২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে রায়

জনতা প্রতিহত করে সেনা সদস্যদের - ফাইল ছবি

তুরস্কে ২০১৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার সাথে জড়িতদের মামলার রায় দিয়েছে দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এতে সামরিক বাহিনীর ২৪ জন জেনারেলকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে। তাদের শাস্তির মেয়াদ আমৃত্যু কারাদণ্ড। অর্থাৎ তাদের মৃত্যু পর্যন্ত জেলেই কাটাতে হবে।

তবে তাদের মধ্যে আবার ১৭জনকে বিভিন্ন অভিযোগে ১৪১ বার করে এই শাস্তি দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ১৪১টি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তাদের প্রত্যেকের জন্য। এই শাস্তিতে কোন জামিন বা প্যারোলে মুক্তির বিধান নেই। তুরস্ক ২০০২ সালে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে সর্বোচ্চ শাস্তির মেয়াদ আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিধান করে।

এদিন রায়ে মোট ২২৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি ঘোষণা করা হয়। রাজধানী আঙ্কারার সিনকান কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন বৃহস্পতিবার। এদের মধ্যে কয়েক জন পলাতক আছেন।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, সশস্ত্র বাহিনীকে বিপথগামী করা, প্রেসিডেন্টকে হত্যাচেষ্টা ও ২৪৯ জনকে হত্যার অভিযোগে এই রায় দেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।

২০১৬ সালের ১৫ জুলাই রাতে তুরস্কে অভ্যুত্থান করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালায় সামরিক বাহিনীর একটি গ্রুপ। এই গ্রুপটির আদর্শিক নেতা যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা তুর্কি নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন। অভ্যুত্থান প্রক্রিয়া শুরু হলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেয়া টিভিতে প্রচারিত প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের একটি বক্তব্যের পর রাস্তায় নেমে এসে জনতা এই সেনাদের প্রতিহত করে অভ্যুত্থান ব্যর্থ করে দেয়।

রায়ে আজীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন তুর্কি বিমান বাহিনীর তৎকালীন কমান্ডার আকিন ওজতুর্ক। সরাসরি ঘটনাস্থলে তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অভ্যুত্থান চেষ্টার। এছাড়া প্রেসিডেন্ট এরদোগানের তৎকালীন সামরিক উপদেষ্টাও আছেন শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে। গুলেনের পর এই দুজনকেই সে দিনের অভ্যুত্থান চেষ্টার নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সেনাপ্রধানকে বন্দী করে তারা সেনা সদর দফতরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন। বিমান থেকে পার্লামেন্ট ভবনসহ কিছু জায়গায় বোমাও ফেলেছিল তারা; কিন্তু সাধারণ জনতা ও পুলিশের কিছু সদস্য তাদের প্রতিহত করে। রাস্তায় নেমে আসা সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক ও সাজোঁয়া যান ব্যর্থ হয় নিরস্ত্র জনতার স্রোতের মুখে।

লেফট্যানেন্ট কর্নেলসহ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ ২৬জন কর্মকর্তা আজীবন কারাদণ্ডের শাস্তি পেয়েছেন। এছাড়া ওই ঘটনার কিছুদিন আগে অবসরে যাওয়া ৪ জন মেজর জেনারেলও একবার করে আজীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন। আলজাজিরা, আনাদোলু, ডেইলি সাবাহ


আরো সংবাদ



premium cement
জর্ডান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী বিচারক এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে

সকল