২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনার করে সিনিয়র মন্ত্রীর পদত্যাগ

আম্বার রুড
আম্বার রুড - ছবি : সংগৃহীত

ব্রেক্সিট নিয়ে যখন ব্রিটেনের রাজনীতি টালমাটাল ঠিক সে সময়ে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেছেন ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টির সিনিয়র সদস্য এবং ওয়ার্ক ও পেনশনবিষয়ক মন্ত্রী আম্বার রুড। একই সাথে তিনি নিজ দল থেকেও পদত্যাগ করেছেন। পার্লামেন্টে তিনি তার দলের হুইপ হিসেবেও কাজ করতেন। গতকাল রাত ৯টা ১১ মিনিটে এক টুইট বার্তায় তিনি তার পদত্যাগের কারণসহ পদত্যাগপত্র সংযুক্ত করে টুইট করেন। সেখানে তিনি গত মঙ্গলবার পার্লামেন্ট থেকে ২১ জন এমপিকে বহিস্কার এবং নো-ডিল ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সিদ্ধান্তকে পদত্যাগ কারণ বলে উল্লেখ করেন।

২০১০ সাল থেকে তিনি হেস্টিংস এন্ড রেই এলাকার এমপি হিসেবে কাজ করছেন ৫৬ বছরের এই মহিলা। ২০১৬ সালে যখন ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোট হয় তখন তিনি ইউরোপিয় ইউনিয়নের সাথে থাকার পক্ষে ছিলেন। তখন তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালে ‘উইন্ডরাস স্ক্যান্ডল ’-এর কারণে তিনি মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। পরে এক তদন্তে জানা যায়, তিনি তার অফিসের এক কর্মকর্তার পরামর্শে উইন্ডরাস স্ক্যান্ডলে জড়িয়ে পরেন। পরে ওয়ার্ক এন্ড পেনশন মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে তাকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত পদত্যাগপত্রে আম্বার রুড উল্লেখ করেন, আমি আপনার মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিলাম একটি এমন বিশ্বাস নিয়ে যে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে আলোচনায় নো-ডিল থাকবে না। আর ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবার সময় নতুন চুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের সর্বোত্তম সুযোগটি কাজে লাগাতে পারবো। যাই হোক, আমি বিশ্বাস করি না, কোনো চুক্তির মাধ্যমে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য আছে এই সরকার।

ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টির একজন সিনিয়র ও গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রীর পদত্যাগে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শ্যাডো ব্রেক্সিট সেক্রেটারী স্যার কেইর স্টারমার। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, জনসনের সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিরোধী লেবার পার্টির চেয়ার ইয়ান লেভারী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, রুডের পদত্যাগ প্রমান করে কেউ জনসনের সরকারকে বিশ্বাস করছে না। তিনি বলেন, খুব অল্প সময়ে প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন এবং তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা খুবই লজ্জাজনকে হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর টাইমসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে আম্বার রুড ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তি এমপিদের অনুমোদন না পেলে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন। এক্ষেত্রে তিনি দ্বিতীয় গণভোট বা কথিত নরওয়ে প্লাসের মতো বিকল্প বিবেচনা করারও পরামর্শ দিয়েছিলেন। নরওয়ে ইইউ সদস্য নয়, কিন্তু ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের অংশ।


আরো সংবাদ



premium cement