ট্রাম্পের কাছে দেখা করে যা চাইলেন কার্দাশিয়ান
- বিবিসি
- ০১ জুন ২০১৮, ১২:৪২, আপডেট: ০১ জুন ২০১৮, ১৪:০০
মার্কিন রিয়েলিটি টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, অভিনেত্রী, সমাজকর্মী, ব্যবসায়ী এবং মডেল কিম কার্দাশিয়ান। ৩০ মে বুধবার তিনি দেখা করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। কারাবন্দী ৬৩ বছর বয়সী এক নারীর মুক্তির বিষয়ে সুপারিশ করার জন্যই ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দী রয়েছেন অ্যালিস ম্যারি জনসন নামে ওই নারী। মাদক সংক্রান্ত অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি কারাগারে আছেন।
কিম কার্দাশিয়ান এ বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গেও কয়েক মাস ধরে কথা বলে আসছেন। জনসনের মেয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠকের বিষয়টি বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠক শেষে কিম কার্দাশিয়ানের ছবি দিয়ে ট্রাম্প টুইট করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে প্রথম জনসনের বিষয়ে জানতে পারেন কিম কার্দাশিয়ান। এরপর তিনি বিষয়টি নিয়ে তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন।
গতকাল ছিল জনসনের জন্মদিন। সেটিও পরে এক টুইটে কার্দাশিয়ান জানান। মাদক বিক্রেতা ও পরিবেশকদের কাছে বার্তা প্রেরণের অভিযোগে ১৯৯৬ সালে আটক হন জনসন। পরে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
কারাগারের অনাথশালা ছাড়াও বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রয়েছেন তিনি। জনসনের ক্ষমা পাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণই প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বিষয়। তিনি ইচ্ছে করলে তাকে ক্ষমা করতে পারেন, আবার নাও করতে পারেন। তবে ট্রাম্পের সাথে কার্দাশিয়ানের বৈঠকের পর এটাই এখন দেখার বিষয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন।
অবশেষে স্বীকার করলেন ট্রাম্প
পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে দেয়ার জন্য আইনজীবীর হাতে কত অর্থ দিয়েছিলেন সেটি আনুষ্ঠানিকভাবেই প্রকাশ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দ্যা অফিস অফ গভর্নমেন্ট এথিকস বলছে, মিস্টার ট্রাম্পকে তার আর্থিক বিবরণীতে সেটি দিতে হয়েছে।
এ সংক্রান্ত ফাইলে থাকা তথ্য অনুযায়ী, তিনি আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে ২০১৬ সালের জন্য যে অর্থ দিয়েছিলেন তার পরিমাণ এক লাখ থেকে আড়াই লাখ ডলারের মধ্যে।
যদিও মি. ট্রাম্প এর আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ত্রিশ হাজার ডলার দেয়ার বিষয়টি স্বীকারই করেননি।
এখন ওই ফাইলে একটি ফুটনোট দিয়ে হোয়াইট হাউজ বলছেন স্বচ্ছতার স্বার্থেই এটিকে তালিকায় রাখা হয়েছে।
যদিও অফিস অফ গভর্নমেন্ট এথিকস এর প্রধান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে দেয়া এক চিঠিতে লিখেছিলেন যে, মি. কোহেনের মাধ্যমে যেসব অর্থ শোধ হয়েছে সেগুলো জানাতে হবে।
স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে দেয়া অর্থের বিষয়টি একটি আইনগত সমস্যা তৈরির করতে পারে, এমন শঙ্কা ছিলো। কারণ এটিকে নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে একটি অবৈধ ব্যয় হিসেবে দেখা যেতে পারতো।
মি. কোহেনের এ সম্পর্কিত কাগজপত্র ইতোমধ্যেই এফবিআই জব্দ করেছে এবং এ নিয়ে এখন তদন্ত চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
মিজ ড্যানিয়েলস, যার প্রকৃত নাম স্টেফাইন ক্লিফোর্ড অভিযোগ করেছিলেন যে, ২০০৬ সালে একটি হোটেল কক্ষে মি. ট্রাম্প তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।
যদিও তখন মি. ট্রাম্প সেটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী।
মিজ ড্যানিয়েলসের দাবি সত্যি হলে ঘটনাটি ঘটে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্প দম্পতির সন্তান ব্যারনের জন্মের কয়েক মাসের মধ্যে।
গত এপ্রিলে মি. ট্রাম্প বলেছিলেন যে মাইকেল কোহেন মিজ ড্যানিয়েলসকে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে কোনো অর্থ দিয়েছিলেন কি-না সেটি তার জানা নেই।
তবে আইনজীবীকে ট্রাম্পের টাকা দেয়ার বিষয়টি প্রথম নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্টে অ্যাটর্নি রুডি গিলিয়ানি।
মি. গিলিয়ানি বলেছিলেন যে মিজ ড্যানিয়েলসকে চুপ রাখতে - যাতে করে তিনি অসত্য ও অতিরঞ্জিত অভিযোগ মিস্টার ট্রাম্পকে নিয়ে না করেন সেজন্যই ওই লেনদেন করা হয়েছিলো।
সূত্র: বিবিসি