্থার মানবাধিকার প্রধান জিয়াদ রাদ আল হুসেইন বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য ও অপরাধের সামিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সেক্রেটারি ক্রিস্টেন নেলসেন বলছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে মোটেও অনুতপ্ত নন তারা।

এতো সমালোচনার পরেও ট্রাম্প জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে অভিবাসন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এক চুলও ছাড় দেবে না। ওবামা প্রশাসনই এ সঙ্কটের জন্য দায়ী। পরিস্কারভাবে বলতে চাই, যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ সঙ্কট...অভিবাসনের কারণেই হয়েছে। এ নিয়ে কোনো সমঝোতা হবে না। ডেমোক্রেটরা কোনো ধরনের সহায়তা না করায় নীতি নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।

এর আগে এক টুইট বার্তায় ইউরোপের অভিবাসন নীতিতে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলেরও কঠোর সমালোচনা করেন ট্রাম্প। বলেন, শরণার্থীদের জায়গা দেয়ায় অপরাধ বেড়েছে পুরো ইউরোপে।

এদিকে চীনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের আরো ২০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন। ট্রাম্প এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যদি চীন নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন না করে তাহলে ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। এর আগে ট্রাম্প চীনের পাঁচ হাজার কোটি ডলারের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।

ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর চীন একই ধরণের পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। চীন জানিয়েছে, আমেরিকা থেকে আমদানি করা সমপরিমাণ পণ্যের ওপর তারাও শুল্ক আরোপ করবে। এতেই ক্ষেপে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুল্ক আরোপ করলেও চীন পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারবে না। চীন পাল্টা পদক্ষেপ নিলে তিনি আরো বেশি শুল্ক আরোপ করবেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতি। এরপরই চীনের অবস্থান। ট্রাম্প আগে থেকে বলে আসছেন, চীনের কাছে বাজার খুলে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement