২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৬ সপ্তাহ বয়সের দলটি ব্রিটেনের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেল

- ছবি : সংগৃহীত

মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে যে দলটির জন্ম, সেই ব্রেক্সিট পার্টি যেভাবে ব্রিটেনে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে বিপুল বিজয় পেয়েছে, তাকে কেবল সুনামির সঙ্গেই তুলনা করা যায়। ব্রিটেনে ইউরোপীয় নির্বাচনে একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে নাইজেল ফারাজের ব্রেক্সিট পার্টি। মোট প্রদত্ত ভোটের ৩১ শতাংশ পেয়েছে তার দল।

নাইজেল ফারাজ ব্রিটিশ রাজনীতিতে সুপরিচিত তার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিরোধী কট্টর অবস্থানের জন্য। এর আগে তিনি ছিলেন ইউকে ইনডিপেন্ডেন্ট পার্টি বা ইউকিপের নেতা। এই দলটি বহু বছর ধরে আন্দোলন করেছে ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে আনার জন্য।

ব্রিটেন যে শেষ পর্যন্ত গণভোটে ব্রেক্সিট, অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে রায় দেয়, তার জন্য নাইজেল ফারাজ এবং তার সাবেক দল ইউকিপ কৃতিত্ব দাবি করে।

তবে মিস্টার ফারাজ শেষ পর্যন্ত আর ইউকিপে থাকেননি। মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে তিনি ব্রেক্সিট পার্টি বলে নতুন দল গঠন করে ইউরোপীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে ঘোষণা দেন। সেই নির্বাচনে তার দলের চমকপ্রদ সাফল্য হতবাক করে দিয়েছে সবাইকে। অন্যদিকে প্রধান দুই দলের শোচনীয় পরাজয়ের পর এই দুই দলেই শুরু হয়েছে মারাত্মক অন্তর্কলহ।

ইউরোপীয় নির্বাচন কী?
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য ২৮ দেশের জন্য আইন তৈরি করে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। এটি ছিল সেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচন। প্রত্যেকটি সদস্য দেশ থেকে জনসংখ্যার অনুপাতে এই পার্লামেন্টে সদস্য পাঠানো হয়। পার্লামেন্টের মোট সদস্য সংখ্যা ৭৫১।

ব্রিটেন গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দেয়ার তিন বছর পরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তাই বাধ্য হয়ে তাদের ২৩শে মে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে অংশ নিতে হয়। ইউরোপের বাকী সব দেশেও একই সঙ্গে এই নির্বাচন হয়েছে। এবং আরও অনেক দেশেই কট্টর ডানপন্থী দলগুলোর উত্থান দেখা গেছে।

মূলধারার দলগুলোর বিপর্যয়
শুধু ব্রিটেনে নয়, ইউরোপের আরও অনেক দেশেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে মূলধারার দলগুলো খারাপ করেছে। আর এর বিপরীতে নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে কট্টর ডানপন্থী দলগুলো।

ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁর দলকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে কট্টর ডানপন্থী মারিন ল পেনের দল ন্যাশনাল ফ্রন্ট।

জার্মানিতে প্রধান দুটি মধ্যপন্থী দলই ভোট হারিয়েছে। অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং মধ্য-বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি উভয়েই খারাপ ফল করেছে আগের তুলনায়। অন্যদিকে কট্টর ডানপন্থী দল এএফডি ১০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে।

হাঙ্গেরিতে ভিক্টর ওরবানের ইমিগ্রেশন বিরোধী দল ৫২ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বিগত কয়েক দশক ধরে মধ্য-বাম এবং মধ্য-ডানপন্থী দলগুলোর যে প্রাধান্য ছিল, এখন তা খর্ব হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রথম ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এ ধরণের দলগুলোর জোট তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে।

বিবিসির ইউরোপ বিষয়ক সম্পাদক ক্যাটিয়া এডলার বলছেন, সারা ইউরোপেই জাতীয় রাজনীতিতে যে ধরণের প্রবণতা, এবারের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। মানুষ বিদ্যমান ব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করছে। এমন সব দলকে তারা সমর্থন করছে, যেসব দল তাদের মূল্যবোধ এবং স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে তাদের মনে হচ্ছে।

"যেমন ইমিগ্রেশন বিরোধী কট্টর ডানপন্থীদলগুলো। যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষমতা খর্ব করে জাতীয় সরকারগুলোর কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চায়" বলছেন ক্যাটিয়া এডলার। বিবিসি বাংলা।


আরো সংবাদ



premium cement
জিআই স্বীকৃতির সাথে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ সখীপুরে সাবেক ও বর্তমান এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস সৈয়দপুরে জামায়াতের উদ্যোগে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না থাকার কারণ জানালেন সাকিব ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও

সকল