২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাজার নিয়ন্ত্রণে এরদোগান সরকারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

তুরস্কের একটি বাজার - ছবি : সংগ্রহ

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে কাঁচা বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারি উদ্যোগে বাজারগুলোতে পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্কের সরকার। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ঘোষণা দিয়েছেন আগামী মাসের স্থানীয় নির্বাচনের পর এই প্রকল্প ক্রমশ ইস্তাম্বুল, আঙ্কারাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে।

চলতি মাসে তুর্কি সরকার উদ্যোগ নিয়েছে সরাসরি ক্রেতাদের কাছে পণ্য সরবরাহের। সরকারি খামারগুলো থেকে সবজি এনে তা সরাসরি বাজারের খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে সরকারি তত্ত্বাবধানে। হঠাৎ করে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম বেড়ে যাওযায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বাজার নিয়ে কারসাজি করা লোকদের হাত থেকে রক্ষা পাবে সাধারণ ক্রেতারা। নতুন এই নিয়মে একজন ক্রেতা একটি সবজির সর্বোচ্চ ৩ কেজি কিনতে পারবেন।

সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের অনেকগুলো পৌরশহরের কর্তৃপক্ষ সরাসরি ক্রেতাদের কাছে পণ্য সরবরাহ করছে। এর ফলে গত মাসে বাজারে যে দাম ছিলো তার অর্ধেক দামে সবজি পাওয়া যাচ্ছে বাজারগুলোতে। গত মাসে তুরস্কের অনেক খাদ্য পণ্যের দাম ৩১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছিল। আর সেটা ঠেকাতেই তাৎক্ষণিক এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির জাস্টিস এন্ড ডেভলপমেন্ট (একে) পার্টির সরকার।

প্রেসিডেন্ট এরদোগান ঘোষাণা দিয়েছেন আগামী মাসে স্থানীয় নির্বাচনের পর এই উদ্যোগ সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তিনি ব্যবসায়ীদের এক সম্মেলনে বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় স্থানীয় নির্বাচনের পর পৌর কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে পণ্য বিক্রয়ের এই উদ্যোগকে আমরা প্রত্যান্ত অঞ্চলে নিয়ে যাব।

তিনি বলেন, কিছু বিক্রেতা পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। আমরা এই অর্থনৈতিক দুস্কৃতিকারীদের ওসমানীয় খিলাফাহ যুগের মত দমন করবো।

এরদোগান সরকারের এই উদ্যোগের ফলে এখন সরকারের বেধে দেয়া দামে সব মার্কেটে পণ্য বিক্রয় হচ্ছে। কিছু চেনই বিক্রয় শপের ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ইয়েনি সাফাক অনলাইন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাজারের কারসাজি দমন করা যাবে বলে মনে করছে পত্রিকাটি।

আরো পড়ুন:

সোচিতে এরদোগান-রুহানি বৈঠক

সিরিয়া নিয়ে ত্রিদেশীয় সম্মেলনের আগে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর উপকূলীয় নগরী সোচিতে বৈঠক করেছেন তুরস্কে প্রেসিডন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক, সিরিয়া ইস্যু ও চলমান বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সোচিতে শুরু হবে সিরিয়া নিয়ে রাশিয়া, ইরান ও তুরস্কের সম্মেলন। এই সম্মেলনে সিরিয়ার ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা হবে। সিরিয়ায় ২০১৬ সালে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল, তার জিম্মাদার ছিলো এই তিনিট দেশ। দেশ তিনটির নেতার অনেক দিন ধরেই সিরিয়া শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে কাজ করে যাচ্ছেন।

সিরিয়ায় গত ৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে গৃহযুদ্ধ। বাশার আল আসাদ সরকারকে হঠাতে দেশটির বিরোধীরা অস্ত্র তুলে নিয়েছিল। যদিও রাশিয়া ্ও  ইরান সরাসরি বাশার সরকারের পক্ষে যুদ্ধে নামায় বিদ্রোহীরা এখন অনেকটাই কোনঠাসা। অন্য দিকে বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কসহ কিছু দেশ।


আরো সংবাদ



premium cement