২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

এরদোগানের #টেনইয়ারচ্যালেঞ্জ

-

বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে টেন ইয়ার চ্যালেঞ্জ নামের একটি হ্যাশট্যাগ। ১০ বছর আগের ও বর্তমানের দুটি ছবি পাশাপাশি দিয়ে অনেকেই এই জোয়ারে নাম লিখিয়েছেন। নতুন বছরের শুরুতে এটি শুরু হয়। ২০০৯ ও ২০১৯ সালের একই ব্যক্তি বা ঘটনার দুটি ছবি এই টেন্ডের মূল বিষয়। সাধারণ  সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি বিশ্বের নামী দামী অনেকেও এতে শামিল হয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানও তাদের একজন।

এরদোগানের দল জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির(একেপি) অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এরদোগানের দুটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। প্রথমটি ২০০৯ সালের যাতে দেখা যাচ্ছে তার কোলে এক কন্যা শিশু, আর দ্বিতীয় ছবিতে(২০১৯) তার সাথে এক স্কুল পড়ুয়া বালিকা। দুটি ছবি একই স্থানে তোলা। ক্যাপশন লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট এরদোগান অতীত থেকে বর্তমান’।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিত নেতানিয়াহুসহ আরো অনেকে এই ট্রেন্ডে শামিল হয়েছে। জাভেদ জারিফ এই ইস্যুতে সামনে এনেছেন ইরান বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্ত উপদেষ্টার মনোভাবকে। ২০০৯ সালে জন বোল্টনে একটি লেখায় বলেছিলেন ‘ইরানে হামলা করার এখইন সময়’ আর সম্প্রতি তিনি পেন্টাগনকে বলেছেন ইরানে হামলার পরিকল্পনা করতে। এই দুটি লেখার স্ক্রিনশট পাশাপাশি দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেন ইয়ার চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়েছেন।

নেতানিয়াহু তার দেশের সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণে ১০ বছর আগের ও বর্তমানের চিত্র তুলে ধরেছেন।

মিসরের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী দেশটির রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ারের ২০১১ সালের বিক্ষোভের ছবি ও কারাবন্দী ব্রাদারহুড কর্মীদের দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। সাথে লেখা- মিসর ২০১১ ও ২০১৯। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে মিসরে যে গণবিপ্লব হয়েছিল সেখানে অংশ নিয়েছিল লাখো জনতা, কিন্তু সেই বিপ্লবের সুফল মিসরবাসী বেশিদিন ভোগ করতে পারেনি। সিসির সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেই বিপ্লবীরা আজ চরমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে দেশটিতে।

ফেসবুকের মাধ্যমে নতুন বছরের শুরুতে চালু হওয়া এই হ্যাশট্যাগটি বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিভিন্ন দেশের ফেসবুক  ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এটিতে অংশ নিচ্ছেন নিজের কিংবা কোন ঘটনার বিষয়ে তুলে ধরতে।


আরো সংবাদ



premium cement