২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ব্রেক্সিট নিয়ে থেরেসার উত্তরসূরিদের বিরোধ

- ছবি : সংগৃহীত

একে অন্যের বিরোধিতায় জড়িয়ে পড়েছেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে নামা কনজারভেটিভ প্রার্থীরা। ব্রেক্সিট নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র মতভেদ। কেউ অন্যের অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন না। এ অবস্থায় তীব্র অস্থিরতা বিরাজ করছে দেশটির রাজনৈতিক মহলে। 

সম্প্রতি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন থেরেসা মে। তার এই ঘোষণার পর থেকেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে, উত্তরসূরি হিসেবে কে ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে হ্যানকক, স্টুয়ার্ট ও জনসনের পাশাপাশি সাবেক ওয়ার্ক ও পেনশন সেক্রেটারি ইস্টার ম্যাকভে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, সাবেক ব্রেক্সিট সেক্রেটারি ডমিনিকা রাব ও গ্রুভসহ বেশ কয়েকজনের নাম এসেছে আলোচনায়।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতারা আশা করছেন, আসছে জুলাইয়ের আগেই তারা নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে পারবেন। তবে আলোচনায় থাকা টোরি নেতাদের ব্রেক্সিট নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য বলে দিচ্ছে, সামনের দিনগুলো তাদের জন্য সহজেই সুখকর হচ্ছে না। ব্রিটেনের সেক্রেটারি অব স্টেট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ররি স্টুয়ার্ট জানিয়েছেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের অধীনে কাজ করবেন না তিনি। কারণ, জনসন চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের সমর্থক। যদিও নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য জনসনের নাম রয়েছে বেশ আলোচনায়।

এ দিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, থেরেসা মের উত্তরাধিকারী যদি পার্লামেন্টে চুক্তি পাস করাতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই বাণিজ্য ইস্যুতে আরো পরিষ্কার অবস্থান নিতে হবে। শুক্রবার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন হ্যানকক। এ সময় তিনি জানান, নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে আগাম নির্বাচন ডাকা বিপর্যয়কর হবে। এতে ক্রিস্টমাসের মধ্যে ক্ষমতা বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের হাতে চলে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের এমন একজন নেতা দরকার যিনি কেবল এখন নয়, ভবিষ্যতেও দলকে নেতৃত্ব দেবেন। নতুন ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারবেন। গত তিন বছরের ভয়াবহ রাজনীতি থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। নতুন করে শুরু করতে হবে। নতুন মুখ দিয়ে শুরু করতে হবে। যাতে করে এই দেশ আগামী বছরে আসন্ন যুদ্ধে জয়ী হতে পারে ও দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে পারে।
রাজনীতিবিদদের ব্রেক্সিট নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান পরিষ্কার করতে আহ্বান জানিয়েছেন স্টুয়ার্ট। জনসনকে সমর্থন না জানানোর পেছনের কারণ নিয়ে তিনি বলেন, জনসনের অনেক গুণ রয়েছে। কিন্তু কয়েক দিন আগে আমার সাথে তার কথা হয়। তখন আমার মনে হয়েছিল, তিনি চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিপক্ষে। কিন্তু এখন তিনি জানাচ্ছেন, তিনি চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পক্ষে।

তবে যা-ই হোক না কেন আগামী ৩১ অক্টোবরই ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়বে বলে জানিয়েছেন কনজারভেটিভ দলের এমপি ইস্থার ম্যাকভি। এমনকি কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই যদি ইইউ থেকে আলাদা হতে হয় তাহলেও ওই দিনের পর আর ইইউর সাথে থাকছে না ব্রিটেন। এ খবর দিয়েছে রয়টার্স। থেরেসা মের পদত্যাগের পর তার স্থান দখলের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্থার ম্যাকভি। স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রেক্সিটপন্থী সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ৩১ অক্টোবরই শেষ দিন, এরপর আমরা বেরিয়ে আসব। যদি এর মধ্যে কোনো চুক্তি না হয় তবে সেভাবেই বেরিয়ে আসবে ব্রিটেন। তিনি আরো বলেন, আমরা এই সময়ের পর আর অতিরিক্ত সময় চেয়ে নেবো না। এটাই নির্ধারিত দিন। আর এই অংশটিই আমাদের জনগণ, ব্যবসায়ী কেউ পছন্দ করছে না। বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত

সকল